কলকাসুন্দা ঔষধি গুল্মের দশটি গুণাগুণ ও প্রযোগ
কলকাসুন্দা ঔষধি গুল্ম। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Senna occidentalis Linn, পরিবার Leguminosae. এই গাছের পাতার শির, গাছের উপরের অংশটা একটু বেগুনি রঙের হয় বলেই একে বলে কালো কাসুন্দে। আরো পড়ুন
গুল্ম হচ্ছে আকারে ছোট আকারের স্থায়ী কান্ডবিশিষ্ট দীর্ঘজীবী উদ্ভিদ। তবে এদের গোড়ায় থেকে শাখা-প্রশাখার বিস্তার লাভ শুরু করে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া যেকোনো বনে বা বসতি অঞ্চলের জমিতে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ভালোভাবে জন্মে। এরা অধিকাংশই অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু ও এরা সব ধরনের মাটিতে জন্মে। এটেল, বেলে, দোআঁশ, কোঁকরযুক্ত মাটি ইত্যাদিতে জন্মে। অনেক মরুঞ্চলে বিভিন্ন ঝোপালো গুল্মের দেখা মেলে।
গুল্ম সাধারণত ঝোপবিশিষ্ট্য হয়। বিভিন্ন প্রজাতির গুল্ম আছে। কিছু গুল্ম পার্ক, উদ্যান, বাগানেরর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগালো হয়। বাড়ির বা বাসার বেলকুনি, অফিসের বারান্দা, উদ্যানের ভেতরে হাঁটার পথে, ছোট-বড় সড়ক ইত্যাদিতে লাগানো হয়। আকারে বেশি বড় হয় না বলে বাড়ির ছাদে স্বাচ্ছন্দ্যে লাগানো যায়। যেসব প্রজাতি ঝোপালো হয় তাদের কাচি দিয়ে ছেঁটে সুন্দর আঁকারে রাখা হয়।
কিছু গুল্মের মধ্যে নানা ভেষজ উদ্ভিদের প্রজাতি আছে; যা নানা রোগ সারাতে ঘরোয়া প্রয়োগে ব্যবহার হয়। প্রয়োগ পদ্ধতি জানা থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজে লাগানো যায়। আবার কিছু গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ শখের করে বাড়ির বেলকনিতে টবে লাগিয়ে থাকে।
আমাদের রোদ্দুরে সাইটে নানা গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে প্রবন্ধ দেওয়া আছে। এর মধ্যে আছে ভেষজ, শোভাবর্ধক, বুনো ইত্যাদি। এছাড়া গুল্মের কিছু প্রজাতির পরিবার ও গণের বর্ননা আছে। ভেষজ উদ্ভিদের একটি তালিকা আছে। সেখানে প্রায় ৭০০টি প্রজাতির নাম আছে। প্রজাতির মধ্যে আছে- লালপাতা, গোলাপ, বেলি, জুঁই, গন্ধরাজ, কাঁটা মুকুট ইত্যাদি।
কলকাসুন্দা ঔষধি গুল্ম। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Senna occidentalis Linn, পরিবার Leguminosae. এই গাছের পাতার শির, গাছের উপরের অংশটা একটু বেগুনি রঙের হয় বলেই একে বলে কালো কাসুন্দে। আরো পড়ুন
হলুদ কেয়াকাঁটা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ১০-১৫ ফুট লম্বা হয়। কাণ্ড থেকে বের হয় শাখা প্রশাখা। পাতা পাঁচ-সাত ফুট লম্বা। ২-৩ ইঞ্চি চওড়া। পাতার কিনারায় করাতের মতো কাঁটা। অনেকটা আনারসের পাতার মতো। কাণ্ড সাদা রঙের ও সুগন্ধযুক্ত। ফল ৭-৮ ইঞ্চি লম্বা। ফল কমলা, পীত বা ধুসর হয়। জৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে ফুল হয়। ফুল হলুদ রঙের। ছোট আনারসের মতো ফল হয় আশ্বিন-কার্তিক মাসে। আরো পড়ুন
মালয় দ্বীপপুঞ্জ, মরিশাস, চীন ও পলিনেশিয়া। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনে ব্যাপক জন্মে। চট্টগ্রাম জেলায়। চাষাবাদ করা হয়। বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মায়, তবে সমুদ্র উপকূলে বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশ, ভারত, হাওয়াই, মালদ্বীপের সমুদ্র তীরে, জলার ধারে এগুলো বেশি হয়, তবে সম্পূর্ণ জলবিবর্জিত স্থানে এমন কি পাহাড়েও হতে পারে। আরো পড়ুন
পরিচিতি: বাগান সুরুযঘূর্ণি হচ্ছে Heliotropium গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। সাধারণত বাগানে লাগানো হয় বলে এদের এরকম নামকরণ করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক নাম Heliotropium arborescens, এরা Boraginaceae পরিবারের সদস্য। আদিবাস পেরুতে, বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই সপুষ্পক উদ্ভিদ ২৫০ থেকে ৩০০ প্রজাতির আছে বলে জানা যায়। ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকে সুরুযঘূর্ণি ইংল্যান্ডে জনপ্রিয়। সুগন্ধি ফুল হিসেবে সুরুযঘূর্ণির তুলনা নাই। প্রজাপতি, … Read more
পরিচিতি: পাহাড়ি ভাঁট বা ঘেঁটু গুল্ম জাতীয় দেশি বুনো সপুষ্পক উদ্ভিদ। ফুল গাছটি ভাঁট বলে পরিচিত হলেও স্থানভেদে এবং ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীতে এর ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। অনেকে একে বনজুঁই বলেন। কোথাও বলা হয় ভাঁটি, কোথাও ঘণ্টকর্ণ। সংস্কৃতে একে বলে ঘণ্টা, ঘণ্টাকর্ণ, বাণবিড়। ভাট একটি বুনো ফুল, পথের ধারে জংলা যায়গায়, গায়ের মাঠের ধারে অযত্নে ফুটে … Read more
নাগবল্লী আরোহী বা শায়িত গুল্ম। এই প্রজাতির বাকল বাদামী ও লেন্টিসেলযুক্ত। পাতা উপপত্রযুক্ত এবং বৃন্তক, উপপত্র ত্রিকোণাকার, দ্বিখন্ডিত, পত্রবৃন্ত দেড় সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। পত্রফলক আয়তাকার বা উপবৃত্তাকার- বল্লমাকার ও দৈর্ঘ্য ৬-১৫ এবং প্রস্থ ১.৩-৬.০ সেমি। শীর্ষ দীর্ঘাঘ, গোড়া কীলকাকার থেকে অর্ধসূক্ষ্মাগ্র, মসৃণ বা নিম্নভাগে শিরার উপর স্বল্প রোমান পার্শ্বীয় শিরা ৫-৬ জোড়া। সাইম শীর্ষক, ঘন, অণুরোমশ। আরো পড়ুন
ভূমিকা: বন তেজপাতা, দাঁতরাঙ্গা, লুটকি (বৈজ্ঞানিক নাম: Melastoma malabathricum , ইংরেজি: Indian Rhododendron) মেলাস্টোমাসি পরিবারের, মেলাস্টোমা গণের একটি এক প্রকারের গুল্ম। মাঝারি আকারের এই ঝপালো গুল্মের আগায় গোলাপি-বেগুনি রঙের ফুলে ভরে যায়। সারা বছর এই গাছে ফুল ফোটে। বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই গাছ লাগানো যতে পারে।[১] বাংলাদেশে দাঁতরাঙাকে আগাছা বা অপ্রয়োজনীয় গাছ হিসেবে মনে করা … Read more
এটি ক্ষুপ বা গুল্ম জাতীয় গাছ, ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত উচু হয়। এর পাতাগুলি দেখতে অনেকটা অশ্বতর প্রাণীর বা খচ্চরের কানের আকারের মতো হলেও ঝোপ-ঝাড় আরো পড়ুন
অশ্বগন্ধা হচ্ছে উইথানিয়া গণের একটি গুল্ম। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Withania Somnifera. প্রাচীন কালে এই অশ্বগন্ধা প্রয়োগ হতো যেখানে রসবহ, রক্তবহ ও শুক্রবহ স্রোতের দোষ রয়েছে, আরো পড়ুন
ভূমিকা: গোটা বেগুন বা গুচ্ছ বেগুন হচ্ছে সোলানাসি পরিবারের সোলানাম গণের স্বল্প কাঁটাযুক্ত একটি বর্ষজীবী বেগুন জাতীয় গুল্ম। গ্রাফট বা কলম করা চারাসমূহ শক্তিশালী হয় বিধায় সেগুলো দ্বিতীয় বছরের জন্যও ফলন দেয়। গোট বেগুন-এর বর্ণনা: গুচ্ছ বেগুন সাধারণত ২ বা ৩ মিটার উচ্চতার এবং ২ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের হতে পারে, তবে এরা ৫ মিটার উচ্চতা এবং … Read more