ডিকামালী গাছ-এর ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ
ডিকামালী গাছ-এর প্রধানভাবে কাজ করে মনোবহ স্রোতে এবং কোষ্ঠে। নাড়ীহিঙ্গুর ব্যবহার বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসকবৃন্দ করেনই না বলা যেতে পারে। তবে মধ্য ও পশ্চিম ভারতের অনেক চিকিৎসক এটির ব্যবহার করে থাকেন।আরো পড়ুন
গুল্ম হচ্ছে আকারে ছোট আকারের স্থায়ী কান্ডবিশিষ্ট দীর্ঘজীবী উদ্ভিদ। তবে এদের গোড়ায় থেকে শাখা-প্রশাখার বিস্তার লাভ শুরু করে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া যেকোনো বনে বা বসতি অঞ্চলের জমিতে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ভালোভাবে জন্মে। এরা অধিকাংশই অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু ও এরা সব ধরনের মাটিতে জন্মে। এটেল, বেলে, দোআঁশ, কোঁকরযুক্ত মাটি ইত্যাদিতে জন্মে। অনেক মরুঞ্চলে বিভিন্ন ঝোপালো গুল্মের দেখা মেলে।
গুল্ম সাধারণত ঝোপবিশিষ্ট্য হয়। বিভিন্ন প্রজাতির গুল্ম আছে। কিছু গুল্ম পার্ক, উদ্যান, বাগানেরর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগালো হয়। বাড়ির বা বাসার বেলকুনি, অফিসের বারান্দা, উদ্যানের ভেতরে হাঁটার পথে, ছোট-বড় সড়ক ইত্যাদিতে লাগানো হয়। আকারে বেশি বড় হয় না বলে বাড়ির ছাদে স্বাচ্ছন্দ্যে লাগানো যায়। যেসব প্রজাতি ঝোপালো হয় তাদের কাচি দিয়ে ছেঁটে সুন্দর আঁকারে রাখা হয়।
কিছু গুল্মের মধ্যে নানা ভেষজ উদ্ভিদের প্রজাতি আছে; যা নানা রোগ সারাতে ঘরোয়া প্রয়োগে ব্যবহার হয়। প্রয়োগ পদ্ধতি জানা থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজে লাগানো যায়। আবার কিছু গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ শখের করে বাড়ির বেলকনিতে টবে লাগিয়ে থাকে।
আমাদের রোদ্দুরে সাইটে নানা গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে প্রবন্ধ দেওয়া আছে। এর মধ্যে আছে ভেষজ, শোভাবর্ধক, বুনো ইত্যাদি। এছাড়া গুল্মের কিছু প্রজাতির পরিবার ও গণের বর্ননা আছে। ভেষজ উদ্ভিদের একটি তালিকা আছে। সেখানে প্রায় ৭০০টি প্রজাতির নাম আছে। প্রজাতির মধ্যে আছে- লালপাতা, গোলাপ, বেলি, জুঁই, গন্ধরাজ, কাঁটা মুকুট ইত্যাদি।
ডিকামালী গাছ-এর প্রধানভাবে কাজ করে মনোবহ স্রোতে এবং কোষ্ঠে। নাড়ীহিঙ্গুর ব্যবহার বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসকবৃন্দ করেনই না বলা যেতে পারে। তবে মধ্য ও পশ্চিম ভারতের অনেক চিকিৎসক এটির ব্যবহার করে থাকেন।আরো পড়ুন
মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড়যুক্ত গাছ। এটি বিশেষতঃ মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে পাওয়া যায়। এছাড়া দক্ষিণ মহারাষ্ট্র, উত্তর কন্নড়তেও জন্মে। এই প্রজাতিটি ছাড়া অন্য একটি প্রজাতি (G. lucida) পাওয়া যায়। এই দুটি গাছের আঠা বা নির্যাসই ডিকামালী নামে খ্যাত এবং ঔষধার্থে ব্যবহৃত হয়। আরো পড়ুন
এর মূল গবাদি পশুর পক্ষে উৎকৃষ্ট বলকর ও পেটের রোগনাশক। মূল সামান্য তেল ও বলকর, ঘর্মস্রাবকারক, প্রস্রাবকারক, কফনিঃসারক, গভাশয় সংকোচক, ঋতুস্রাবকারক, বেদনাহর ও ব্রণনিবারক। এটি শ্বাস, কাস, শোথ, ফুসফুসাবরণ শোথ, জ্বর, আমবাত, মস্তিষ্কদৌর্বল্য, অগ্নিমান্দ্য প্রভৃতিতে ব্যবহৃত হয়।আরো পড়ুন
এটি একটি বিষাক্ত উদ্ভিদ। টাটকা গাছ ও গাছের রস অতিশয় বিষাক্ত। রস খেলে বিষময় ফল ঘটে, শরীরের কোন স্থানে লাগলে সেই স্থান লাল বর্ণ হয় এবং ফোস্কা পড়ে। গাছটি শুকিয়ে নিলে বা সিদ্ধ করলে বিষাক্ততা নষ্ট হয়।
আতঁমড়া -এর বোটানিক্যাল নাম Helicteres isora, পূর্বে এটির নাম ছিল Helicteres chrysocalyx. Mig. এবং Helicteres Roxbhurghii, G. Don., পরিবার Sterculiaceae. ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ :— গাছের ও মূলের ছাল, ফল ও পাতা। পেটে ব্যাথা, অরুচি, সর্দি-কফ, খোস-পাঁচড়া ইত্যাদি সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।আরো পড়ুন
মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতে ওই গাছটি কোথাও কোথাও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জন্মে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে সারা ভারতবর্ষে, বিশেষতঃ শুষ্ক বনাঞ্চল সমূহে, শাল জঙ্গলে, হিমালয়ের পাদদেশে এটি পাওয়া যায়। সারা পৃথিবীতে এই গণের ৪৫টি প্রজাতি পাওয়া যায়, তন্মধ্যে ১০টি ভারতে পাওয়া গেলেও আলোচ্য প্রজাতিটি (Helicteres isora) বেশি পরিচিত এবং ঔষধার্থে ব্যবহার্য । আরো পড়ুন
কাংঘূ মান (মনিপুরী), বন সিলাম (নেপালী) (বৈজ্ঞানিক নাম: Elsholtzia blanda) এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে সর্বত্রে জন্মে। পাতা এ্যাসেনসিয়াল তৈলের উৎস যা ক্ষত এবং কলেরার ন্যায় উদরাময়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় (Nayar et al., 1989)।আরো পড়ুন
চন্দ্রকেতু (বৈজ্ঞানিক নাম: Dracaena spicata) এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে পার্বত্যঞ্চলে জন্মে। আন্দামান দীপপুঞ্জ (ভারত), মায়ানমার, মালয়েশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলায় জন্মে।আরো পড়ুন
চন্দ্রকেতু (বৈজ্ঞানিক নাম: Dracaena terniflora) এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে পার্বত্যঞ্চলে জন্মে। ভারত (খাসিয়া পাহাড়), থাইল্যান্ড, মায়ানমার, মালয়েশিয়া। বাংলাদেশে সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলায় জন্মে।আরো পড়ুন
উধুঝাটি (বৈজ্ঞানিক নাম: Ecbolium ligustrinum) এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। এশিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে সর্বত্রে জন্মে। ভারত, আফ্রিকা, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, আরব এবং মাদাগাস্কার। বাংলাদেশে এই প্রজাতি সবত্র পাওয়া যায়।আরো পড়ুন