ভূমিকা: লাউসনি হচ্ছে লেথারসিস পরিবারে সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি গণের নাম। এই গণে অন্তর্ভুক্ত প্রজাতিগুলো বৃক্ষ ও গুল্ম উভয়ই হয়। বাগানের শোভাবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে।
বিবরন: এই গণের প্রজাতিগুলো মসৃণ গুল্ম বা ক্ষুদ্র বৃক্ষ হয়ে থাকে। কাণ্ড পরিণত অবস্থায় কণ্টকযুক্ত, কচি শাখা মাঝে মাঝে ৪-কোণাকার, পুরানো শাখা গোলাকার।
পত্র প্রতিমুখ, খাটো বৃন্তযুক্ত, অখন্ড । পুষ্পমঞ্জরী শীর্ষীয় প্যানিকেল। পুষ্প চতুরাংশক, সাদা অথবা হলুদাভ-সাদা। বৃতি নল প্রশস্তভাবে ঘণ্টাকার, ৪-খণ্ডিত, সহায়ক দন্তক নেই। পাপড়ি কুঞ্চিত, বিডিম্বাকার, স্থূলাগ্র।
পুংকেশর ৮টি, পাপড়ির সাথে জোড়ায় জোড়ায় একান্তর, সবগুলো সমান দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট, পরাগধানী প্রশস্ত আয়তাকার, যোজক পুরু। গর্ভাশয় উপগোলকাকার বা বিডিম্বাকার, নিচে সংকীর্ণ, ৪-প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট, ডিম্বক প্রতি প্রকোষ্ঠে অনেক, অমরা অক্ষীয়, গর্ভদণ্ড পুংকেশর অপেক্ষা সামান্য দীর্ঘতর, গর্ভমুণ্ড সরল।
ফল ক্যাপসিউল, গোলকাকার, গোড়াতে বৃতি নল দ্বারা আবৃত, ১অথবা অসম্পূর্ণরূপে ৪-প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট, অসমভাবে বিদারী। বীজ কেন্দ্রীয় অমরাতে কাছাকাছি আবদ্ধ, পিরামিড আকৃতির। এই গণের একটি প্রজাতির নাম মেহেদি।
তথ্যসূত্র:
১. এম অলিউর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪২২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।