পরিচিতি: রাম্বুটানের বৈজ্ঞানিক নাম Nephelium lappaceum L. রাম্বুটান ফলের চেহারা দেখে একে কেউ কেউ দাঁড়িওয়ালা লিচু বলেন। কেননা লিচুর মতো ফলটির খোসায় কাঁটার বদলে আছে নরম আঁশ বা চুলের মতো মোটা আঁশ। রাম্বুটানের গাছ মাঝারি আকারের বৃক্ষ প্রকৃতির। লম্বা হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ মিটার। বেশ ঝোপাল স্বভাবের এই গাছে ২ থেকে ৪টি পাতা একত্রে থাকে। ফুলের রঙ সবুজাভ, ক্ষুদ্র, একটি ছড়ায় ৬০০-২০০০ টি ফুল ফোটে। কিন্তু থোকায় ফল তত ধরে না।
ফল লিচুর মতই থোকায় থোকায় ধরে। ফল ডিম্বাকার থেকে গোলাকার। কাঁচা ফলের রঙ সবুজ, পাকলে রঙ লাল হয়ে যায়। খোসা লম্বা, খাঁজকাটা, বাঁকা কাঁটাযুক্ত। তবে কাঁটাগুলো তত শক্ত নয়। খোসা ছাড়ালে ভেতরে লিচুর মতো সাদা শাঁস পাওয়া যায়। শাঁসের স্বাদ মিষ্টি টক, এবং শাঁস রসাল। ভেতরে বীজ থাকে একটি। প্রতিটি ফলের ওজন ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম। ফল ধরে গ্রীষ্মকালে।
চাষাবাদ: রামবুটান লিচুর মতো গুটি কলম করে চারা তৈরি করা যায়। বেলে দোয়াশ ও এঁটেল দোয়াশ মাটিতে গাছ ভাল হয়। এই গাছের জন্য মাটির অম্ল মান বা পিএইচ ৪.৫ থেকে ৬.৫ উপযুক্ত। প্রতি হেক্টরে ৮০-১২০টি গাছ লাগানো যেতে পারে।
বিস্তৃতি: রাম্বুটান বাংলাদেশের ফল নয়, ফলটির আদি নিবাস পশ্চিম মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা। তবে ফলটি এখন থাইল্যান্ডে প্রচুর জন্মায়। জাভা বোর্নিও, কম্পুচিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামে চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ভালুকা ময়মনসিংহ এবং রাঙ্গামাটিতে ভালো ফলন হচ্ছে। বাংলাদেশে চাষ উপযোগী জাত বিভিন্ন নার্সারিতে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
১. মৃত্যুঞ্জয় রায়; বাংলার বিচিত্র ফল, দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৭, পৃষ্ঠা ৩০০।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।
Hi, Greeting of the day! This article is useful to me. I wish your article will help to save the fruits. Let me know what you think. Warm Regards.