আফিম বা আফিং (বৈজ্ঞানিক নাম: Papaver somniferum, ইংরেজি: Opium poppy) বর্ষজীবী গুল্ম। এ গাছ লম্বায় সাধারণত ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত হয়। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে এর বীজ বপন করা হয় ও জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে এর ফুল ও ফল হয়। ফল পাকলে তা থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয়। এগুলোই দেখতে পোস্তদানা মতো। পোস্তদানা, ফল, আঠা, ফুল ও ফুলের পাপড়ি সবগুলোই ঔষধরূপে ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুন: আফিং বা আফিম হচ্ছে ভেষজ গুণসম্পন্ন বর্ষজীবী গুল্ম
রোগে ব্যবহার:
১. স্নায়ু রোগে:
আফিম অল্প দুধের সাথে ২৫ মিলিগ্রাম আফিং মিশিয়ে খেলে উপকার স্নায়ুরোগে পাবেন।
২. অস্ত্রজ বায়ুগত রোগে:
সকালে অথবা বিকালে কিছু খাওয়ার পর সামান্য গরম বার্লির পানিসহ ২৫ মিলিগ্রাম আফিং মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
৩. পাথুরি রোগে:
পাথুরে বা পাথর অসুখে যারা ভুগছেন তাঁরা ২৫ মিলিগ্রাম আফিং মিসরীর পানির সাথে মিশিয়ে কিছুদিন খেলে উপকার পাবেন।
৪. সর্দিগর্মিতে :
সর্দিগর্মি হলো যখন শীত কমে গিয়ে হঠাৎ করে একটু গরম বেড়ে যায় তখন বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল অসুখে অনেকেই আক্রান্ত হয়। অনেকের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি লেগে যায়। এক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম আফিং মিসরীর পানিসহ খান, উপকার পাবেন।
৫. দুর্বল স্বাস্থ্যে:
যারা দুর্বল স্বাস্থ্যের মানুষ, কাজকর্ম করতে পারে না, তারা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ঠিক করে প্রতিদিন দুধসহ আফিং খেলে উপকার হবে।
৬. বমিতে:
১৫ থেকে ২০ ফোটা আদার রস গরম করে, সেটা ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে তার সাথে ১৫ থেকে ২০ মিলিগ্রাম আফিং মিশিয়ে খেলে বমি কমে যাবে।
৭. হাত-পা কামড়ানো:
১০ থেকে ১৫ ফোঁটা আদার রসের সাথে ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম আফিং মিশিয়ে খেলে গা-হাত-পা কামড়ানো কমে যায়।
৮. একশিরাতে:
২০ থেকে ২৫ ফোঁটা আদার রসের সাথে ১৫ থেকে ২০ মিলিগ্রাম আফিং মিশিয়ে প্রতিদিন একবার অথবা দু’বার খেলে উপকার পাবেন।
[বি: দ্র: জ্বর থাকলে আফিং-এর ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।]
সতর্কীকরণ:
ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্র:
১. আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; মণিহার বুক ডিপো, ঢাকা, অক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা ১৭৮-১৭৯।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।