ভূমিকা: গোয়ালী লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Cayratia pedata) হচ্ছে ক্যারাসিয়া গণের লতানো উদ্ভিদ। এই লতার অনেক ভেষজ গুণ আছে। উদ্ভিদটি ঝোপ-ঝাড়, পতিত জায়গা, রাস্তার পাশে জন্মায়।
গোয়ালী লতা-এর বর্ণনা:
কাষ্ঠল আরোহী, কান্ড বেলনাকার, রোমাবৃত, শাখাপ্রশাখা রেখাযুক্ত, আকর্ষী পত্র-প্রতিমুখ, সরু, পুন:পুন খন্ডিত। পত্র পদাঙ্গুলাকারে ৫-৭ পত্রক, পত্রবৃন্ত ১৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা, বলিষ্ঠ, রসালো, রেখাযুক্ত, পত্রক ৮-২০ x ২.৫-৮.০ সেমি, উপবৃত্তাকার, আয়তাকার-বল্লমাকার, খাটো দীর্ঘা, গোড়া গোলাকার, অধহৃৎপিন্ডাকার।
পুষ্পবিন্যাস করি, ৮-২০ সেমি চওড়া। পুষ্প উভলিঙ্গ, সাধারণত ৪-অংশক, খুবই ছোট, ০.৩-০.৪ সেমি চওড়া, সবুজাভ, রোমশ। ফল বেরী, ১ সেমি পর্যন্ত চওড়া, চ্যাপ্টা গোলাকার, ৪-বীজী। ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ৪০, ৭২, ৮০ (Fedorov, 1969).
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:
অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: উদ্ভিদ সঙ্কেচিক গুণসম্পন্ন এবং পাতার সিদ্ধ কৃাথ ইউটেরাইল রিফ্লেক্সে বাধা দেয় (Yusuf et al., 1994). এছাড়াও গোয়ালে লতার নানা ভেষজ গুণ আছে।
বর্ষা অরণ্য এলাকা। ফুল ও ফল ধারণ এপ্রিল-অক্টোবর মাস। বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং মৌল কান্ড দ্বারা। বিস্তৃতি: ভারত, মালয়েশিয়া, মায়ানমার এবং শ্রীলংকা। বাংলাদেশে জানামতে একমাত্র সিলেট জেলায় বিস্তৃত।
অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) গোয়ালী লতা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত নয়। বাংলাদেশে গোয়ালী লতা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির আবাসস্থল চিহ্নিতকরণ এবং ইন-সিটু ও এক্স-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে।
তথ্যসূত্র:
১. এম আতিকুর রহমান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ১০ম, পৃষ্ঠা ৫০৪। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।