বকুল লতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ লতা

বকুল লতা গুল্ম বিশেষ। এটি বৃহদাকার আরোহী বা হামাগুড়ি দিয়ে জন্মায়। এটি ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের কান্ডে আঁচিলযুক্ত ও কন্টকময় হয়। শাখাগুলো অনেক লম্বা, কচি শাখার বাকল দেখতে ধূসরাভ সাদা বা চকচকে বর্ণের। বায়ুরন্ধবিশিষ্ট, বয়স্ক কান্ডের বাকল ধূসরভি বাদামী। পাতা ৪.৫-৯.০ x ২-৩ সেমি, উপবৃত্তাকার-ভল্লাকার, পাদদেশ তীক্ষ্ম বা কীলকাকার, শীর্ষ তীক্ষ্ম থেকে খর্ব স্থূলা, দীর্ঘা, অখন্ড এবং নিম্নদিকে বক্র প্রান্তিবিশিষ্ট, মসৃণ এবং চকচকে, পত্রবৃন্ত ১২ মিমি পর্যন্ত লম্বা, সরু, গ্রন্থিল প্রান্তবিশিষ্ট।আরো পড়ুন

বিলাতি ধনিয়া সুগন্ধি, ভেষজ গুণে ভারা গুল্ম

মূলীয় রোজেট থেকে ৮-৪০ সেমি দীর্ঘ গাছ । প্রধান মূল গুচ্ছমূল বিশিষ্ট মুলকাকার। কাণ্ড শাখাবিশিষ্ট, সবুজ। নিম্নাংশের পত্র বহু সংখ্যক, পত্রবৃন্ত খর্ব বা লুপ্তপ্রায়, আবরণ অনূর্ধ্ব ৩ সেমি লম্বা, ফলক বল্লমাকার বা বি-বল্লমাকার, ৩.৫-১৬.০ x ১.০–৩.৫ সেমি, নিম্নাংশ কীলকাকার থেকে পর্বলগ্ন, শীর্ষ স্থুলা, ক্যালোজ-প্রান্ত বিশিষ্ট, সভঙ্গ থেকে সূক্ষ্মভাবে কণ্টকযুক্ত-ক্রকচ, পক্ষ জালিকা শিরাবিন্যাস, উপরের পত্র অবৃন্তক, প্রতিমুখ, গভীরভাবে কণ্টকরোমীক্রকচ থেকে উপখন্ডিত।আরো পড়ুন  

ঝলক মুরালি শীতপ্রধান অঞ্চলে জন্মানো ভেষজ গুল্ম

ঝলক মুরালি গুল্ম। এটি ০.৯-১.৫ মিটার উঁচু, উপরের অংশ রোমশ। পাতা বৃন্তযুক্ত, পত্রবৃন্ত ১০-১৫ মিমি লম্বা, পত্রফলক ৮-১১ X ৩.২-৪.৮ সেমি, ডিম্বাকৃতি বা উপবৃত্তাকৃতি, উভয় প্রান্ত দীর্ঘাঘ্ন, হালকা রোমশ, উভয় পার্শ্ব র‍্যাফাইড যুক্ত সুক্ষ্ম রেখায়িত। স্পাইক ছোট মঞ্জরীদণ্ড বিশিষ্ট। মঞ্জরীপত্র ২.২-২.৫ সেমি লম্বা, সবগুলি।আরো পড়ুন  

দীঘল মুরালি পাহাড়িঞ্চলে জন্মানো বর্ষজীবী গুল্ম

দীঘল মুরালি বহুবর্ষজীবী গুল্ম। এটি ৩ থেকে ৫ মিটার লম্বা হয়। কাণ্ডের উপরের দিক রোমশ। পাতা ৮-১৬ x ৪.০-৫.৫ সেমি, উপবৃত্তাকার, উভয় প্রান্ত দীর্ঘা, মধ্যশিরার অঙ্কীয় পৃষ্ঠ রোমশ বা শেষ অবধি মসৃণ, খুব অস্পষ্টভাবে সূক্ষ্ম রেখায়িত ও পত্রবৃন্ত ৫২০ মিমি লম্বা। ফুলের বিন্যাস অনিয়ত, ১.৩-১.৫ সেমি লম্বা, মুষলাকৃতি, নিম্নাংশ শক্ত, বেলনাকার। মঞ্জরীপত্র রৈখিক।আরো পড়ুন

পুদিনা ভেষজ গুণসম্পন্ন বর্ষজীবী গুল্ম

পুদিনা (M. spicata) বর্ষজীবী ক্ষুপ, উগ্রগন্ধ বিশিষ্ট। মূল থেকে পুনরায় গাছ জন্মে। পাতা পুরু, কোমল, কিনারা কাটা কাটা, অগ্রভাগ সরু। গুচ্ছাকারে ফুল হয়। যত্নের সঙ্গে চাষ করা হয়। পাতার চাটনী এবং শরবত উপাদেয় খাদ্য ও পানীয়।আরো পড়ুন

কুড়-এর নানাবিধ ঘরোয়া ও ভেষজ ব্যবহার

কুড় নামক ভেষজটি আজও ব্যবহৃত হয়, যেমনটি প্রাচীন কালে হতো। সমভাবে আজও ঘরোয়া বিভিন্ন কাজে বা আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটির বোটানিক্যাল নাম Saussurea lappa C. B. Clarke, ফ্যামিলী। Compositae.আরো পড়ুন

দেশি পেটারি গুল্ম-এর বারোটি ভেষজ গুণাগুণ

দেশি পেটারি

দেশি পেটারি গুল্ম-এর ওষুধি গুণ আছে। এটি গুল্মজাতীয়, বর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী ঝোপঝাড়সম্পন্ন গাছ। এটি বাতপিত্তনাশক, সংগ্রাহী, বলবর্ধক এবং শুক্রজনন।আরো পড়ুন

স্বর্ণ ঝিন্টি গুল্ম-এর ছয়টি ভেষজ গুণাগুণ

স্বর্ণ ঝিন্টি (Barleria prionitis) গুল্ম-এর ফুল দেখতে সুন্দর তাই অনেকে বাড়ির বাগানের সৌন্দর্যের জন্য লাগিয়ে থাকে। এছাড়াও সীমানা নির্ধারনের জন্যও লাগাতে দেখা যায়। এছাড়া এই গুল্মে নানা ভেষজ গুণাগুণ আছে।

ভূ তুলসী গুল্মের পাঁচটি ভেষজ গুণ

বীজ ভিজিয়ে রাখলে তা ফুলে গিয়ে এক প্রকার থলথলে, অনেকটা জেলীর মত আকার নেয়। বোম্বে অঞ্চলে এর বীজ সম্ভোগ ইচ্ছা বাড়াবার জন্য ব্যবহৃত হয়। মাথার চুলকে চকচকে রাখার জন্য মেয়েরা এই বীজের ব্যবহার করে থাকেন। ইউনানী মতে এটি মধু ও শর্করার (চিনি) সঙ্গে সেবন নিষিদ্ধ। বিশেষতঃ বীর্য পুষ্টিকর দ্রব্য হিসেবে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

টক চেরি শোভাবর্ধক ও ভেষজ গুণসম্পন্ন গুল্ম

এই গাছটিকে পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের গ্রামাঞ্চলে পাওয়া যায়। আমেরিকা ও ইউরোপে এর ফুলের সৌন্দর্যের জন্য বাগানে ও রাস্তার ধারে লাগানো হয়। ভারতবর্ষের হিমালয় অঞ্চলের পাঞ্জাব, কাশ্মীর ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ৮ হাজার ফুট উঁচু পর্যন্ত স্থানে এটিকে লাগানো হয়ে থাকে।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!