লিচু চাষ ও পরিচর্যা করার পদ্ধতি

জাত: বাংলাদেশে বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না ৩, মঙ্গলবাড়ি, মোজাফফরপুর, বেদানা, বারিলিচু ১, বারিলিচু ২, বারিলিচু ৩ ও দেশি জাতের লিচু পাওয়া যায়। লিচু ফল সংগ্রহ শেষে আগার ডাল ছাঁটাই (প্রায় এক ফুট), ডালের ছিদ্রকারী পােকা ও লিচু মাইট দমন এবং গাছে নিয়মিত সার প্রয়ােগের মাধ্যমে অনায়াসে লিচুর ফলন দ্বিগুণ করা যায়। ডালপালা ছাঁটাই: লিচু (বৈজ্ঞানিক নাম: … Read more

খুবানি ফল ও শাঁস-এর সাতটি ঔষধি ব্যবহার

মাঝে মাঝে পাতলা দাস্ত হয়, তা না হলে প্রায় প্রত্যহ দু’তিন বার করে আড়-পাতলা দাস্ত হতেই থাকে, সেটা আবার দীর্ঘদিন ধরে চলেছে, তখন সেক্ষেত্রে অনেক রকম রোগের সম্ভাবনা থেকে যায়। দীর্ঘদিন ধরে হজম ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটলে, পেটে ক্রিমির উৎপাত হলে যেক্ষেত্রে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে শুকনো খুবানী ফল একটি কিংবা দু’টি জলে মসৃণ করে বেটে তার সঙ্গে আধ কাপ জল মিশিয়ে সেটিকে ভালভাবে ছেঁকে নিংড়ে নিয়ে আরো পড়ুন

খুবানি শোভাবর্ধক ও উপকারী বৃক্ষ

মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড় বিশিষ্ট গাছ। সাধারণতঃ ২০। ২৫ ফুট উঁচু হয়। পাতা গোল কিংবা ডিম্বাকৃতি, ২ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা। ফুল গোলাপী সাদা। ফল কচি অবস্থায় রোমশ, পাকলে হলদে রঙের উপর লালের আভা, মসৃণ। শুকনো ফল তাজা অপেক্ষা উত্তম। এই ফল মধুর, অম্ল, অম্ল-মধুর ভেদে তিন প্রকার। ফলের মধ্যে বীজ থাকে এবং বীজের মধ্যে থাকে শাঁস। বীজের শাঁস অত্যধিক স্বাদযুক্ত। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ— ফল ও শাঁস।আরো পড়ুন

সফেদা খাওয়ার ছয়টি উপকারিতা

কাঁচা সফেদায় (বৈজ্ঞানিক নাম: Manilkara zapota) দুধের মতো এক প্রকার আঠা বেরোয় এবং সেটিতে সামান্য ট্যানিন আছে। পাকা ফল স্বাদে মধুর, তৃপ্তিদায়ক, অধিক পরিমাণে শর্করা সমৃদ্ধ। গাছের ছাল বলকারক ও জ্বরনাশক। বীজ মূত্রকারক ও মৃদু বিরেচক।

রোগ প্রতিকারে এই সুমিষ্ট ফলটিকে কিভাবে ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন— সুপক্ব ও সুমিষ্ট ফলই ব্যবহার্য, কাঁচা ফল খাবেন না। মধুমেহ (Diabetes mellitus) রোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা লোভের বশবর্তী হয়ে ভুলেও সপেটা খাবেন না।আরো পড়ুন

জোড়া নারকেল-এর নানাবিধ গুণাগুণ

জোড়া নারকেল-এর ছোবড়াযুক্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন জলে ভাসতে ভাসতে যখন তীরে আসে, তখন হয়তো কয়েক মাস বা বৎসর পেরিয়ে যায়। কিন্তু বীজ নষ্ট হয় না। মাটিতে পুঁতলে তা থেকে নতুন গাছের সৃষ্টি হবে, তবে অঙ্কুরোদগম হতে প্রায় বছর তিনেক সময় লেগে যায়। ৩০ বছরের চেয়ে কম বয়স্ক গাছে ফুল আসে না। গাছ বহু বৎসর বেঁচে থাকে।আরও পড়ুন

কফি-এর চারটি প্রজাতির প্রজাতির পরিচয়

দক্ষিণ ভারতে কফির চাষ ভালো হয়। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে coffea arabica এই প্রজাতিটির চাষ হলেও অন্য বেশ কয়েকটি প্রজাতি থেকেও কফি তৈরি হয়ে থাকে বা হতে পারে। সেগুলি সম্বন্ধেও সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই প্রবন্ধে দেওয়া চেষ্টা করছি। কফির ৫০-৬০টি প্রজাতি আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে পাওয়া। তন্মধ্যে Coffea arabica-র চাষ ব্যাপকভাবে এবং C. liberica, C. robusta এবং C. stenophylla অঞ্চলবিশেষে সামান্য পরিমাণে চাষ হয়ে থাকে। আরো পড়ুন

হৃৎফলা উপকারী চির হরিৎ বৃক্ষ

চির হরিৎ বৃক্ষ, সাধারণত ২০-৩০ ফুট উঁচু হতে দেখা যায় । উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ের সিন্দুনদীর অববাহিকা অঞ্চলে, কোয়েটা থেকে রভি অববাহিকা পর্যন্ত স্থানে ৬-৯ হাজার ফুট উচ্চতায় জন্মে । আফগানিস্থানে এটি একটি প্রিয় গাছ। সেখানে বিভিন্ন স্তূপের কাছে এটিকে লাগানো হয়ে থাকে। তাছাড়া গাছটির সুন্দর পাতা, ফুল এবং খাওয়ার উপযুক্ত জন্য এটিকে চাষ করা হয়। ইউরোপে উৎপন্ন বন সাংলী অপেক্ষা চিনাব উপত্যাকায় উৎপন্ন বনসাংলী অধিক সুস্বাদু।আরো পড়ুন

কাওয়াটুটি বাংলাদেশের পাহাড়িঞ্চলে জন্মানো উপকারী বৃক্ষ

কাওয়াটুটি প্রায় ১২ মিটার উঁচু বৃক্ষ এবং প্রধান অক্ষ সুস্পষ্ট। পত্র প্রতিমুখ, বৃহৎ, একপক্ষল, সচূড় পক্ষল, পত্রক ৫-৭টি, বৃহৎ, প্রশস্ত, উপবৃত্তাকার। পুষ্পবিন্যাস বৃহৎ প্যানিকেল বা মিশ্র প্যানিকেল, শীর্ষ কোমল রোমশ। পুষ্প সম্পূর্ণ, উভলিঙ্গ, অধিগর্ভ, সামান্য এক প্রতিসম। বৃতি ৫ টি যুক্ত বৃত্যংশ নিয়ে গঠিত, মুক্তাবস্থায় ৩-৫ টি অসম খন্ডে বিভক্ত, প্রান্ত-আচ্ছাদী।আরো পড়ুন

প্যারাবোহা অরণ্যে জন্মানো উপকারী বৃক্ষ

এটি গুল্ম অথবা ছোট আকারের বৃক্ষ। এটি ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু, প্রায়শই অর্ধপরাশ্রয়ী, শাখা-প্রশাখাসমূহ ঝুলন্ত, উপশাখাসমূহ শুষ্ক অবস্থায় বাদামী থেকে হলুদাভ। পল্লব মসৃণ বা কিছুটা অণুখররোমাবৃত, সমতল অথবা কিঞ্চিৎ কর্কশ। পাতা দ্বিসারি, অণুপর্ণী, উপপত্র ০.৩-০.৮ সেমি লম্বা, মসৃণ, আশুপাতী, ফলক বৃন্তক, বৃন্ত ০.৩-১.৫ সেমি লম্বা, বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা খররোমাবৃত, ফলক দীর্ঘায়ত, উপবৃত্তাকার থেকে উপবিডিম্বাকার বা ভল্লাকার, ৪.০-১৬.৫ x ১.৫-৮.০ সেমি, চর্মবৎ, শীর্ষ আকস্মিক দীর্ঘাগ্র থেকে প্রায় পুচ্ছাকৃতি, আরো পড়ুন

পাকুড় বাংলাদেশে জন্মানো উপকারী বৃক্ষ

পাকুড় মাঝারি আকারের পত্রঝরা বৃক্ষ। এটি ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু, উপশাখাসমূহ এবং তরুণ বিটপ মসৃণ, চুড়া অনিয়মিত আকারবিশিষ্ট। পাতা সরল, একান্তর, বৃন্তক, বৃন্ত ৪-১০ সেমি লম্বা, ফলক স্থুল ডিম্বাকার, ১০-১৫ x ৬-১০ সেমি, নিম্নপ্রান্ত খাতাগ্র বা প্রায় হৃৎপিণ্ডাকার, কিনারা অখন্ড, শীর্ষ তীক্ষ্ণগ্রবিশিষ্ট, উভয়পৃষ্ঠ মসৃণ। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!