ভূমিকা: পাহাড়ি ছাতিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Alstonia neriifolia) হচ্ছে এপোসিনাসি পরিবারের এলস্টোনিয়া গণের একটি সপুষ্পক বৃক্ষ। এদের ফুল সুগন্ধ ছড়ায়, ফলে বড় আকারের বাগানে সুগন্ধের জন্য রোপণযোগ্য।
বিবরণ: পাহাড়ি ছাতিম ছোটট বৃক্ষ। পত্র এক আবর্তে অল্প সংখ্যক, অঙ্কীয় পৃষ্ঠ রোমশ, পত্রফলক ১০-২০ X ১.৫-৩.০ সেমি, সরু। সাইম উপ-ক্ষুদ্রছত্রমঞ্জরী। পুষ্প ক্ষুদ্র। বৃতি খন্ড ত্রিকোণাকার, ডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র। দলমণ্ডল নল অনূর্ধ্ব ২.৫ সেমি লম্বা, খন্ডসমূহ আয়তাকার, স্থূলাগ্র। ফলিক্যাল দীর্ঘ, অনূর্ধ্ব ১৮ সেমি লম্বা। ফুল ও ফল ধারণ ও নথিভূক্ত নয়।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।
চাষাবাদ ও আবাসস্থল: চিরহরিৎ বনাঞ্চল। বংশ বিস্তার হয় বীজ দ্বারা।
বিস্তৃতি: ভুটান, ভারতের উষ্ণমণ্ডলীয় হিমালয় এবং নেপাল। বাংলাদেশে ইহা মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম জেলার বন অঞ্চলে দেখা যায়।
পাহাড়ি ছাতিম গাছের অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব
কাঠ পেকিং বাক্স, আসবাবপত্র, কফিন, ব্ল্যাক বোর্ড, কাগজ ও কাগজের মণ্ড তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয়। বাকলের দ্রবণীয় আরক চর্মরোগ, যকৃতের সমস্যা, বহু দিন স্থায়ী জ্বর, অজীর্ণ রোগ, শরীরের শক্তিহীনতা, উদরাময়, আমাশয়, বহু দিন স্থায়ী আলসার, হাঁপানী, বায়ুনালীর ক্ষুদ্রাংশের প্রদাহ, হৃদরোগ উপশমে প্রয়োগ করা হয় ।
অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৬ঠ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) পাহাড়ি ছাতিম প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, প্রজাতিটির সংকটের কারণ হচ্ছে আবাসস্থল ধ্বংস। বাংলাদেশে এই প্রজাতিটি তথ্য সংগৃহীত হয়নি (NE), তবে মনে হয় বিরল। বাংলাদেশে পাহাড়ি ছাতিম সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির এক্স-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণের উপদেশ দেয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. এম আতিকুর রহমান, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৮৭। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।