পরিচিতি: পানি কর্পূর বর্ষজীবী, সুগন্ধি, জলজ বীরুত। এরা মসৃণ এবং লোমযুক্ত। এই উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম Limnophila aromatica, এটি Scrophulariaceae পরিবারের উদ্ভিদ। এদের কাছ থেকে লেবু এবং জিরার ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
পানি কর্পূর-এর বর্ণনা:
এই উদ্ভিদ ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত খাড়া, চ্যাপটা, খাঁজযুক্ত, ফিকে সবুজ, কদাচিত অনুজ্জ্বল লালচে বেগুনি বর্ণের হয়। এদের কাণ্ড মোটা, নরম ও সরল। গাছ ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উঁচু হয়। এদের পাতা কাণ্ডের বিপরীত দিকে জোড়ায় জোড়ায় হয়, কখনো তিনটি দেখা যায়। পাতার কিনারা করাতের মতো দাঁতযুক্ত, অগ্রভাগ সরু ও অবনত। পাতার সংযোগ স্থল থেকে সবুজের আভাযুক্ত সাদা বর্ণের এক একটি ফুল হয়। ফুলে বেগুনি দাগ আছে। পুষ্পদণ্ড ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। বর্ষাকালে ফুল এবং শীতকালে ফল ধরে।
বিস্তৃতি:
এটি চট্টগ্রাম, ঢাকা, দিনাজপুর, গাজীপুর, খাগড়াছড়ি এবং পটুয়াখালী জেলায় পাওয়া যায়। আর্দ্র স্থানে, স্যাঁতসেঁতে এলাকায় বিশেষ করে ধানখেতে প্রচুর জন্মে। গাছের নিচের অংশ পানিতে ডুবে থাকে। আদি নিবাস বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া বা দক্ষিণপূর্ব এশিয়া। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর ভিয়েতনামী অভিবাসনের কারণে ১৯৭০-এর দশকে এই উদ্ভিদ উত্তর আমেরিকাতে চালু হয়।
ব্যবহার:
পাতার রস কফ নিবারক। যখন মায়ের দুধ টক লাগে তখন পুষ্টির জন্য এর পাতার রস খেতে দেওয়া হয়। আমাশয়ের চিকিত্সায় এই গাছ ব্যবহূত হয়। এটি প্রথাগত কম্বোডিয়ান স্যুপ ডিশ এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের খাবারে ব্যবহৃত হয়।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।