এসো হে

আমাকে চিনবে না।/ অনেকটা রাস্তা উজিয়ে/ আজ এই পড়ন্ত বেলায়/ আমি আসছি।/ মাথাভর্তি মাঠ ভাঙা ধুলো,/ দুটো পা-য়/ কাটায় কাটাছেঁড়ার দাগ।/ ৰলি, চেনা লোকেরা সব/ গেল কোথায় গা?/ গোধূলির শূন্য দাওয়ায়/ এমন কেউ নেই/ যে তার মুখ ঘোমটায় ঢেকে/ পিঁড়ি পেতে দেয়,/ কনুই ছুঁয়ে এগিয়ে দেয়/ এক ঘটি তৃষ্ণার জল। আরো পড়ুন

ঘরে না, বাইরে না

এক পক্ষে/ তিন লক্ষ অক্ষৌহিণী/ নারায়ণী সেনা—/ প্রত্যেকে দুর্ধর্ষ যোদ্ধা/ সংশপ্তক/ ভয় কাকে বলে তা জানে না।/ যে জন্যেই হোক/ ( এরাও কৃষ্ণেরই জীব ! )/ প্রাণ দেয় হেলায়।/ দ্বারকায় বসে দুর্যোধন/ চেটে নেয় জিভ –/ আজ তার প্রাণে বড় সুখ।/ অন্য পক্ষে/ নিরস্ত্র একাকী/ যুদ্ধপরাঙ্মুখ।/ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং।/ ভূ-ভারতে একালে কেবা কী।/ তাকালেই বোঝা যাবে। আরো পড়ুন

দৃশ্যত

রাস্তা দিয়ে যেই যায়, খোলা জানলা, উঁকি মেরে দেখে –/ কে একজন সারাক্ষণ গদি-আঁটা কাঠের চেয়ারে/ টেবিলে দু-ঠ্যাং তুলে গালে হাত দিয়ে বসে থাকে।/ চুলগুলো খোঁচা খোঁচা, ভাঙা গাল, দেখতেও চোয়াড়ে,/ মাঝখানে সামান্য ভুঁড়ি, যে রকম হয় ভারি ট্যাঁকে—/বেড়া ভেঙে ভাবনা ঢুকলে সম্ভবত দেয় সে খোঁয়াড়ে। আরো পড়ুন

বুড়ি ছু’য়ে

যে দেয়ালে বুড়ি দিত এতদিন ঘুটে/ ভদ্রলোকের বেটারা সেখানে জুটে/ তাতে নানা রং ফলিয়ে গিয়েছে লিখে/ বুড়ি জানে নাকে কারা কোন্ দল কী কে/ একই দেয়ালের ভাগ ক’রে দুই পিঠে/ দু-দলেই যায় দু-দলের ঢাক পিটে/ ওরা বলে, মুখে ধরব দুধের বাটি/ ভাই, আমাদের ওঠাও আরেক কাঠি আরো পড়ুন

তার কাছে

গৌরচন্দ্রিকা থেকে পরিশিষ্টে/ ছুটিয়ে প্রাণান্ত পরিচ্ছেদে/ ওপরে সোনার জলে/ নামধাম লিখে/ যথোচিত ঠাটবাটে/ মর্কটের চামড়ার মলাটে/ আষ্টেপৃষ্ঠে/ যে আমাকে বাঁধে/ বলো পাখি, গিয়ে বলো,/ রাধে রাধে রাধে!— আরো পড়ুন

দূরান্বয়

সাদা চুলে/ দেখতে পাচ্ছি দরোজার/ ঝানকাঠে দাঁড়িয়ে—/ টেবিলে পা তুলে/ কোথাকার কে এক ছোকরা/ তর্জনী নাড়িয়ে/ সামনের দেয়ালকে বলছে,/ ‘কে ওখানে বটো ?/ হটো হটো হটো!’/ বাইরে বেরিয়ে ভাবি/ দেয়ালের কান নেই/ শোনে না, ভাগ্যিস ! আরো পড়ুন

এককাঠি দুকাঠি

এক পা বাইরে।/ এক পা/ মনের ভেতরে।/ ডালে দোল খায়/ আকাশকুসুম,/ শৃঙ্খলে বাঁধা/ স্মৃতি যায় ঘুম/ শেকড়ে।/ এক পা ওঠালে/ এক পা/ পেছনে ঠেলে।/ এ যখন ছাড়ে/ লাগে ওর টান/ থেকে থেকে হলে/ ওর উত্থান/ এ পড়ে। আরো পড়ুন

অগত্যা

তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকা বুড়ো/ সব পাতা ঝ’রে গেলে শীতে/ ফু দিয়ে স্মৃতিতে/ একা সে আঁটকুড়ো/ ব’সে ব’সে সারাক্ষণ ফোলায় ফাঁপায় / রঙিন বুদ্বুদ/ যেখানে যা পায়/ মাটিতে লাগিয়ে মুখ খুঁটে খায় খুদ/ পাখিদের মতন হুবহু/ এক থেকে/ সেও হতে চেয়েছিল বহু/ একা তাকে ফেলে রেখে গিয়েছে প্রত্যেকে/ দাঁতে আরো জোর কমবে চোখে কমবে জ্যোতি/ জিভ আরো বেশি করে চাইতে থাকবে নুন-ঝাল-টক/ তখনই ফিরিয়ে নেবে বস্তু তার দেহ থেকে গতি আরো পড়ুন

জল নেমে গেলে পলি

দেবতার থানে ধ’রে দিয়ে পাঁচসিকে/ কিনে নেব ত্রাণ -/ আমরা নই সে চিজ/ হানা দিলে বান/ ডেকে তুলে পড়শিকে/ চলে আমাদের তদন্ত তজবিজ।/ পেটে পড়ে টান,/ পড়ক –/ উঁচুতে টাঙাই শিকে/ পদ্মপাতায় ভালো ক’রে মুড়ে/ মাটির হাঁড়ির মুখ/ হাতের নাগাল থেকে ঢের দূরে/ তুলে রেখে দিই বীজ আরো পড়ুন

ভানুমতীর খেল

সাদার গায়ে ছিটানও কিছু কালি;/ বিষয়আশয় বলতে সেই বুড়োর/ আর আছে কী?/ এই নিয়েই তো খালি/ যত রাজ্যের চাপান আর উতোর।/ ইহকালের কাছে তো সেই বুড়ো/ পাতেনি হাত ;/ আপনি মিলেছে যা/ তাতেই খুশি, হোক না খুদকুঁড়ো/ হোক কিছু তার চোখের জলে ভেজা। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!