কারোয়া একধরণের মসলা জাতীয় বিরুৎ

কারোয়া দেখতে গাজর পরিবারের অন্যান্য প্রজাতির মতো। সূক্ষ্মভাবে বিভক্ত, পালকযুক্ত পাতাগুলি সুতার মতো বিভাজনসহ ২০-৩০ সেমি (৮-১২ ইঞ্চি) কান্ডে বৃদ্ধি পায়। প্রধান ফুলের কান্ড ৩০-৬০ সেমি (১২-২৪ ইঞ্চি) লম্বা, ছোট সাদা বা গোলাপী ফুল যৌগিক ছাতার মধ্যে ৫-১৬ অসম রশ্মি ১-৬ সেমি লম্বা। কারোয়া ফল মসৃণ, অর্ধচন্দ্রাকার, পার্শ্বীয়ভাবে সংকুচিত, প্রায় ৩ মিমি (১⁄৮ ইঞ্চি) লম্বা, পাঁচটি ফ্যাকাশে শিলা আছে এবং চূর্ণ করার সময় সুগন্ধ হয়।আরো পড়ুন

বড় এলাচি বা কালো এলাচ শীতঞ্চলের জন্মানো জনপ্রিয় মসলা

কালো এলাচ বা বড় এলাচ একটি চিরসবুজ উদ্ভিদ। যা ৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতা কান্ডের উপরের অংশে থাকে। পুরানো ডালপালা কয়েক বছর পরে মারা যায়। রাইজোমগুলি অনুজ্জ্বল লাল রঙের। রাইজোমের গোড়া থেকে হয় এবং বসন্তে ফুলের কুঁড়ি দেখা যায়। আরো পড়ুন

খুশি ফুল ভারতে জন্মানো উপকারী বিরুৎ

ঋজু বীরুৎ, কান্ড সরল, ১ মিটার বা ততোধিক লম্বা। পত্র প্রশস্ত, ১৬-৩০ X ৬-১২ সেমি, সবৃন্তক, বল্লমাকার উপরের অংশ মসৃণ, নিচের অংশ লোমশ। পত্রাবরণ বদ্ধ, নলাকার, লোমশ। পুষ্প মুণ্ডাকার অনিয়ত পুষ্প বিন্যাসে জন্মে, প্রলম্বিত পত্রাবরণের মূলীয় অংশ ভেদ করে বাইরে আসে। আরো পড়ুন

ঘোড়া লেজী ঘাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জন্মায়

এটি দেখতে ক্ষুদ্র, খাড়া হতে প্রায় খাড়া বীরুৎ। উচ্চতায় প্রায় ৪০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। গ্রন্থিকন্দ ছোট, লতানো, ভূ-গর্ভস্থ, প্রতি পর্বসন্ধিতে তন্তুময় শিকড় উপস্থিত, কিছু পর্বসন্ধি হতে বায়বীয় কান্ড উদ্ভূত, শাখা পরিব্যাপ্ত, প্রশাখা ৫-৭, প্রতি পর্বসন্ধিতে আবর্তিত, পর্বমধ্য ৪ সেমি লম্বা, শিরা ৬-৮, আবরণ (সীদ) ঢিলা, ১ সেমি পর্যন্ত লম্বা, আরো পড়ুন

ছোট বাতিজা বাংলাদেশে জন্মানো বহুবর্ষজীবী বিরুৎ

ভূমিকা: ছোট বাতিজা (বৈজ্ঞানিক নাম: Evolvulus nummularius) ইউভলভুলাস গণের কনভোভুলেসিয়া পরিবারের একটি লতা। এই প্রজাতিটি আবাদি নয়, পতিত জায়গায় অযত্নে জন্মে। অনেকে শখের বসে শোভাবর্ধনের জন্য লাগায়। তবে ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ছোট বাতিজা-এর বর্ণনা: এই প্রজাতি বহুবর্ষজীবী বীরুৎ। কান্ড ভুশায়ী, পর্ব কোমল দীর্ঘরোমযুক্ত। পত্র ০.৫-১.৩ x ০.৫-১১ সেমি, প্রশস্ত ডিম্বাকার থেকে বর্তুলাকার, বৃন্ত ১-৬ … Read more

খাড়া মুরালি ছোট আকৃতির ভেষজ বিরুৎ

খাড়া মুরালি ছোট আকারের বিরুৎ। এদের গোড়ায় বড় পাতা যুক্ত থাকে। উপরের দিক সুবিন্যস্তভাবে পত্রময়। গোড়ার পাতাগুলি ১৪-১৯ X ৪.৫-৬.৭ সেমি, মূলের দিকে সরু, ছোট পত্রবৃন্তযুক্ত, ২-৩ মিমি লম্বা, অর্ধ-অখন্ড, র‍্যাফাইড অস্পষ্ট, উপরের অংশ প্রায় ৪.০-৪.৫ সেমি লম্বা, নিম্নাংশ কখনও গোলাকার।আরো পড়ুন 

আয়াপান ভেষজ গুণসম্পূর্ণ বর্ষজীবী বিরুৎ

আয়াপান বহুবর্ষজীবী ও মসৃণ বিরুৎ। এটি ৬০ সেমি লম্বা বা ততোধিক দৈর্ঘ্যের হয়। পাতা অবৃন্তক, বল্লমাকার। পুষ্পবিন্যাস শিরমঞ্জরী, পুষ্পদন্ডবিশিষ্ট, শিথিল সমভূমঞ্জরী, ব্যাস ৮ মিমি, সমপরিণত, চাকতি-আকৃতি, মঞ্জরী পত্রাবরণ, অর্ধ-গোলাকার।আরো পড়ুন

বন মটমটিয়া দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

এই প্রজাতি সরল, সোজা ও সুপ্রসারী বীরুৎ। তবে এর আকার দেখতে ছোট গুল্মের মতো। এটি ২.১ মিটারের বেশি লম্বা হয় না। এদের শাখা সরেখ ও হালকা রোমশ। পত্র বৃন্তে লাগানো থাকে। পাতার বৃন্ত ২.৫ সেমি লম্বা হয়। পত্রফলক অনূর্ধ্ব ১২.০ X ৬.৫ সেমি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিম্বাকার প্রান্তীয় গুলি স্পষ্টতঃ বল্লমাকার, স্পষ্টভাবে ৩-শিরাবিন্যাসিত, শীর্ষ দীর্ঘাগ্র বা সূক্ষ্মাগ্র, নিম্নাংশ কীলকাকার-কর্তিতা, স্বল্প সংখ্যক স্থূল দন্ত বিশিষ্ট দম্ভর, স্বল্প সংখ্যক প্রান্তীয় গুলি অর্ধ-অখন্ড, উভয় পৃষ্ঠ রোমশ।আরো পড়ুন

টাকাপানা বা টোকাপানা ভেষজ গুণসম্পন্ন জলজ প্রজাতি

ভারতের সর্বত্র বিশেষতঃ জলাসন্ন প্রদেশে টোকাপানা (Pistia stratiotes) পাওয়া যায়। পুকুর, জলাশয়, নালা, ঝিল প্রভৃতিতে জন্মে । জলে ভেসে থাকে। লোনা জলে হতে দেখা যায় না। অল্প লবণ-বিশিষ্ট জলে কদাচিৎ হতে দেখা যায়। শীতের সময় এর বাড়বাড়ন্ত হ্রাস হয়, বেশির ভাগ পাতা পচে যায়। শীতের পর নতুন পাতা গজায় ও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং বর্ষাকালে এর বৃদ্ধি দুরন্ত গতিতে হতে থাকে। এই পানা একটি উৎকৃষ্ট সার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পানা গায়ে লাগলে চুলকায়।

টোকাপানা বা টাকাপানা-এর নানাবিধ ভেষজ প্রয়োগ

টোকাপানা বা টাকাপানা ভেষজটি যদিও সকলের কাছে সুপরিচিত এবং একান্তই সহজলভ্য, তথাপি ভারতের চিকিৎসক সমাজ এটিকে নিয়ে খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেননি। ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় এটিকে নিয়ে কিছু কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তার ফলে যেগুলিতে উপকার পাওয়া গেছে সেগুলি এবং দেশ-গাঁয়ে ব্যবহৃত সদ্যফলপ্রদ কয়েকটি যোগ এখানে দেওয়া হচ্ছে।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!