ভূমিকা: দেশি কচুয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Glochidion acuminatum) হচ্ছে এক প্রকারের ভেষজ গুল্ম। এই প্রজাতিটি পূর্ব এশিয়ার দেশে জন্মায়।
দেশি কচুয়া-এর বিবরণ:
দেশি কচুয়া একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এই প্রজাতিটি প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছের গুঁড়ির ব্যাস ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই গণে অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে এই গাছের পাতা আকারে ছোট। খাদ্য এবং কাঠের উৎস হিসাবে স্থানীয় ব্যবহারের জন্য গাছটি বন্য থেকে সংগ্রহ করে।
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:
পাইন বাগান, বনের প্রান্ত, রাস্তার ধারে, ঝোপঝাড়, পুরানো ক্লিয়ারিং, খোলা তৃণভূমির মতো প্রধানত খোলা, গৌণ স্থানে স্থানীয়ভাবে সাধারণ থেকে বিক্ষিপ্ত; এছাড়াও পাহাড়ী চিরহরিৎ বন, ওক বন, এবং কম পর্ণমোচী বনে, ১১০০ – ১৭৫০ মিটার উঁচুতে জন্মে। গ্রানাইট বেডরকের উপরে বন্য মাটিতে পাওয়া যায়। এই প্রজাতিটির পরাগায়নের প্রক্রিয়ার জন্য এপিসেফালা গণের পতঙ্গের সাথে একটি সিম্বিওটিক সম্পর্ক জড়িত। এটি ঘনিষ্ঠভাবে সমান্তরাল যা ইউক্কা প্রজাতিতে পাওয়া যায়।
বিস্তৃত: পূর্ব এশিয়া দেশসমূহ চীন, উত্তর ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড-এ জন্মে।
ব্যবহার:
এর কাঠ লাল থেকে লালচে-ধূসর বর্ণের ও শক্ত, যার রেডিয়াল অংশে সুন্দর রূপালী দানা রয়েছে। যদিও এর কাঠটি বেশ খারাপভাবে বিভক্ত হয়, তবে এটি একটি সুদর্শন এবং টার্নারিতে কার্যকর হতে পারে।
তথ্যসূত্র:
১. “Glochidion acuminatum”, Useful Tropical Plants, ইউআরএলঃ https://tropical.theferns.info/viewtropical.php?id=Glochidion+acuminatum
[বি.দ্র: প্রবন্ধে ব্যবহৃত ছবিটি Useful Tropical Plants সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রী: LiChieh Pan]
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।