পরিচয়: আগাডিরাক্টা মেলিয়াসি বা মেহগানি পরিবারের অন্তভুক্ত। এই গণের সব প্রজাতি বৃক্ষ। এরা দেখতে সরল রোমবিশিষ্ট হয়। পাতা পক্ষল, পত্রবৃন্তের গোড়ায় এক জোড়া গ্রন্থি বর্তমান।
এদের পুষ্প উভলিঙ্গ হয় এবং পুং পুষ্প একই উদ্ভিদে উপস্থিত (মিশ্রবাসী)। বৃত্যংশ ৫টি এবং প্রান্ত-আচ্ছাদী থাকে। ৫ট পাপড়ি যুক্ত মুক্ত ফুল ফোটে, প্রান্ত-আচ্ছলী হয়। পুংকেশরীয় নল বেলনাকার, মুখের কাছে কিছুটা ছড়ানো, কিনারা সচরাচর ১০-খন্ডিত, খন্ডগুলো গোলাকার, কর্তিতাগ্র, খাতাগ্র বা দ্বি-খন্ডিত, এই গণের প্রজাতির ফুলে পরাগধানী ৮-১০টি থাকে, দেখতে মসৃণ হয়, প্রতিমুখ খন্ডের গোড়ায় সন্নিবেশিত, চক্র বলয়াকার, গর্ভাশয়ের পাদদেশে সংযুক্ত। গর্ভাশয় ৩-প্রকোষ্ঠীয়, প্রতি প্রকোষ্ঠে ডিম্বক ২টি, গর্ভমুণ্ডের অগ্রস্থ ফীত পুষ্পধার ৩টি তীক্ষ্ণ এবং আংশিকভাবে একত্রিত উপবৃদ্ধিবিশিষ্ট খন্ডক সম্বলিত।
ফল ড্রপ আকারের। ফলের ভিতরে ১ থেকে ২টি বীজবিশিষ্ট, অন্ত:স্তক পাতলা, শক্ত এবং রুক্ষ। বীজ নিরেট ডিম্বাকার, দূরস্থ সূচাগ্রবিশিষ্ট, বীজ আবরণ পাতলা, ঝিল্লিময়, বীজপত্র সমোত্তল, পার্শ্বিক। প্রজাতি: এই গণে ২টি প্রজাতি আছে তার মধ্যে একটি প্রজাতির নাম নিম (Azadirachta indica)।
তথ্যসূত্র:
১. এম এ হাসান এবং নাহিদ সুলতানা, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ০৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৯২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।