সোনালু উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মানো আকর্ষনীয় ও ভেষজ ফুল

অযত্নে জন্মায় এই গাছ। দেখতে মধ্যমাকার হয়। ২৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত উচু হতে দেখা যায়। পর্ণমোচী বৃক্ষ, ১০-২০ মিটার উঁচু, তরুণ বিটপ। রেশমী রোমশ। তরুণ গাছের বাকল ভস্ম বর্ণের ও মসৃণ এবং পুরাতন গাছের বাকল বাদামী। এর লম্বা পত্রবৃন্তে ৩ থেকে ৬ জোড়া পর্যন্ত পাতা হতে দেখা যায়। পাতার আকার অনেকটা কাক জামের (Eugenia fruticosa) পাতার মতো। পাতা যৌগিক, পত্রক অক্ষ ৮-১২ সেমি লম্বা, গ্রন্থিবিহীন। পত্রক ২-৮ জোড়া, প্রায় দৈর্ঘ্যে ৬-১৭ ও প্রস্থ ৩.৫-৭.৫ সেমি, ডিম্বাকৃতি-উপবৃত্তাকার, সূক্ষ্মাগ্র বা দীঘা, উপর পৃষ্ঠ গাঢ় সবুজ ও চকচকে, প্রথম অবস্থায় অঙ্কীয় পৃষ্ঠ রৌপ্য রোমশ এবং শেষে ফ্যাকাশে, উপপত্র তুরপুন আকার, অতি ক্ষুদ্র, ১-২ মিমি লম্বা, আশুপাতী। আরো পড়ুন

মান্দার বা পারিজাত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার রক্ত রাঙা আলংকারিক দৃষ্টিনন্দন ফুল

মান্দার বা পারিজাত

ভূমিকা:  মান্দার, পারিজাত (বৈজ্ঞানিক নাম: Erythrina variegata  ইংরেজি: Indian Coral Tree) এটি ফেবাসিস পরিবারের ইরিথ্রিনা  গণের কাঁটাযুক্ত লাল ফুলবিশিষ্ট বৃক্ষ। একে বাংলায় বলে পালতে বা পালধে মাদার, গ্রামাঞ্চলে বলে তে-পালতে, হিন্দিভাষী অঞ্চলে বলে ‘মান্দার ফরহদ, আবার মেদিনীপুর অঞ্চলেও ‘ফরৎ’ বলে, উড়িষ্যার অঞ্চলবিশেষে এর নাম পালধুয়া। প্রতিষ্ঠান, উদ্যান বা বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়। বৈজ্ঞানিক নাম: … Read more

হলুদ লাপছো বা হলুদ পোউ মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার সপুষ্পক দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষ

হলুদ লাপছো বা হলুদ পোউ (বৈজ্ঞানিক নাম: Handroanthus serratifolius) হচ্ছে বিগ্নোনিয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষ। এই গাছ অনেক বড় হয় এটি বনভূমি এবং বাগানের বা ফার্মের প্রজাতি হিসেবে এখন পরিচিত। আরো পড়ুন

লাল শিমুল এশিয়ার উপকারি দৃষ্টিনন্দন পাতাঝরা সপুষ্পক বৃক্ষ

লাল শিমুল এরা বৃহৎ আকারের, দ্রুত বর্ধণশীল বৃক্ষ। শিমুল গাছ প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। শিমুলের বাকল সাদাটে, শক্ত কোণাকার গাছের গায়ে কাঁটা যুক্ত থাকে। এদের পাতা আঙ্গুলাকার যৌগিক, লম্বা বৃন্তযুক্ত, আরো পড়ুন

অশোক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ঔষধি গুনে ভরা বৃহৎ বৃক্ষ

অশোক বহু শাখাবিশিষ্ট ছায়াতরু। এই গাছ দেখতে মাঝারি আকারের। ৬ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। অশোক চিরসবুজ ও মাথা ছড়ান গাছ। এর কচি ডাল ও পাতা ঝুলন্ত এবং হালকা তামাটে রঙের হয় । এটি যৌগপত্র ও জোড়পক্ষ বিশিষ্ট্য। পাতা ২৫ থেকে ৩০ সেমি লম্বা হয়, পত্রিকা ৩ থেকে ৬ জোড়া থাকে এবং ১০ থেকে ২০ সেমি লম্বা ও ৫ থেকে ৭ সেমি চওড়া হয়। পাতা দেখতে মসৃণ। হলুদ ও কমলা রঙের ১০ থেকে ১৫ সেমি চওড়া হালকা সুগন্ধি ফুলের থোকা গাছের কাণ্ড ও ডাল ফুটে থাকে। এই ফুল বসন্ত থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত ভরে থাকে। বৃতিনল ১ সেমি লম্বা হয়, মুখে থাকে ৪ থেকে ৬টি লতি, প্রথমে কমলা, পরে লাল রং ধারন করে। পাপড়ি নেই। বহির্গত পুংকেশর ৬ থেকে ৮টি। ফল চ্যাপ্টা হয়। ফলের আকার ১০ থেকে ২০ সেমি লম্বা ও ৫ থেকে ৭ সেমি প্রস্থ। আরো পড়ুন

সোনালু বা বান্দর লাঠি গাছের বারোটি ভেষজ ব্যবহার

সোনালু বা সোনারু বা বান্দর লাঠি একটি মাঝারি আকারের বৃক্ষ। এদের চমৎকার ফুল ফোটে এবং বর্তমানে এটি আলংকারিক বৃক্ষ হিসেবেও পরিচিত। এদের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Cassia fistula. আরো পড়ুন

কেলি কদম এশিয়া ও আফ্রিকার সপুষ্পক ভেষজ গুণ সম্পন্ন বৃক্ষ

কেলি কদম রুবিয়েসি পরিবারের মিত্রজিনা গণের একটি উদ্ভিদ। এটি বহুশাখা বিশিষ্ট পত্রমোচী গাছ। এ গাছের প্রচলিত আরও কয়েকটি নাম ‘গিরিকদম্ব’, ‘হরিদ্রু’, ‘গৌরকদম্ব’, ‘ছোট হলদু’ প্রভৃতি।আরো পড়ুন

পারিজাত বা মান্দার গাছের ১৪টি ঔষধি ব্যবহার

মান্দার বা পারিজাত

পারিজাত বা মান্দার বা মাদার হচ্ছে কাঁটাযুক্ত একটি উদ্ভিদ। এদের বসন্তে লাল ফুল ফোটে। গ্রামাঞ্চলে কৃষকগণ বেড়ার কাজে মান্দার গাছ ব্যবহার করেন। আরো পড়ুন

অশ্বত্থ এশিয়ায় জন্মানো বৃহৎ ঔষধি উপকারি বৃক্ষ

অশ্বথ হচ্ছে তুঁত বা মোরাসি পরিবারের ফাইকাস গণের একটি বৃহদাকার বৃক্ষ। বট ও অশ্বথ পরস্পরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। অশ্বথ বটের মতো বড় আকারে বৃক্ষ। অশ্বত্থ গাছ ৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। আরো পড়ুন

শ্যাওড়া গাছের নয়টি ভেষজ গুণাগুণ এবং অন্যান্য উপকারিতা

শ্যাওড়া বা শেওড়া বা শাহাড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Streblus asper) হচ্ছে মোরাসি পরিবারের স্ট্রেবলাস গণের একটি সপুষ্পক চিরসবুজ উদ্ভিদ। চলতি কথায় আমরা একে শাঁড়া গাছ বলে থাকি। এই গাছ আকারে ছোট ঝোপ জাতীয় ঘন পত্রপল্লব বিশিষ্ট চিরসবুজ গাছ। পাতা ডিম্বাকার, খসখসে ও গাঢ় সবুজ। এর ফল হলুদ। সারাদেশে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভেষজ চিকিৎসায় গাছের ও মূলের ছাল, পাতা ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!