ওট বা জই খাওয়ার কয়েকটি গুণাগুণ

ওট বা জই খাদ্য স্নায়ু-উত্তেজক, বলকর, নিদ্রাকারক, স্নিগ্ধ, শীতল ও মৃদু বিরেচক গুণ-সম্পন্ন। এটি ডিপথেরিক পক্ষাঘাত, আমাশা, জ্বরান্তিক দুর্বলতা, ক্লৈব্য, অনিদ্রা, হৃৎস্পন্দনাধিক্য, দন্তক্ষয়, কোলেস্টেরলের আধিক্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যবহার্য। Oat হৃৎপেশীকে সবল করে এবং মূত্রসংবহন তন্ত্রকে সতেজ রাখে। এটি মূত্রকারক এবং দ্রুত মূত্রাশয় ও মূত্রনালীর আক্ষেপ নিবারণ করে। এছাড়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরও ওটের ক্রিয়া পরিলক্ষিত … Read more

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি-এর সাতটি ভেষজ প্রয়োগ

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি (Curcuma angustifolia ) তিক্ত, মূত্রকারক, বিরেচক, অস্ত্রের কৃমি গতিবর্ধক, পিত্ত নিঃসারক; চর্মরোগ, বাতব্যাধি, উদরকৃমি, অর্শ, শোথ, মেহ প্রভৃতি নাশক; রসায়ন ও শুক্রবর্ধক। লোকায়তিক ব্যবহার ১. কোষ্ঠবদ্ধতায়: নানা প্রকারের জ্বর, অজীর্ণ, অম্লপিত্ত, প্রদাহ, রাতব্যাধি প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা এলে কিংবা যাঁরা সাধারণতঃ কোষ্ঠবদ্ধতায় ভোগেন, এসব ক্ষেত্রেই সোনাপাতা বা সোনাফল ব্যবহার করা যেতে … Read more

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি-এর গুণাগুণ

Curcuma angustifolia প্রজাতিটির গাছ সাধারণতঃ ২ থেকে ৩ ফুট লম্বা হয়। পত্রদণ্ডের উভয় দিকে ৭ থেকে ৮ জোড়া পাতা থাকে। পাতাগুলি ১২ ইঞ্চি লম্বা, সরু, দেখতে অনেকটা শণগাছের পাতার মতো, তবে বর্ণ হরিদ্রাভ সবুজ ও প্রায় মসৃণ। পাতা শুকিয়ে গেলে অতি সহজে ভেঙ্গে যায়। পত্রদণ্ডের গোড়া থেকে পুষ্পদণ্ড বেরোয়। পুষ্পদণ্ডের উভয় দিকে ফুল থাকে, দেখতে … Read more

সঞ্জীবনী বিরুৎ-এর ছয়টি ভেষজ উপকারিতা

সঞ্জীবনী ( Selaginella involvens ) বায়ুবিকার, অপস্মার (মৃগী), সর্দি-কাসি, কৃশতা, অর্শ, রজোরোধ, গুদভ্রংশ (Prolapse of anus), ক্ষুদ্র মূত্রাশ্বরী, রক্তপিত্ত, ধাতুদৌর্বল্য, প্রসবাস্তিক দুর্বলতা, ক্ষয়জনিত অজীর্ণ ও অগ্নিমান্দ্য, গ্রহণী, শ্বেতপ্রদর, মূত্রকৃচ্ছ্র, ইন্দ্রিয়দৌর্বল্য এবং বার্ধক্যজনিত কিংবা রোগান্তিক দুর্বলতায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এই ভেষজটি দীর্ঘায়ুলাভের সহায়ক।আরো পড়ুন

সঞ্জীবনী পাহাড়ে জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

এটির মূল বা রাইজম মাটির উপরে সমান্তরালভাবে বাড়ে এবং তা থেকেই পাতা বেরোয়। পাতা ঝিরঝিরে, গাঢ় সবুজ এবং নরম। সহজেই শুকিয়ে যায়। শুকনো গাছ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তা পুনরায় সজীব হয়ে ওঠে, হয়তো-বা এজন্য এর সঞ্জীবনী নামকরণ। অবশ্য এটির গুণপনাও দেহ-মনে জীবনীশক্তির সঞ্চার করা। এটির ফুল ও ফল হয় না। তাই বংশ-বিস্তারের জন্য স্পোর (spore) তৈরী হয়। সাধারণতঃ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে স্পোরের সৃষ্টি হয় এবং তা থেকেই নতুন গাছ জন্মে।আরো পড়ুন  

আলু জনপ্রিয় ও পরিচিত বিরুৎ

আলু পরিচিত ও জনপ্রিয় খাবার। বাঙালির খাবারের তালিকায় আলুর ব্যবহার তুলনামূলক বেশী। আলু দিয়ে তরকারি যেমন খাওয়া হয় তেমনি নাস্তাও বানানো হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপযোগী। বাজারে আলুর শাক ও বিভিন্ন ধরনের আলু পাওয়া যায়। গুণ বিচারে আলু যেমন অসাধারণ তেমনি এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম আছে। আলোচ্য লেখাতে তা উল্লেখ করা হলও।আরো পড়ুন

আলু ও শাক-এর নানাবিধ উপকারিতা

নানা কারণে এটির শিকার হতে হয় প্রায় প্রত্যেককেই কখনো না কখনো। এর পাল্লায় জীবনে পড়েননি, একথা হলফ করে কেউ বলতে পারবেন বলে মনে হয় না। যাই হোক, কোন প্রকার রোগে ভোগার পর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে থাকলে এবং সেইসঙ্গে দুর্বলতা দেখা দিলে আলু ও আলু শাক কিভাবে ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন সেটা জেনে রাখা ভালো—আরো পড়ুন

চীনাবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

চীনাবাদাম (Arachis hypogea) খাদ্য ও ভেষজ হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। ব্যবহারের পূর্বে একটা দিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা উচিৎ, সেটা হলো— হজমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে কিনা। এটি সহজে হজম হতে চায় না। শুকনো বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া যায়, আবার ভেজেও খাওয়া চলে। শুকনো বাদাম ভেজে ওপরের খোসা বাদ দিয়ে সরবত তৈরী করেও খাওয়া যায়।আরো পড়ুন

ফুলকপি-তে আছে বিবিধ ভেষজ গুণাগুণ

দেশীই হোক আর বহিরাগতই হোক, ভারত, বাংলাদেশের মাটিতে এসে চাষাবাদ শুরু হলে তা সে খাদ্য তালিকাযুক্ত হবে। তারপরে সেটির ভেষজগুণ আছে কি না তা নিয়ে নাড়াচাড়া হবেই। এই বিচারের হাত থেকে ফুলকপি (Cauliflower) নিয়েও গবেষণা হয়েছে। এই উপাদেয় খাদ্য সবজিটিকে কিভাবে রোগ-প্রতিকারে আমরা কাজে লাগাতে পারি, সেটাই নিয়ে এই প্রবন্ধ ।আরো পড়ুন

বাঁধাকপি-এর ভেষজ গুণাগুণ

দেশীই হোক আর বহিরাগতই হোক, ভারত, বাংলাদেশের মাটিতে এসে চাষাবাদ শুরু হলে তা সে খাদ্য তালিকাযুক্ত হবে। তারপরে সেটির ভেষজগুণ আছে কি না তা নিয়ে নাড়াচাড়া হবেই। এই বিচারের হাত থেকে বাঁধাকপি (Cabbage) নিয়েও গবেষণা হয়েছে। এই উপাদেয় খাদ্য বস্তু দু’টিকে কিভাবে রোগ-প্রতিকারে আমরা কাজে লাগাতে পারি, সেটাই নিয়ে এই প্রবন্ধ।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!