তরুলতা বা কুঞ্জলতা, গেইটফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Ipomoea quamoclit, ইংরেজি নাম: Cypress Vine, Cardinal Vine, Star Glory) দেখতে সরু এবং সূক্ষ্ম লোমযুক্তলতা জাতীয় উদ্ভিদ। এদের পাতা পক্ষাকার এবং আকারে ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতা চওড়া হয় প্রায় ২ ইঞ্চি পর্যন্ত। পুষ্পদণ্ডে অল্প কয়েকটি ফুল থাকে। ফুলের রং লাল। পুষ্পল সরু ১ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় এবং মুখের ব্যাস সোয়া ইঞ্চি থাকে। গর্ভাশয় চারটি ভাগে বিভক্ত। কিছুটা গোলাকার এবং মসৃণ। বাংলাদেশের বাহারি এ উদ্ভিদরূপে বিভিন্ন উদ্যানে চাষ করা হয় । এই লতার ব্যবহার্য অংশ হচ্ছে পাতা, কচি ডাল।
রোগ নিরাময়ে তরুলতার ব্যবহার:
১. অর্শ রোগে তরুলতা গাছের পাতা বেটে তার রস ২০ মিলিলিটার পরিমাণ এবং এর সাথে ২ চামচ গাওয়া ঘি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলে উপকার হবে। যদি ঘি সংগ্রহ করার অসুবিধা থাকে, তবে একই পরিমাণ পাতাকে বেটে খেলে তাতেও অর্শে আরাম হবে।
২. পিঠে ফোড়া হলে তরুলতার পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোড়া ফেটে যায়।
৩. বিষাক্ত কিংবা পুরাতন ঘায়ে তরুলতার কচি ডাল ও পাতা বেটে তার রস দিয়ে ঘা ভালভাবে ধুয়ে দিতে হবে। সকালের দিকে একবার করে ধুলেই যথেষ্ট। এরপর তরুলতা গাছের শুকনা পাতাকে ভালভাবে গুড়া করে ঘায়ের ওপর ছড়িয়ে বেঁধে রাখতে হবে।
৪. দুষ্ট ব্রণ রোগ সারাতে এই গাছের পাতাচূর্ণ ব্যবহার করা হয়।
৫. সাপের কামড়ের যন্ত্রণা থেকে উপসম পেতে এটা বেশ কার্যকর।
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্রঃ
১. মাওলানা জাকির হোসাইন আজাদী: ‘গাছ-গাছড়ায় হাজার গুণ ও লতাপাতায় রোগ মুক্তি, সত্যকথা প্রকাশ, বাংলাবাজার, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ২০০৯, পৃষ্ঠা, ১৫৩-১৫৪।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Rameshng
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।