মুগ ডাল সহজ, সস্তা ও পুষ্টিকর খাদ্যশস্য

ডাল

মুগ

বৈজ্ঞানিক নাম: Vigna radiate (L.) R. Wilczek সমনাম: Azukia radiata (L.) Ohwi, Phaseolus abyssinicus Savi, Phaseolus aureus Roxb., Phaseolus aureus Wall., Phaseolus aureus Zuccagni, Phaseolus chanetii (H.Lev.) H.Lev.Phaseolus hirtus Retz.  ইংরেজি নাম: Mung beans. স্থানীয় নাম: মুগ। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. বর্গ: Fabales. পরিবার: Fabaceae. গণ: Vigna.  প্রজাতি: Vigna radiate

ভূমিকা: মুগ (বৈজ্ঞানিক নাম: Vigna radiate ইংরেজি নাম: Mung beans) হচ্ছে ফেবাসি পরিবারের ভিগনা গণের  একটি সপুষ্পক গুল্ম। এই গুল্মটি চাষ করা হয় ডাল হিসাবে খাওয়ার জন্য।

বিবরণ: কলাই জাতীয় ডালের মধ্যে মুগই প্রধান। মুগ কলাই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত ;-ক. কৃষ্ণমুগ খ. সোনামুগ। কৃষ্ণমুগ দেখিতে কালো, আকারে সোনামুগ অপেক্ষা বড়। সোনামুগ আবার তিনভাগে বিভক্ত, যথা, সোনামুগ, ঘোড়ামুগ ও ঘেসোমুগ। সোনামুগের ডাল সর্বোৎকৃষ্ট ও সুগন্ধযুক্ত। ঘোড়ামুগ ও ঘেসোমুগ দেখিতে সোনামুগের ন্যায় কিন্তু আকৃতি একটু লম্বা ও সামান্য সবুজ আভাযুক্ত। সোনামুগ আকৃতিতে একটু ছোট, দেখতে পীতাভ। বাজারে ঘোড়ামুগ ও ঘেসামুগ, সোনামুগ বলেই বিক্রয় হয়। ডালটি সম্পর্কে এই কয়েকটি বিষয়ে ধারণা থাকলেই সঠিক ডাল কেনা যাবে।

আরো পড়ুন: মুগ ডাল-এর ১০টি ভেষজ গুণ

চাষাবাদ: মুগ বপন সময় আশ্বিন মাসে থেকে শুরু করে অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাস পর্যন্ত। কিন্তু ভারতের মধ্যপ্রদেশে আষাঢ় মাসে বোনা হয়ে থাকে। উচু জমিতে ৩ থেকে ৪টি চাষ দিয়ে ও মাটি ভালভাবে গুড়া করে ডাল বুনতে হবে। জমিতে পচা গোবর সার দেয়াই উৎকৃষ্ট। এক বিঘা জমিতে সোনামুগ ৩ মণ এবং কৃষ্ণমুগ ৪ মণ হয়ে থাকে। বপনের কিছুদিন পরে এক পশলা বৃষ্টি পাইলে ভাল ফসল হয়।

ঔষধার্থে ব্যবহার: মুগ জ্বর রোগীর পথ্য। রোগীর পক্ষে ঘোড়ামুগ সোনামুগের থেকে বেশি উপকারী। মুগের ডাল খেলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়। মুগের ডালের বেসম হয়। তা দিয়ে পাঁপড় হয়। মুগের ডালের বেসমে সাবান অপেক্ষা ভালভাবে ত্বক পরিষ্কার হয়, ইহাতে ত্বক নরম রাখে।

আরো পড়ুন:  হেলেঞ্চা শাক ভারত বাংলাদেশের সহজলভ্য ঔষধি শাক

বিস্তৃতি: মুগ গুল্মের আদিনিবাস দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়র দেশসমূহে। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, চীন, এবং কোরিয়াসহ এশিয়ার অনেক দেশেই মুগের চাষ করা হয়।

সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্রঃ

১. ডা: শ্রীযামিণী রঞ্জন মজুমদার: খাদ্যশস্য, মি: বি ছত্তার, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৩৫১, পৃষ্ঠা, ৬৯-৭০।

Leave a Comment

error: Content is protected !!