ঘোড়ানিম বা মহানিম-এর নানাবিধ গুণের বিবরণ

ঘোড়া নিম বা মহানিম (Melia azedarach) প্রধানভাবে কাজ করে রসবহ ও রক্তবহ স্রোতে। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ পত্র, ত্বক, মূল, পুষ্প, ফল ও বীজের তৈল। আরো পড়ুন

পদ্মকাঠ গাছ-এর সাতটি ভেষজ প্রয়োগ

পদ্মকাঠ গাছের কাঠ শীতল, তিক্ত পুষ্টিকর, রক্তস্তম্ভক, ছর্দি নিগ্রহণ, স্তম্ভন, বেদনাস্থাপক, বর্ণকারক, গর্ভস্থৈর্যকর ও জ্বরঘ্ন। পদ্মকাষ্ঠের কাঠে ও ছালে হাইড্রোসাইনিক এসিড আছে। এটি অত্যন্ত বিষাক্ত। অল্প মাত্রায় ঔষধের কাজ করে, বেশি মাত্রায় খেলে শারীরিক ক্ষতি হয়।

পদ্মকাঠ পাহাড়িঞ্চলে জন্মানো ভেষজ বৃক্ষ

পদ্মকাঠ-কে বাংলায় পদ্মকাঠ বা পদ্মকাষ্ঠ বলা হয়। সংস্কৃত নাম পদ্মক। হিন্দী ভাষাভাষী অঞ্চলে এর নাম পদ্মাখ, পদুম কাঠ। বোটানিক্যাল নাম Prunus cerasoides D. Don., পূর্বে এটির নাম ছিল Prunus puddum Roxb. ex wall.; ফ্যামিলী Rosaceae. ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ: কাঠ। মাত্রা-কাষ্ঠচুর্ণ ৫০০ মিলি গ্রাম থেকে ২ গ্রাম পর্যন্ত।আরো পড়ুন

বীরতরু বৃক্ষের পাঁচটি ভেষজ গুণাগুণের বর্ণনা

এটি প্রধানভাবে কাজ করে রসবহ স্রোতে। গাছের কচি পাতার রস চোখের রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়। মূল সংকোচক এবং আমবাত, মূত্রাশ্মরী ও বৃক্ক রোগে ব্যবহার্য। সন্ধিবাত এবং শোথে মূলের প্রলেপ আরামদায়ক। এর মূল কফনাশক ও তৃষ্ণাহর; মূত্রাঘাত, অশ্মরী, যোনিরোগ, মূত্ররোগ, বাতবিকার, সন্ধিশূল ও মূত্রকৃচ্ছতা নাশক এবং অগ্নিদ্দীপক।আরো পড়ুন

সাদা তুঁত গাছের নানাবিধ ভেষজ প্রয়োগের বিবরণ

মাঝারি ধরনের গাছ, লম্বায় ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছের ছাল ধূসর রঙের, কাঠ খুব একটা শক্ত না হলেও নানাবিধ খেলার সরঞ্জাম ও গৃহাদি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পাতা ২-৫ ইঞ্চি লম্বা, ডিম্বাকৃতি। শীতকালে ফুল, পরে ফল। ফল লম্বা, গায়ে সরু কাঁটা থাকে, পাকে বসন্তকালে।

পেস্তা বাদাম জনপ্রিয়, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্যশস্য

মাঝারী ধরনের ঝাড়ীদার গাছ, সাধারণতঃ ৮/১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে দেখা যায়। চির সবুজ গাছ নয়, বৎসরে একবার সম্পূর্ণ পাতা ঝরে যায়। পাতা পরস্পর বিপরীতমুখী নয়, এলোমেলো পাতা ক্রমশ সরু অথচ কিছুটা ডিম্বাকৃতি, চামড়ার মত মোটা ও খসখসে। ফুল ছোট ছোট গুচ্ছাকৃতি, তাতে নানা রঙের সংমিশ্রণ। পেস্তার খোসার উপরিভাগের রঙ সাদাটে ধূসর, খোসা শক্ত। আরো পড়ুন

পেস্তা বাদাম-এর আটটি ভেষজ গুণাগুণ ও ব্যবহার পদ্ধতি

পেস্তা বাদাম-এর আছে নানা ভেষজ গুণাগুণ। খেতে সুস্বাদু হলেও বাত, পেটের অসুখ, শরীরের দুর্বলতা ইত্যাদি সারাতে ব্যবহার হয়। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ: বীজের শাঁস, শাঁসের বহিরাবরণ, পিস্তেকা ফুল। আরো পড়ুন

বৃক্ষামল বা মহাদা এশিয়ায় জন্মানো উপকারী বৃক্ষ

ঝোপঝাড়যুক্ত সুন্দর ছোট গাছ। শাখাগুলি স্বাভাবিকভাবেই অবনত। পাতা ডিম্বাকার, অগ্রভাগ বশার মত ক্রমশ সরু, দেখতে অনেকটা গাব (Diospyros peregrina) পাতার মত আয়তাকার। এটি লম্বা ও চওড়ায় যথাক্রমে আড়াই থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি ও দুই থেকে আড়াই ইঞ্চির মত।আরো পড়ুন

ঘন্টাপারুল বা ঘন্টাপাটালি গাছ-এর নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

এর পাতা স্বাদে তিক্ত, অতিশয় কটু; আমাশয় শূল, ক্রিমি, মূত্রকৃচ্ছ, অতিসার, রক্তহীনতা, বাত ও কফজ ব্যাধি এবং গুহ্যদ্বার সংক্রান্ত পীড়ায় ব্যবহার্য। মূল: কুষ্ঠরোগে ব্যবহৃত হয়। মূলত্বকের ক্বাথ দিয়ে সরিষার তৈল পাক করে সেই তেল লাগালে দগ্ধব্রণ আরাম হয়।আরো পড়ুন

ঘন্টাপারুল বা ঘন্টাপাটালি এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বৃক্ষ

ঘন্টাপারুল বা ঘন্টাপাটালি-এর বোটানিক্যাল নাম Screbera swietenioides Roxb. ফ্যামিলী Oleaceae. এই গাছের আর একটি প্রজাতি আছে, তার বোটানিক্যাল নাম s. pubescens Kurz., এ কোমল রোমশ, পক্ষাকার, উভয়দিকে ৩/৪ জোড়া পত্রিকা এবং সম্মুখে একটি পত্রিকা থাকে। ফুল ছোট, সাদা ও ধূসর রঙের, রাত্রে অধিক সুগন্ধ ছড়ায়। ফল কিছু ছোট। কাঠ ধূসর বর্ণের, কাঠ থেকে তাঁতের মাকু প্রস্তুত হয়।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!