ভূমিকা: মাকরিগিলা (বৈজ্ঞানিক নাম: Derris marginata) এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হয়।
মাকরিগিলা-এর বর্ণনা:
রোমহীন, সুদৃশ্য আরোহী। পত্র ১৫-২০ সেমি লম্বা, পত্রক ৫টি, মধ্যম দৃঢ়, উপরিভাগ কিছুটা চকচকে, শীর্ষ আংশিক পুচ্ছযুক্ত, শিরা সামান্য প্রকাশিত। পুষ্পবিন্যাস প্যানিকল, পত্রের সমান লম্বা, কিছুসংখ্যক ছড়ানো সরু হালকা পুষ্পের শাখাবিশিষ্ট, প্যানিকল সাধারণত একল। বৃতি প্রসারিত অবস্থায় লম্বার তুলনায়।
অধিক প্রশস্ত। দলমন্ডল ফিকে লাল, ধ্বজক প্রশস্ত, ক্যালাস শর্করা বিহীন। পুংকেশর একগুচ্ছীয়, ধ্বজকীয় পুংদন্ড শুধুমাত্র গোড়ায় মুক্ত। গর্ভাশয় স্বল্প-ডিম্বক বিশিষ্ট, গর্ভমুন্ড শীর্ষক। ফল পড, পাতলা, চ্যাপ্টা, লিগিউলযুক্ত, আয়তাকার, রোমহীন, নমনীয়, সূক্ষ্ম শিরাবিশিষ্ট।
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার: পাহাড়ী এলাকা। ফুল ও ফল ধারণ নভেম্বর ও জানুয়ারি মাস। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে।
বিস্তৃতি:
ভারত, হিমালয়ের পূর্বাংশ এবং মায়ানমার। বাংলাদেশের সিলেট, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাওয়া যায়।
মাকরিগিলা-এর অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৮ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) মাকরিগিলা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে এটি আশংকা মুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে মাকরিগিলা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি বর্তমানে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র:
১. বি এম রিজিয়া খাতুন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৮ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৬৮-৬৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি fpcn.net/a থেকে নেওয়া হয়েছে।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।