সজনীকান্ত দাস (২৫ আগস্ট ১৯০০ – ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের বাংলা সাহিত্য আন্দোলনের একজন প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন বাঙালি সাহিত্যিক, সম্পাদক, গীতিকার, গবেষক। তাঁর জন্ম বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামে। তাদের আদিবাড়ি বীরভূম জেলার বোলপুরের কাছে রায়পুর গ্রামে। শৈশবে ও কৈশোরে বাবার চাকরিসূত্রে মালদহ, বাঁকুড়া, পাবনা, দিনাজপুর থাকতে হয়েছিল।
তাই সে সব জায়গাতেই লেখাপড়ার প্রারম্ভিক অনুশীলন। ১৯১৮ সালে প্রবেশিকা, ১৯২২ সালে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিজ্ঞানের স্নাতক হন। তারপরে বারাণসীতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তে মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পড়াশুনা শুরু করে দেন। অচিরে সেই বিদ্যাচর্চা ত্যাগ করে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন ‘শনিবারের চিঠি’ সাপ্তাহিকে। সেই সূত্রেই যোগাযোগে হয় ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সঙ্গে এবং সেখানে চাকরি নেন। পরবর্তীকালে শনিরঞ্জন প্রেস স্থাপন করেন এবং বেলগাছিয়ায় নির্মাণ করেন নিজের বাড়ি।
সজনীকান্ত দাস সারাজীবন ছিলেন সাহিত্যের সর্বক্ষণের কর্মী। প্রধানত গদ্যলেখক ও গবেষক হ’লেও কবিতা ও গানরচনায় তার স্বতন্ত্র দক্ষতা স্বীকৃত হয়। চলচ্চিত্র, বেতার, গ্রামোফোন কোম্পানি সব কিছু প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। চলচ্চিত্রের সূত্রেই প্রধানত তার গান রচনার সূচনা ঘটে। ‘মুক্তি’ থেকে ‘দর্পচুর্ণ’ পর্যন্ত বহু চলচ্চিত্রে তিনি অনেক জনপ্রিয় গান লিখেছেন। কংগ্রেস সাহিত্য সংঘের সংযোগে বহু দেশাত্মবোধক গানও লেখেন। ১৯৬২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সজনীকান্ত প্রয়াত হন। সজনীকান্তের রচিত গানের সংখ্যা দুশোর বেশি। তার অধিকাংশই মুদ্রিত। তবে তার সব গানের কোনো সংকলন নেই।
তথ্যসূত্র:
১. সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত আধুনিক বাংলা গান, প্যাপিরাস, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১ বৈশাখ ১৩৯৪, পৃষ্ঠা, ১৮১-১৮২।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।