সাদা শালপানি বা সাদা শালপর্ণী দক্ষিণ এশিয়ার ভেষজ উদ্ভিদ
সাদা শালপানি বা সাদা শালপর্ণী (বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium laxiflorum) এক প্রকারের সপুষ্পক ভেষজ গুল্ম। এদেরকে শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হয়।আরো পড়ুন
গুল্ম হচ্ছে আকারে ছোট আকারের স্থায়ী কান্ডবিশিষ্ট দীর্ঘজীবী উদ্ভিদ। তবে এদের গোড়ায় থেকে শাখা-প্রশাখার বিস্তার লাভ শুরু করে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া যেকোনো বনে বা বসতি অঞ্চলের জমিতে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ভালোভাবে জন্মে। এরা অধিকাংশই অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু ও এরা সব ধরনের মাটিতে জন্মে। এটেল, বেলে, দোআঁশ, কোঁকরযুক্ত মাটি ইত্যাদিতে জন্মে। অনেক মরুঞ্চলে বিভিন্ন ঝোপালো গুল্মের দেখা মেলে।
গুল্ম সাধারণত ঝোপবিশিষ্ট্য হয়। বিভিন্ন প্রজাতির গুল্ম আছে। কিছু গুল্ম পার্ক, উদ্যান, বাগানেরর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগালো হয়। বাড়ির বা বাসার বেলকুনি, অফিসের বারান্দা, উদ্যানের ভেতরে হাঁটার পথে, ছোট-বড় সড়ক ইত্যাদিতে লাগানো হয়। আকারে বেশি বড় হয় না বলে বাড়ির ছাদে স্বাচ্ছন্দ্যে লাগানো যায়। যেসব প্রজাতি ঝোপালো হয় তাদের কাচি দিয়ে ছেঁটে সুন্দর আঁকারে রাখা হয়।
কিছু গুল্মের মধ্যে নানা ভেষজ উদ্ভিদের প্রজাতি আছে; যা নানা রোগ সারাতে ঘরোয়া প্রয়োগে ব্যবহার হয়। প্রয়োগ পদ্ধতি জানা থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজে লাগানো যায়। আবার কিছু গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ শখের করে বাড়ির বেলকনিতে টবে লাগিয়ে থাকে।
আমাদের রোদ্দুরে সাইটে নানা গুল্মের প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে প্রবন্ধ দেওয়া আছে। এর মধ্যে আছে ভেষজ, শোভাবর্ধক, বুনো ইত্যাদি। এছাড়া গুল্মের কিছু প্রজাতির পরিবার ও গণের বর্ননা আছে। ভেষজ উদ্ভিদের একটি তালিকা আছে। সেখানে প্রায় ৭০০টি প্রজাতির নাম আছে। প্রজাতির মধ্যে আছে- লালপাতা, গোলাপ, বেলি, জুঁই, গন্ধরাজ, কাঁটা মুকুট ইত্যাদি।
সাদা শালপানি বা সাদা শালপর্ণী (বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium laxiflorum) এক প্রকারের সপুষ্পক ভেষজ গুল্ম। এদেরকে শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হয়।আরো পড়ুন
ছোট গুল্ম, ৬০-১২০ সেমি উঁচু। কাণ্ড কাষ্ঠল, সামান্য কোণাকার, উপরের দিক খর্বকার ধূসর লোম দ্বারা আবৃত। পত্র ১-ফলক, পত্রক আয়তাকার, সাধারণত ৩-৬টি, গোড়া গোলাকার, একটি সূক্ষ্মাগ্র বিন্দুতে ক্রমে চিকন, নিচের পৃষ্ঠ ধূসর রোম দ্বারা হালকাভাবে আবৃত, পত্রবৃন্ত ১.৫-২.৫ সেমি লম্বা।আরো পড়ুন
পাহাড়ী বন, ম্যানগ্রোভ বন এবং কর্দমাক্ত সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল মার্চ-জুন। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে। মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, চীন, উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং মাদাগাস্কার। বাংলাদেশে ইহা সুন্দরবন এবং চট্টগ্রামে বিস্তৃত।আরো পড়ুন
শঙ্করজটা বা পৃশ্নিপর্ণী (Uraria Picta) গাছটি ৩–৪ ফুট লম্বা, এদের পাতা ৫–৬ ইঞ্চি লম্বা, ১ – ১.৫ ইঞ্চি চওড়া, পূষ্পবিন্যাস নলাকৃতি, চতুর্দিকে ঘনসংবদ্ধ, ফুলের রং গোলাপি, বর্ষায় ফোটে । অসামান্য ভেষজ গুণসম্পন্ন বর্ষজীবী গাছ, পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের দোয়াঁশ মাটিতে জন্মায়।আরো পড়ুন
শেয়ালকাঁটা ( বৈজ্ঞানিক নাম: Argemone mexicana) ঔষধার্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা বাহ্য ব্যবহারে (External application)। এই কার্যে ব্যবহার হয় মল, পাতা, বীজ ও বীজের তেল।আরো পড়ুন
রক্তচিতা (Plumbago indica) রোগ প্রতিকারে বেশী উপযোগী। এর পার্থক্য প্রথমতঃ ফুলের রঙে, পাতার ও গাছের আকৃতিতে এবং মূল। তাছাড়া সাদা ফুলের চিত্রকের চলতি নাম সাদা চিতে। লাল চিতের বিকল্প হিসেবে সাদা চিতেও ব্যবহার হয়ে থাকে। লাল চিতের কাঁচা মূল বড় ব্যবহার করা হয় না, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে বাহ্য ব্যবহারে (External use) কাঁচার ব্যবহার করা হয়। আরো পড়ুন
এটি শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গুল্মজাতীয় ছোট উদ্ভিদ। পাতার আকার দেখতে অনেকটা ছোট কালোজাম (Syzygium cumini) পাতার ন্যায়, তবে অল্প পাতলা, এদের বর্ণ গাঢ় সবুজ এবং ওপরের দিক মসৃণ। কচি কাণ্ডের পত্রবন্ত মূল থেকে গুচ্ছাকারে সাদা রংয়ের ছোট ছোট ফুল হয়, এর ফুলগলি দেখতে অনেকটা বড় কড়াইশটির মত কিন্তু ওপরটা কমলালেবুর মত চ্যাপ্টা।আরো পড়ুন
সুগন্ধি কেয়াকাঁটা গাছগলি সাধারণতঃ ১০। ১৫ ফুট লম্বা হয়, কাণ্ড থেকে শাখা-প্রশাখা বেরোয়, পাতা লম্বায় ৫। ৭ ফুট হলেও কোথাও কোথাও ১০।১২ ফুট লম্বা হয়; চওড়া ২। ৩ ইঞ্চি হয়। পাতার কিনারা করাতের মত কাটা কাটা, দেখতে অনেকটা আনারস পাতার মত; তবে পাতার মাঝখানের মধ্য শিরাতেও করাতের মত কাঁটা থাকে। আরো পড়ুন
ক্ষুপজাতীয় বর্ষজীবী গাছ। সাধারণতঃ ২-৩ ফুট পর্যন্ত উচু হয়। পাতাগুলি দেখতে অনেকটা এরণ্ড গাছের (Ricious Commis) ছোট পাতার মত, কাণ্ড এবং পাতা খসখসে ও এতে সক্ষম সক্ষম রোম আছে। পাতা ৩-৫টি অংশে বিভক্ত। পত্রবৃন্ত (পাতার বোঁটা) ৫/৬ ইঞ্চি লম্বা। ফল হলদে ও মধ্যভাগ বেগুনি রং-এর।আরো পড়ুন
শঠি বা শটি-র চাষ ভারতের প্রায় সর্বত্র অল্পবিস্তর হয়ে থাকলেও আপনা-আপনিই প্রায় সব প্রদেশেরই যেখানে-সেখানে হয়ে থাকে, এই পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, ২৪ পরগণা, হুগলী, হাওড়া প্রভৃতি স্থানের কোথাও কোথাও ব্যাপক চাষ যে হয় না তা নয়। বাংলাদেশে শঠীর পালো তৈরী কুটির শিল্পের মতই ছিল।আরো পড়ুন