গোথা কর্মসূচির সমালোচনা – জার্মান শ্রমিক পার্টির কর্মসূচির ওপর পার্শ্বটিকা

গোথা কর্মসূচির সমালোচনা

১. ‘শ্রমই সকল সম্পদ ও সকল সংস্কৃতির উৎস এবং যেহেতু কার্যকর শ্রম একমাত্র সমাজের ও সমাজের মাধ্যমেই সম্ভব, সেহেতু সমাজের সকল সদস্য সমান অধিকার বলে অটুট পরিমাণে শ্রমফলের মালিক।’ অনুচ্ছেদের প্রথম অংশ : ‘শ্রমই সকল সম্পদ ও সকল সংস্কৃতির উৎস।’ শ্রম সকল সম্পদের উৎস নয়। আরো পড়ুন

আমাদের শক্তি স্থায়ী হয় না কেন? — কাজী নজরুল ইসলাম

আমাদের শক্তি স্থায়ী হয় না কেন? এ প্রশ্নের সর্বপ্রথম উত্তর, আমরা চাকুরিজীবী। মানুষ প্রথম জন্মে তাহার প্রকৃতিদত্ত চঞ্চলতা, স্বাধীনতা ও পবিত্র সরলতা লইয়া। সে চঞ্চলতা চিরমুক্ত, সে স্বাধীনতা অবাধগতি, সে সরলতা উন্মুক্ত উদার। মানুষ ক্রমে যতই পরিবারের গণ্ডি, সমাজের সংকীর্ণতা , জাতির – দেশের ভ্রান্ত গোঁড়ামি প্রভৃতির মধ্য দিয়া বাড়িতে থাকে, আরো পড়ুন

ভাঙায় কোন বাহাদুরী নাই — সম্পাদকীয়, দৈনিক ইত্তেফাক, ৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭১

কোন বাহাদুরী নাই

দেশের প্রবীণতম রাজনীতিক মওলানা ভাসানী সকলেরই শ্রদ্ধাভাজন। পারতপক্ষে এই অশীতিপর বৃদ্ধ রাজনীতিকের সমালোচনায় আমরা লিপ্ত হইতে চাই না। কিন্তু এমন সময় আসে তখন কিছু না বলিয়াও পারা যায় না। তার ন্যাপ-দলীয় অনুগামীরাও অনেকে বলেন, ‘স্ববিরোধিতা তোমারই নাম ভাসানী’। আবার কেহ কেহ বলেন, এই বয়সে রাজনীতি হইতে তাঁর সরিয়া পড়ায় সমীচিন। কিন্তু তিনি সরিতেছেন না। আরো পড়ুন

কালা আদমিকে গুলি মারা — কাজী নজরুল ইসলাম

একটা কুকুরকে গুলি মারিবার সময়েও এক আধটু ভয় হয়, যদিই কুকুরটা আসিয়া কোনো গতিকে গাঁক করিয়া কামড়াইয়া দেয়! কিন্তু আমাদের এই কালা আদমিকে গুলি করিবার সময় সাদা বাবাজিদের সে ভয় আদৌ পাইতে হয় না। কেন না তাহারা জানে যে, আমরা পশুর চেয়েও অধম। একবার এক সাহেবের গুলির চোটে আমাদের স্বগোত্র এক কালা আদমি মারা যায়, তাহাতে সাহেব জিজ্ঞেস করেন ‘কৌন্ মারা গিয়া?’ আরো পড়ুন

ভারতে পুনরাগমন — পাবলো নেরুদা

অধ্যাপক কুরি তখন বিশ্বশান্তি মহাসভার ফ্রান্স শাখার সভাপতি। তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, শান্তিবাদ বা যুদ্ধবিরােধী মতবাদ ভারতবর্ষে তেমন গুরুত্ব লাভ করছিল না, যদিও সবাই জানে যে ভারতবর্ষ শান্তিপ্রয়াসী দেশগুলাের মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু নিজে শান্তি ও সহাবস্থান নীতির একজন বড়াে প্রবক্তা, কাজেই ভারতের মাটিতে এই নীতি অনেকখানি শিকড় গেড়ে বসেছিল। আরো পড়ুন

ময়মনসিংহে অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে পঠিত বিবৃতি

ভারতের শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত জাতিসত্তাসহ শোষিত নির্যাতিত অপমানিত বঞ্চিত মানুষের সার্বিক মুক্তির সংগ্রামে যে সকল কবি লেখক আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা নিরলস সংগ্রাম ও সংগঠন করে আসছেন—বর্তমান ভারতের ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদী সরকার তাদের দমনে এক রাষ্ট্রীয় অভিযানে নেমেছে। গত ২৮ আগস্ট ভারতের হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, পুনা, দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরে আরো পড়ুন

খুলনায় অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে পঠিত বিবৃতি

আমরা অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা সাম্প্রতিক সময়কে ধারণ করে আগামীকে নির্মাণ করার লড়াই করছি। বাংলাদেশে বর্তমানে চকবাজার, বনানীসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডে মানুষের মৃত্যুকে আমরা রাষ্ট্রের গণহত্যা হিসাবে দেখতে চাই। অপরিকল্পনা এবং অব্যবস্থাপনার বিপক্ষে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। দেশে দেশে গণতন্ত্রের সংকট, ভিন্নমত দমন, বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরো পড়ুন

দাদামশাইয়ের বৈঠকখানা

এক্কা দোক্কা তিন তেরেক্কা/ মা গিয়েছে দক্ষিণেশ্বর/ মামা গেছে ফারাক্কা/ চোখ পিটপিট, গা কুটকুট/ কুড়র মুড়র ঝাল বিস্কুট/ কার পকেটে/ কান পেতে শোন টক্কা টরে/ দরজাতে কে শব্দ করে/ তেরে কেটে তাক তেরে কেটে/ চোর না পুলিশ/ দেখে খুলিস। আরো পড়ুন

ওঠাপড়া

এইও! কাউকে বলবে না/ পাহাড়ে উঠছে বানরসেনা/ একপা দু-পা-তিন-পা/ সবার আগে শের পা/ যেই না পথ ফুরোয়/ পৌঁছে যায় চুড়োয়/ চেঁচিয়ে কয়, নামো নামো/ ল্যাজ আনিনি, আরে রামো/ কাজেই আবার এক-পা দু-পা/ হুপ পা হুপ, হুপ পা হুপা। আরো পড়ুন

দেয়ালের লিখন

বাবু হয়ে ব’সে গদিতে।/ ভুলে গেছে ভুয়ে পা দিতে।/ দেশের লোকের ছাড়ছে নাড়ি।/ বাড়ছে দলের গাড়ি বাড়ি।।/ মন্ত্রী মশাই, করেন কী ?/ পরের ধনে পোদ্দারি।/ হাকিমসাহেব, করেন কী ?/ খোদার ওপর খোদারি।/ আহা আহা, করেন কী ?/ ঢের হয়েছে, গোটান এবার/ পাততাড়ি।। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!