জয়তি সারা দুনিয়ার শোভাবর্ধক আলংকারিক ফুল

ফুল

জয়তি

বৈজ্ঞানিক নাম: Jatropha integerrima Jacq., Enum. Pl. Carib.: 32 (1760). সমনামঃ Jatropha pandurifolia Andr. (1802), Jatropha hastata Jacq. (1910). ইংরেজি নাম: Fiddle-leaved Jatropha. স্থানীয় নাম: জয়তি।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots বর্গ: Malpighiales পরিবার: Euphorbiaceae গণ: Jatropha প্রজাতি: Jatropha integerrima

ভূমিকা: জয়তি (বৈজ্ঞানিক নাম: Jatropha integerrima ইংরেজি: Fiddle-leaved Jatropha)। এটি Euphorbiaceae পরিবারের Jatropha গণের লতানো গুল্ম।

বর্ণনা: জয়তি মাধ্যম আকৃতির গুল্ম। এটি প্রায় ২ মিটার লম্বা হয়, তরুণ অংশ রোমশ। পত্র বিডিম্বাকার থেকে বিভল্লাকার, পাতার দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ১০ (-১০) x প্রস্থ ১.৫ থেকে ৫.০ সেমি, দেখতে তীক্ষা, মূলীয় অংশ সরু, অখন্ড, মুলীয় অংশ থেকে ৮-১২ জোড়া শিরা উখিত, পার্শ্বীয় শিরা অস্পষ্ট, বৃন্তের আকার ১.০ থেকে ২.৫ সেমি লম্বা, উপপত্র তুরপুন আকার, ১ মিমি লম্বা।

পুষ্পবিন্যাস আম্বেল, ৮-১৩ সেমি লম্বা, মঞ্জরীদন্ড ৫-৮ সেমি লম্বা, মঞ্জরীপত্র রৈখিক-ভল্লাকার, ২-১০ মিমি লম্বা। পুংপুষ্প: বৃন্ত ১-২ মিমি লম্বা, বৃতিখন্ড ডিম্বাকৃতি ত্রিকোণাকার, ১ x ১ মিমি, সূক্ষ্মাগ্র বা স্থূলা, অখন্ড, পাপড়ি বিভল্লাকার, ১০-১১ x ৪-৫ মিমি, গোলাকার, লালাভ বা লাল, পুংকেশর ১০টি, বহিস্থ ৫টি ৫ মিমি এবং অন্তস্থ ৫টি ১ সেমি লম্বা, পরাগধানী ১ মিমি লম্বা। স্ত্রীপুষ্প: বৃন্ত ৫ মিমি লম্বা, বৃতিখন্ড ভল্লাকার, ২ x ১ মিমি, সূক্ষ্মাগ্র, অখন্ড, দল ও চাকতি পুংপুষ্পের দল ও চাকতির অনুরূপ, গর্ভাশয় ডিম্বাকার, ২.০ x ১.৫ মিমি, গর্ভদন্ড ২ মিমি লম্বা, গভীর ২ খন্ডিত।

ফল গোলাকৃতি ত্রিকোণাকার, পটী বা প্রকোষ্ঠবিদারী। বীজ ডিম্বাকৃতি উপবৃত্তাকার, ৮-৯ x ৫ মিমি, হলুদাভ, চিত্রবিচিত্রিত, কালচে-বাদামী, কেরাঙ্কল ২-খন্ডিত, ব্যাস ২ মিমি। [১] ক্রোমোসোম সংখ্যা : 2n = ২২ [২]

আবাসস্থল ও চাষাবাদ: পথিপার্শ্ব ও উদ্যান।  বীজ ও শাখা কলমে বংশ বিস্তার। ফুল ও ফল ধারণকাল প্রায় সারা বছরই এই গাছে ফুল ধরে।

আরো পড়ুন:  হয়া পরগাছা ভেষজ ও আলঙ্কারিক লতা

বিস্তৃতি: আদিনিবাস কিউবা বর্তমানে সর্বত্র চাষাবাদ হয়। বাংলাদেশের অনেক উদ্যানে এবং পথিপার্শ্বে বাহারি উদ্ভিদ রূপে রোপণ করা হয়।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) জয়তি প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে জয়তি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।৩]]

তথ্যসূত্র:                                                                  

১. সুমনা আফরোজ (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪৬১-৪৬২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

২. Kumar, V. and Subramaniam,, B. 1986 Chromosome Atlas of Flowering Plants of the Indian Subcontinent. Vol.1. Dicotyledons Botanical Survey of India, Calcutta. 464 pp.  

Leave a Comment

error: Content is protected !!