ছিটকি বা পানিছিটকি ফাইলান্থাসি পরিবারের গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ
আফ্রিকা, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, ফিলিপাইনস, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম । বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে পাওয়া যায়। আরো পড়ুন
গুল্ম হচ্ছে আকারে ছোট আকারের স্থায়ী কান্ডবিশিষ্ট দীর্ঘজীবী উদ্ভিদ। তবে এদের গোড়ায় থেকে শাখা-প্রশাখার বিস্তার লাভ শুরু করে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া যেকোনো বনে বা বসতি অঞ্চলের জমিতে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ভালোভাবে জন্মে। এরা অধিকাংশই অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু ও এরা সব ধরনের মাটিতে জন্মে। এটেল, বেলে, দোআঁশ, কোঁকরযুক্ত মাটি ইত্যাদিতে জন্মে। অনেক মরুঞ্চলে বিভিন্ন ঝোপালো গুল্মের দেখা মেলে।
গুল্ম সাধারণত ঝোপবিশিষ্ট্য হয়। বিভিন্ন প্রজাতির গুল্ম আছে। কিছু গুল্ম পার্ক, উদ্যান, বাগানেরর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগালো হয়। বাড়ির বা বাসার বেলকুনি, অফিসের বারান্দা, উদ্যানের ভেতরে হাঁটার পথে, ছোট-বড় সড়ক ইত্যাদিতে লাগানো হয়। আকারে বেশি বড় হয় না বলে বাড়ির ছাদে স্বাচ্ছন্দ্যে লাগানো যায়। যেসব প্রজাতি ঝোপালো হয় তাদের কাচি দিয়ে ছেঁটে সুন্দর আঁকারে রাখা হয়।
কিছু গুল্মের মধ্যে নানা ভেষজ উদ্ভিদের প্রজাতি আছে; যা নানা রোগ সারাতে ঘরোয়া প্রয়োগে ব্যবহার হয়। প্রয়োগ পদ্ধতি জানা থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজে লাগানো যায়। আবার কিছু গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ শখের করে বাড়ির বেলকনিতে টবে লাগিয়ে থাকে।
আমাদের রোদ্দুরে সাইটে নানা গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে প্রবন্ধ দেওয়া আছে। এর মধ্যে আছে ভেষজ, শোভাবর্ধক, বুনো ইত্যাদি। এছাড়া গুল্মের কিছু প্রজাতির পরিবার ও গণের বর্ননা আছে। ভেষজ উদ্ভিদের একটি তালিকা আছে। সেখানে প্রায় ৭০০টি প্রজাতির নাম আছে। প্রজাতির মধ্যে আছে- লালপাতা, গোলাপ, বেলি, জুঁই, গন্ধরাজ, কাঁটা মুকুট ইত্যাদি।
আফ্রিকা, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, ফিলিপাইনস, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম । বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে পাওয়া যায়। আরো পড়ুন
উদ্ভিদটি মুত্রবর্ধক রূপে গণোরিয়া ও মূত্র নালির অন্যান্য পীড়ায় ব্যবহার করা হয়। মূল জন্ডিস ও বিটপ আমাশয় উপকারী। পাতা দ্বারা তৈরি পুলটিস হাড়ভাঙ্গা ও ক্ষত রোগে ব্যবহার করা হয়, আরো পড়ুন
রাং চিতা রসালো গুল্ম, আকারে প্রায় আড়ায় মিটার লম্বা হয়। তরুণ বিটপ। এটি কচি অবস্থায় অণুরোমশ, পরিণত অবস্থায় রোমশ বিহীন পত্র সোপপত্রিক, উপপত্র, গাঢ় বাদামী, বৃন্ত ৪-১০ মিমি লম্বা। পত্রফলক ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকৃতি-ডিম্বাকার। পাতার দৈর্ঘ্য ৩-১৪ ও প্রস্থ ১-৮ সেমি। শীর্ষ বা স্থলাগ্র, মূলীয় অংশ কর্তিকাগ্র বা কীলকাকার। মঞ্জরীনল ৮-১২ মিমি পর্যন্ত লম্বা, বহির্ভাগ রোমশ বিহীন, অভ্যন্তর রোমশ, সূক্ষাগ্র মূলীয় অংশ সবুজাভ হলুদ এবং উপর লাল। প্রধান খন্ড ৩-৪ মিমি, দীর্ঘায়ত, স্থলাগ্র, প্রান্ত সিলিয়াযুক্ত, পার্শ্বীয় খন্ড প্রধান খন্ড অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর, মধ্য খন্ড পাশ্বীয় খন্ড অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর দলপুট লাল। আরো পড়ুন
গাঁজা উঁচু বর্ষজীবী বীরুৎ বা গুল্ম। পত্র একান্তর বা প্রতিমুখ, সবৃন্তক, সোপপত্রিক, উপপত্র স্থায়ী, পত্র ফলক ভল্লাকার, প্রান্ত দন্তক। পুষ্পবিন্যাস অক্ষীয়, খাটো ও ঝুলন্ত নিয়ত বা স্পাইক মঞ্জরীতে গুচ্ছবদ্ধ। আরো পড়ুন
শীতের মাঝামাঝি সময়ে বিটপের শীর্ষ থেকে রজন ক্ষরিত হতে থাকে। ওই সময় স্ফীত শীর্ষাংশ অপসারণ করে মোড়ানো হয়। এই চ্যাপ্টা রজন যুক্ত বিটপীয় অংশ গাঁজা রূপে বাজারে বিক্রি করা হয়। রজন যুক্ত পরিপক্ক পাতা হলো ভাং যা ধুমপানে ব্যবহার করা হয়। আরো পড়ুন
আপাং (বৈজ্ঞানিক নাম: Achyranthes aspera) একটি বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। আপাং সাধারণত অনমনীয়, ০.৩-১.০ মিটার উঁচু, কাণ্ড সাধারণত নিম্নাংশ হতে শাখাযুক্ত, সরেখ, কৌণিক, পর্বের উপরিভাগ আরো পড়ুন
তিল গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Sesamum indicum) আড়াই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সম্ভবত তিল থেকেই তেল শব্দটি প্রচলিত হয়েছে। আমরা সাধারণত দু রকমের তিলই দেখি। আরো পড়ুন
কেও বা কেঁউ (বৈজ্ঞানিক নাম: Cheilocostus speciosus) বহুবর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। কিছু এলাকায় এটি চাষাবাদ করা হয়েছে এবং অনেক জায়গায় একটি আগ্রাসী প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কেও গাছ ঝোপালো। শিকড় থেকেই অনেক ডালপালা বেরিয়ে ঘন ঝোপ সৃষ্টি করে। কেঁউ ঝোপ ৫-৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। বোটানিক্যাল নাম Costus speciosus (Koen:) Sm. ও ফ্যামিলি Zingiberaceae. ব্যবহার্য অংশ- মাটির নীচের কাণ্ড।আরো পড়ুন
পুদিনা (বৈজ্ঞানিক নাম: Mentha spicata) একটি বর্ষজীবী গাছ। এদের খুব তীব্র গন্ধ থাকে। পাতাগুলো খুব ছোট ছোট। পাতার উভয় কিনারায় করাতের মত খাঁজ কাটা থাকে। পুষ্পদণ্ড খুবই নরম। বহির্বাস লোমযুক্ত এবং পুস্পস্তবকের মধ্যে থাকে। এ গাছের চাষ করা হয়। পুদিনার তেল তার সুগন্ধির জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটাকে পুদিনার তেল হিসাবে উল্লেখ করা হয়।আরো পড়ুন
আপাং রৌদ্রজ্জ্বল উন্মুক্ত এলাকা, রাস্তার পার্শ্ব এবং পতিত স্থান, আদর্শভাবে ময়লার স্তুপে জন্মানো উদ্ভিদ। ফুল ও ফল ধারণ সারা বছর, অধিক ফুল হয় জুন-অক্টোবর। বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার হয়। আরো পড়ুন