এই গণের প্রজাতিরা কাষ্ঠল আরোহী অথবা গুল্ম। এদের পাতা প্রতিমুখ, অখন্ড, অধিকাংশই চমবৎ। সাধারণত পাদদেশ ২টি গ্রন্থিযুক্ত অথবা গ্রন্থিহীন, উপপত্র অতি ক্ষুদ্র। এই গণের প্রজাতির পুষ্পবিন্যাস একটি অনির্দিষ্ট পুষ্প বিন্যাস, কাক্ষিক অথবা প্রান্তীয়। ফুল উভলিঙ্গ, সাদা, বিবর্ণ হলুদ অথবা পাটল বর্ণের হয়। বৃত্যংশ ৫টি, পুষ্পবৃন্তিকার সংযোগস্থল একটি কালো বর্ণের গ্রন্থি সম্বলিত। পাপড়ি ৫টি, বৃন্তযুক্ত, অসমান, রেশমী, সুগন্ধি। পুংকেশর ১০টি, মসৃণ, পুংদন্ড পাদদেশে সংযুক্ত। গর্ভাশয় ৩-কোষ্ঠীয়, রোমাবৃত, গর্ভদন্ড ১২টি, সূত্রাকার, গর্ভমুণ্ড মুণ্ডাকৃতির। ফল একটি ৩ পাখনাযুক্ত অ্যাকিন। বীজ উপগোলাকার, ভ্রুণ অসমান। মাধবীলতা এই গণের জনপ্রিয় একটি ফুল। মিষ্টি গন্ধের জন্য মাধবীলতা অনেক দেশে চাষ করে। এই প্রজাতি প্রায়শই চাষা করলেও এটি ফুল ক্ষণস্থায়ী; এটি পোকামাকড়ের দ্বারা আক্রান্ত হয় বেশি। এছাড়াও এটিতে ক্ষতিকারক আগাছা উঠতে পারে।
হিপটাগি গণে ৩০টির মতো প্রজাতি আছে; যার মধ্যে কাষ্ঠল লতা ও ছোট বৃক্ষ প্রজাতিও আছে। এই গণের প্রজাতিগুলো সাধারণত ভারত, মায়ানমার, চীন, তাইওয়ান ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং শ্রীলংকাসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র:
১. এম আহসান হাবীব (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৪। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Vinayaraj
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।
রোদ্দুরে উদ্ভিদ বিষয়ক একটি ভালো ওয়েব সাইট।
উদ্ভিদ বিষয়ে এই ওয়েব সাইডটি অনেক ভালো কাজ করছে।