বৈজ্ঞানিক নাম: Trema orientalis
সমনাম: নেই
বাংলা নাম: দেশি জীবন, জীগনি, গাদুবা
ইংরেজি নাম: Pigeon wood, Indian Charcoal Tree.
আদিবাসি নামঃ
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants
উপরাজ্য: Tracheobionta – Vascular plants
অধিবিভাগ: Spermatophyta – Seed plants
বিভাগ: Magnoliophyta – Flowering plants
শ্রেণী: Magnoliopsida – Dicotyledons
বর্গ: Rosales
পরিবার: Cannabaeae
গণ: Trema
প্রজাতি: Trema orientalis
পরিচিতি: দেশি জীবন ছোট আকারের চিরসবুজ গাছ। এরা ৮-১০ মিটার পর্যন্ত বড় হয়। এই গাছের বাকল পাতলা। পাতা একান্তর ও সরল। কাঠ নরম ও জ্বালানি উপযোগি। পাখির মাধ্যমে বীজ ছড়ায়।
একটি বিস্তৃত সংস্কৃতির অঞ্চলে এটি ভেষজ ঔষধ হিসাবে এই গাছের বিভিন্ন ব্যবহার আছে। পাতা ও ছাল কফ, গলার ক্ষত, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, গনোরিয়া, হলুদ জ্বর, দাঁতব্যথা, এবং সাধারণ বিষাক্ততার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ফল পাকলে কবুতর, ঘুঘুসহ নানা পাখিরা ভিড় করে। কবুতর ঘুঘু এর ফল খাবার হিসেবে ব্যবহার করে বিধায় এই গাছের অন্য নাম ‘পিজিওন উড’ গাছ। অন্তত ১৪ প্রজাতির প্রজাপতি তাদের লার্ভার খাদ্য হিসেবে এটিকে ব্যবহার করে। পাতা ছাগল, গরু, মহিষের খাবার হিসেবে পাতা, ডাল এবং বীজ ব্যবহার হয়। এছাড়াও পাতাগুলোকে খেলার প্রাণীদের শাক খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই গাছটি এদের আদি নিবাসী অঞ্চলে একটি দ্রুত বর্ধমান প্রজাতি এবং সেসব এলাকায় জংগলের প্রান্তে পাওয়া যায়। এটি একটি অগ্রগামী প্রজাতি যা দুর্বল মাটির উপর দ্রুত বাড়তে পারে এবং বনের শক্ত কাঠের চারাগাছ রক্ষা করে বনভূমিকে বাড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে। জিবন গাছ নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণে (Nitrogen fixation) কাজে লাগে এবং এর ফলে অন্যান্য উদ্ভিদ প্রজাতির জন্য মাটি উর্বরতা উন্নত করতে পারে।
বিস্তৃতিঃ দুটি উপপ্রজাতি বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়।
বিবিধঃ Trema গণে প্রায় ১৫টি প্রজাতি রয়েছে পৃথিবীতে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।