ভূমিকা: এরিকা হচ্ছে এরিকাসি পরিবারের সপুষ্পক একটি উদ্ভিদের গণের নাম। এই গণে প্রায় ৫০টি প্রজাতির গাছ আছে। এই গণের প্রজাতিগুলো লম্বা আকারে হয়ে থাকে।
বিবরণ: এরিকা গণের প্রজাতিগুলো লম্বা, সরু, ঋজু তাল, কান্ড বলয়ী। পাতা পক্ষবৎ অতিখন্ডিত, দুরস্থ খন্ডসমূহ সম্মিলিত। এদের পুষ্প সহবাসী, পত্র মধ্যবর্তী সশাখ মঞ্জরীদন্ডে সন্নিবেশিত। চমসা ৩ বা ততোধিক, আশুপাতী, সর্বনিম্নটি সম্পূর্ণ, উপরের চমসা মঞ্জরীপত্র সদৃশ।
পুংপুষ্প দ্বিসারী বা এক পার্শ্বীয়, অসংখ্য, একল বা জোড়ায়, ক্ষুদ্র, চাপা বা ত্রিকোণাকার, বৃত্যংশ ৩ টি, ক্ষুদ্র, পাপড়ি ৩ টি, তীর্যক ভল্লাকার, প্রান্তস্পর্শী, পুংকেশর ৩ টি বা ৬ টি, পাদলগ্ন, ঋজু।
স্ত্রীপুষ্প মঞ্জরীদন্ডের শাখার পাদদেশ সংলগ্ন, একল, পুংপুষ্পের চেয়ে অধিক বড়, পুষ্পপুট বাড়ন্ত, বৃতি ৩ টি, বর্তুলাকার, প্রান্ত আচ্ছাদী, পাপড়ি ৩টি, বর্তুলাকার, প্রান্ত আচ্ছাদী, শীর্ষ সূক্ষাগ্র, গর্ভপত্র ৩ টি, যুক্ত, গর্ভাশয় ১ প্রকোষ্ঠী, ডিম্বক মূলীয়, ঋজু, গর্ভমুণ্ড ৩ টি, অদন্তক।
ফল ডিম্বাকার বা দীর্ঘায়ত, শীর্ষে গর্ভমুণ্ড যুক্ত। বীজ ক্ষুদ্র, মূলীয় অংশ কর্তিতাগ্র। সস্য চর্বিতবৎ, জ্বণ মূলীয়।
বাংলাদেশে প্রাপ্ত সুপারি (বৈজ্ঞানিক নাম: Areca catechu) এই গণের একটি পরিচিত উদ্ভিদ।
তথ্যসূত্র:
১. এম. জসিম উদ্দিন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১১ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৯৯-১০০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।