গুটি বান্দল এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কিউকারবিটাসি পরিবারের লতা

বর্ণনা: গুটি বান্দল কিউকারবিটাসি (শসা লাউ) পরিবারের লাফা গণের বর্ষজীবী আরোহী বীরুৎ। এদের কান্ড মসৃণ। আকর্ষ ৩-৫ খন্ডিত। পত্র গোলাকার, ৪-১২ সেমি দৈর্ঘ্য এবং ৪-১২ সেমি প্রস্থ, সামান্য স্থূলাগ্র, ৫-খন্ডিত, সূক্ষ্মাগ্র, দন্তুর, উপরের পৃষ্ঠ অমসৃণ নিচের পৃষ্ঠ মসৃণ বা শিরা রোমশ। বৃন্ত ৪-৮ সেমি লম্বা, দৃঢ়। উদ্ভিদ সহবাসী।

এদের পুষ্প অক্ষীয়, উজ্জ্বল হলুদ। পুংপুষ্প: অক্ষে গুচ্ছিত, মঞ্জরীদন্ড ১৫-৩০ সেমি লম্বা, বৃন্ত ২-৩ সেমি লম্বা, বৃতি নল ৪ x ৬ মিমি, প্রশস্ত ঘন্টাকার, অতিরোমশ, খন্ড ৫-৬ মিমি লম্বা, ভল্লাকার, দলমন্ডল ১৫-২০ মিমি লম্বা, অর্ধ-ডিম্বাকার, সূক্ষাগ্র, পুংকেশর ৫টি, পুংদন্ড পুরু, ২ মিমি লম্বা। স্ত্রীপুষ্প: মঞ্জরীদন্ড খাটো, ১-পুষ্প বা কখনও ২ থেকে ৩ পুষ্প বিশিষ্ট, গর্ভাশয় ৩টি অমরা বিশিষ্ট, ঠোট বিহীন, গর্ভদন্ড সম্ভাকার গর্ভমুন্ড ৩টি, ২ খন্ডিত। ফল ৪-৫ x ২.৫-৩.০ সেমি, ধূসর ডিম্বাকার, খাটো অতিরোমশ গুটিকাকার বা কন্টকিত। বীজ ৬ x ৪ মিমি, ১.৫-২.০ মিমি পুরু, সাদা বা ভস্মতুল্য, ডিম্বাকৃতি দীর্ঘায়ত, মসৃণ, প্রান্ত বিহীন। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৬ (Ahuja, 1955).

আবাসস্থল: অরণ্য ও গুল্মভূমি। বীজে বংশ বিস্তার ঘটে।

বিস্তৃতি: অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার জেলায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে জন্মে।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) বান্দল প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব এবং জাতিতাত্বিক ব্যবহার সম্পর্কে জানা নেই। এছাড়া এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে শীঘ্র সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্রঃ

১. এম অলিউর রহমান, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩২০-৩২১। আইএসবিএন 984-30000-0286-0