মিষ্টি আলু নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে লতান বীরুৎ

বীরুৎ

মিষ্টি আলু

বৈজ্ঞানিক নাম: Ipomoea batatas (L.) Lamk., Tabl. Encycl. 1: 465 (1791). সমনাম: Convolvulus batatus L. (1753). ইংরেজি নাম: Sweet Potato. স্থানীয় নাম: মিষ্টি আলু, লম্বা আলু, রাঙ্গা আলু।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots অবিন্যাসিত: Asterids বর্গ: Solanales পরিবার: Convolvulaceae গণ: Ipomoea প্রজাতি: Ipomoea batatas

ভূমিকা: মিষ্টি আলু কনভলভালাসি পরিবারের ইপোমোই গণের লতানো বীরুৎ জাতীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ। এদের এদের মূল প্রলম্বিত, কন্দাল ও কিছু কিছু সাদা আবার কিছু ফ্যাকাশে লাল হয়। এদের কান্ড ভূশায়ী, দুগ্ধবৎ তরুক্ষীর যুক্ত।

মিষ্টি আলুর পাতা ৩ থেকে ৫ খন্ডিত,  দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৫-১০ X ৫-৯ সেমি, ডিম্বাকার থেকে বর্তুলাকার, অখন্ড, দেখতে কোনাকৃতি বা খন্ডিত, মূলীয় অংশ তাম্বুলাকার বা কর্তিতা, রোমশ বিহীন বা স্বল্পরোমশ।

পুষ্প ১ থেকে একাধিক, অক্ষীয় সাইমে বিন্যস্ত, মঞ্জরীদন্ড খাটো, ১০ সেমি। বৃত্যংশ খন্ড অসম, বৃত্যংশ দীর্ঘায়ত, বাহিরের বৃত্যংশ অপেক্ষাকৃত লম্বা, তীক্ষাগ্র। দল মন্ডল ঘন্টাকার থেকে চৌঙ্গাকৃতি ৩.০-৪.৫ সেমি লম্বা, রোমশবিহীন, বেগুনি। পুংকেশর ০.৭-১.০ সেমি লম্বা, ভিতরে অবস্থিত, পুংদন্ড মূলীয় অংশে রোমশ। গর্ভাশয় কোণাকৃতি ১.৫ মিমি লম্বা, গর্ভদন্ড ১ সেমি লম্বা। ফল ক্যাপসিউল, ডিম্বাকার, কদাচিৎ জন্মে।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ৩০ (Fedorov, 1969).

আবাসস্থল ও চাষাবাদ: ভালো ফলন পাওয়ার জন্য যত্ন নেওয়ার প্রযোজন।মিষ্টি আলু চাষাবাদকৃত। ফুল ও ফল ধারণ মিষ্টি আলুর ফুল ও ফল ডিসেম্বর থেকে মে মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। বীজ ও মূলের মাধ্যমে খুব সহজেই বংশ বিস্তার করা যায়।

বিস্তৃতি: আদিনিবাস আমেরিকা, বর্তমানে পৃথিবীর উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ব্যাপক চাষাবাদ করা হয়। বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মে ।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: কন্দাল মূল আহার্য।  পাতার চূর্ণ লবণের সাথে মিশ্রিত করে হাত ও পায়ের আঙ্গুলের ফুলা রোগে ব্যবহার করা হয়। মূল রেচক ও কামোদ্দীপক, মূত্রকৃচ্ছ রোগ ও আমাশয় উপকারী (Ghani, 2003) জাতিতাত্বিক ব্যবহার: পাতা সবজিরূপে রান্না করে খাওয়া হয়।।

আরো পড়ুন:  ইসবগুল-এর ছয়টি উপকারিতা

অন্যান্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রাণী জ্ঞানকোষের সপ্তম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০)  বর্তমানে প্রজাতিটির সংকটের উল্লেখ নেই। বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা আশংকা মুক্ত (lc)। বাংলাদেশে এটিকে সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এবং বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:

১. বুশরা খান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ০৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৭০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!