লাল আমড়া এশিয়া ও আমেরিকার ফলদ বৃক্ষ

[otw_shortcode_info_box border_type=”bordered” border_color_class=”otw-red-border” border_style=”bordered” shadow=”shadow-inner” rounded_corners=”rounded-10″]বৈজ্ঞানিক নাম: Spondias purpurea L., Sp. Pl. ed. 2: 613 (1762). সমনাম: Spondias mombin L. (1753), Spondias cytherea Sonnerat (1782), Spondias dulcis Blanco (1837). সাধারণ নাম: Hog Plum, Spanish_Plum, Red Mombin, Ambarella. বাংলা নাম: বিলাতী আমড়া, আমড়া। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots অবিন্যাসিত: Rosids বর্গ: Sapindales পরিবার: Anacardiaceae গণ: Spondias প্রজাতি: Spondias purpurea.[/otw_shortcode_info_box]

ভূমিকা: লাল আমড়া এনাকার্ডিয়াসি পরিবারের স্পনডিয়াস গণের একটি ফলদ বৃক্ষ। এটি বাংলাদেশে জনপ্রিয় ফলদায়ী গাছ। লাল আমড়ার ফল আচার ও খাবারে যথেষ্ট ব্যবহৃত হয়।

বিবরণ: লাল আমড়া একটি পর্ণমোচী বৃক্ষ যারা অনূর্ধ্ব ২৫ মিটার লম্বা। এদের কাণ্ড মসৃণ। পত্র একান্তর, সাধারণত শাখার প্রান্তদেশে গুচ্ছাকারে অবস্থান করে। পুষ্পমঞ্জরী অক্ষ ৬-১২ সেমি লম্বা, পত্রবৃন্ত ২.৫-৪.০ সেমি দীর্ঘ, পত্রক কাগজ সদৃশ, তির্যকভাবে উপবৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার-আয়তাকার, ২.০-৫.৫ X ১.০-২.৫ সেমি, মধ্যশিরা অণুরোমশ, নিচের মধ্যশিরা ও শিরা এবং উপরের মধ্যশিরা মসৃণ, তলীয় অংশ তির্যকভাবে কীলকাকার, শীর্ষ সূক্ষ্মাগ্র থেকে দীর্ঘাগ্র, অখন্ড, শিরা ৬-১০ জোড়া। প্রান্তীয় অনিয়তাকার পুষ্পবিন্যাস, পত্রের সম্মুখে দৃষ্টিগোচর হয়, অনূর্ধ্ব ৪ সেমি দীর্ঘ, ঈষৎ অণুরোমশ শাখাসমূহ ১ সেমি দীর্ঘ, লঘু-পুষ্পিত।

মঞ্জরীপত্র ১-২ মিমি দীর্ঘ, পুষ্প লালচে থেকে রক্তিম, মিশ্রবাসী, পুষ্পবৃন্তিকা ২-৪ মিমি দীর্ঘ। বৃতি ক্ষুদ্র, ৪-৫ খন্ডিত, খন্ডসমূহ ত্রিকোণাকৃতি, ঈষৎ প্রান্ত-আচ্ছাদী, ০.৫ মিমি দীর্ঘ। দলসমূহ ৪-৫টি, অর্ধ-প্রান্ত স্পর্শী, ডিম্বাকার-উপবৃত্তাকার, ৩-৪ X ১-২ মিমি। পুংকেশর ৮-১০টি, ফলকের অঙ্কীয় পৃষ্ঠে সন্নিবেশিত, পরাগধানী ডিম্বাকার, ৫ মিমি দীর্ঘ। গর্ভাশয় অর্ধ গোলাকার, ৭ মিমি দীর্ঘ, ৪-৫ প্রকোষ্ঠী, গর্ভদণ্ড একত্রে কিন্তু বিযুক্ত, ডিম্বক একল, প্রতি প্রকোষ্ঠে ঝুলন্ত। ফল শক্ত ১-৫টি কোষী ষ্টোন বিশিষ্ট সরস ড্রুপ জাতীয়, কোষ সমূহ ঋজু বা অপসারী। বীজ ঝুলন্ত, ভ্রুণ ঋজু। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে মার্চ থেকে অক্টোবর মাসে।

আরো পড়ুন:  টক পেয়ারা সারা দুনিয়ায় চাষকৃত একটি ফল

ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।

চাষাবাদ ও আবাসস্থল: চাষাবাদকৃত শুষ্ক জমি। বংশ বিস্তার হয় বীজ দ্বারা ।

বিস্তৃতি ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আমেরিকা, ভারত ও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে এটি কদাচিৎ চাষ করা হয়।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: মিষ্টি ফলের জন্য গাছটি চাষ করা হয়। জাভায় (ইন্দোনেশিয়া) শক্ত বাকল ডাকটিকেট চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু ফল উচ্চ মূল্যসম্পন্ন বলে বিবেচনা করা হয় না (Hou, 1978)।

সংরক্ষণ তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৬ষ্ঠ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) লাল আমড়া প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, প্রজাতিটির হুমকির বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বাংলাদেশে লাল আমড়া সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে, সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে আশু সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন নেই।[১]

তথ্যসূত্র:

১. সুমনা আফরোজ, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১২৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!