ভূমিকা: লতা পারুল বা রসুন লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Mansoa alliacea ইংরেজি : Garlic Vine) এটি বিগনোনিয়াসি পরিবারের মানসোয়া গণের লতা জাতীয় উদ্ভিদ। বাড়িতে বা বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়।
বৈজ্ঞানিক নাম: Mansoa alliacea (Lamk.) A. H. Gentry, Rec. Trav. Bot. Neerl. (1937). সমনাম: Bignonią alliaceum Lamk. (1856), Adenocalymna alliaceum Miers (1861), Pseudocalymma alliaceum (Lamk.) Sandw. (1937), Pachyptera hymenaea (DC.) A. H. Gentry (1973). ইংরেজি নাম: Garlic Vine. স্থানীয় নাম: রসুন লতা, লতা-পারুল বা নীল-পারুল বা রসুন্ধি বা পারুল লতা । জীববৈজ্ঞানিকশ্রেণীবিন্যাসজগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Tracheophyta. অবিন্যাসিত: Edicots. অবিন্যাসিত: Asterids. বর্গ: Lamiales. পরিবার: Bignoniaceae. গণ: Mansoa.প্রজাতি:Mansoa alliacea.
বর্ণনা:
ঘন পাতা সজ্জিত কাষ্ঠল আরোহী লতা বিশিষ্ট উদ্ভিদ। পাতার প্রতিমুখ দেখতে তির্যক। দ্বি বা ত্রি-পক্ষল, পত্রাক্ষ প্রায় ১.৫ সেমি লম্বা হয়। বৃন্ত প্রায় ১.৫ সেমি লম্বা, পত্রক উপবৃত্তাকার বা দীর্ঘায়ত বা দীর্ঘায়ত-উপবৃত্তাকার, ১৩ x ৭ সেমি, অখন্ড, প্রশস্ত দীর্ঘাত্র, মূলীয় অংশ প্রশস্ত স্কুল থেকে ক্রমশ সরু, চর্মবৎ, কখনও শীর্ষীয় পত্রক সরল আকর্ষীতে রূপান্তরিত ।
পুষ্পমঞ্জরীর দৈর্ঘ্য কাক্ষিক। ফুল বড় হয় এবং উভলিঙ্গ, সম্পূর্ণ। বৃতি দেখতে খাটো, পেয়ালাকৃতি ও আকারে ০.৫ সেমি লম্বা, কর্তিতাগ্র। দলমন্ডল চোঙ্গাকৃতি ও নালিকা ৪ থেকে ৫ সেমি লম্বা হয়। শীর্ষীয় খন্ড ৫ টি, প্রায় ২ সেমি লম্বা ও বেগুনি বর্ণযুক্ত। পুংকেশর ৪ টি, লম্বা, দললগ্ন, দীর্ঘতর পুংদন্ড প্রায় ২ সেমি লম্বা, ক্ষুদ্রতর পুংদন্ড প্রায় ১.৫ সেমি লম্বা। পরাগধানী ২-কোষী, অপসারি, বন্ধ্যা পুংকেশর ১ টি, খাটো। গর্ভপত্র ২ টি, যুক্ত, গর্ভদন্ড ১ টি, ২-৩ সেমি লম্বা, গর্ভমুন্ড ১ টি। ফুল থেকে ফল উৎপন্ন হয় না।
বংশ বিস্তার ও চাষাবাদ:
এদের শাখা থেকে কলম করে নতুন চারার জন্ম হয়। বাড়ির বাগানে বা উদ্যান লাগানো হয় আলংকারিক উদ্ভিদ হিসাবে। দৃষ্টিনন্দন উদ্যান ফুল হিসেবে বাংলাদেশে এর বেশ চাহিদা আছে। ফুল ধরে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে।
বিস্তৃতি:
আমেরিকার উষ্ণাঞ্চল লতা পারুলের আদিনিবাস। সম্প্রতি উষ্ণমন্ডলীয় বহুদেশের উদ্যানে চাষ করা হয়।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) লতা পারুল বা রসুন লতা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে লতা পারুল সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র:
১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ০৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৯-২০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
- বি.দ্র: ছবিটি নেওয়া হয়েছে উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে। আলোকচিত্রী: PEAK99
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।