চিল্লা এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ গাছ

চিল্লা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আরম্ভ করে প্রায় সমগ্র ভারতের যত্রতত্র Casearia tomentosa প্রজাতিটিকে দেখতে পাওয়া যায়। মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড়যুক্ত গাছ। কাণ্ডের ছাল ধূসর, বেশ মোটা, সহজে ভেঙ্গে যায়। কাঠের বর্ণ পীতাভ শ্বেত। পাতা আয়তাকার, সূচাগ্র, গোড়ার দিকটাও ক্রমশঃ সরু, সামান্য রোমশ, সাধারণতঃ ৫ । ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা। কিনারা কাটা কাটা। শাখা-প্রশাখাগুলিও রোমশ। ফুল সবুজাভ- শ্বেত বর্ণের, পাতার কুক্ষিতে অনেকগুলি একসঙ্গে ফোটে। ফল ইঞ্চিখানিক লম্বা, ডিম্বাকৃতি, মাংসল, চকচকে, মসৃণ ও তিন কোষযুক্ত। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ফুল ও ফল হয়।

চিল্লা-এর ভেষজ গুণাগুণ:

এর ছাল কমলাগুঁড়ির ( Mallotus philippinensis Muell. Arg.) সঙ্গে মিল থাকায় বাজারে উভয়ের মিশ্রণ দিয়ে ভেজাল বানিয়ে বিক্রি করে থাকে। ছাল তিক্ত স্বাদের, শোথে প্রলেপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাতা জলে ভিজিয়ে সেই জলে স্নান করলে চর্মরোগে উপকার পাওয়া যায়। ফল মূত্রকারক, কিন্তু বিষাক্ত। বিশেষ ক’রে মাছের ক্ষেত্রে এটি ভয়ঙ্কর বিষ।

এই গণের আর একটি প্রজাতির ফলও মৎস্যবিষ, সেটির নাম হলো – Cascaria graveolens Dalz; এর পাতাও বিষাক্ত । এটিকেও কোথাও কোথাও চিল্লা বলা হয়।

সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্র:

১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ১১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, সপ্তম মুদ্রণ ১৪২৬, পৃষ্ঠা, ২৬৮-২৬৯।

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Sushain Babu

Leave a Comment

error: Content is protected !!