এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কাকে বলে

যে-শাসন ব্যবস্থায় দেশে একটি সরকার ও একটি আইনসভা থাকে এবং সংবিধান লিখিত অথবা অলিখিত হতে পারে সেই শাসন ব্যবস্থাকে এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা (ইংরেজি: Unitary state) বলে। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কেন্দ্রীয় আইনসভারই প্রাধান্য বজায় থাকে। স্থানীয় বা আঞ্চলিক সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে। আরো পড়ুন

রাজনৈতিক উপদল কাকে বলে

যখন একই দলের মধ্যে এক একটি গােষ্ঠী বিশেষ রাজনৈতিক মনােভঙ্গির ভিত্তিতে দানা বাঁধে এবং সেইসব গােষ্ঠী অপরাপর গােষ্ঠীর সঙ্গে অল্পবিস্তর বিষয়ে প্রতিপক্ষতা করে তখন সেই গোষ্ঠীগুলোকে রাজনৈতিক উপদল (ইংরেজি: Political faction) বলে। দল ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠনের মধ্যেও সমমনােভাবাপন্ন সদস্যদের গােষ্ঠীগতভাবে উপদল গড়ে তুলতে দেখা যায়। আরো পড়ুন

উৎপাদিকা শক্তি হচ্ছে উৎপাদনের যন্ত্র, যন্ত্র ব্যবহারের দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ এবং শ্রমের আগ্রহ

শ্রমিকের গীত

সমাজের উৎপাদিকা শক্তি বা উৎপাদনী শক্তি (ইংরেজি: Productive forces) বলতে উৎপাদনের যন্ত্র, যন্ত্র ব্যবহারের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষ এবং শ্রমের স্বভাব বা আগ্রহকে বোঝায়। মার্কসবাদ এবং ঐতিহাসিক বস্তুবাদ তত্ত্বের অন্যতম উপাদান হচ্ছে উৎপাদিকা শক্তি (ইংরেজি: Productive forces)। পণ্যের উৎপাদনযন্ত্র বা মাধ্যম এবং যারা এসব মাধ্যমকে ব্যবহার করে অর্থাৎ শ্রম শক্তির একত্রীকরণ হচ্ছে উৎপাদিকা শক্তি। উৎপাদিকা শক্তি এবং উৎপাদন সম্পর্ক একযােগে উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তােলে। আরো পড়ুন

উৎপাদন সম্পর্ক কাকে বলে

মার্কসীয় দর্শনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ ঐতিহাসিক বস্তুবাদ বিষয়ক প্রত্যয় হচ্ছে উৎপাদন সম্পর্ক (ইংরেজি: Production relations)। এতে পণ্যের উৎপাদন, বণ্টন ও বিনিময়ের প্রক্রিয়ায় যুক্ত মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের কথা বলা হয়ে থাকে। উৎপাদনী যন্ত্র বা মাধ্যমের মালিকানার প্রকৃতির উপর উৎপাদন সম্পর্ক নির্ভর করে। আরো পড়ুন

উৎপাদন ব্যবস্থা কাকে বলে

শ্রমিকের গীত

মার্কসীয় ঐতিহাসিক বস্তুবাদ তত্ত্বের অন্যতম উপাদান হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা (ইংরেজি: Mode of Production)। উৎপাদন ব্যবস্থা হচ্ছে ইতিহাস নির্দেশিত এমন একটি প্রণালী যার মাধ্যমে উৎপাদন ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যে পণ্য সংগৃহীত হয়। উৎপাদিকা শক্তি ও উৎপাদন সম্পর্কের যােগফলে উৎপাদন ব্যবস্থার গড়ে ওঠে;— এই উপাদান দুটি পরস্পর নির্ভর ও সম্পৃক্ত। ইতিহাসে পরম্পরাক্রমে পাঁচ ধরনের উৎপাদন ব্যবস্থাকে দেখা … Read more

রাজনৈতিক আমূল পরিবর্তনবাদ বা রাজনৈতিক আমূল সংস্কারবাদ কি

রাজনৈতিক আমূল পরিবর্তনবাদ বা রাজনৈতিক আমূল সংস্কারবাদ (বা সংক্ষেপে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায়, আমূল পরিবর্তনবাদ) পরিভাষাটি দ্বারা সেসব রাজনৈতিক মূলনীতিকে নির্দেশ করা হয় যেগুলো বৈপ্লবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজ কাঠামো পরিবর্তন এবং মৌলিক পন্থায় মূল্যবোধ কাঠামোকে বদলানোর দিকে নজর দেয়। আরো পড়ুন

আধিপত্য হচ্ছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক প্রাধান্য বা অন্য রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ

আধিপত্য

আধিপত্য বা হেজেমনি (ইংরেজি: Hegemony) হচ্ছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সামরিক প্রাধান্য অথবা অন্য রাষ্ট্রের উপর কোনো একটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ। আধিপত্য শব্দটি গ্রিক ভাষায় হেগেমন থেকে উৎপন্ন ইংরেজি হেজেমনির বাংলা প্রতিশব্দ। প্রত্যয়টির অর্থ জটিল। দুটি বিপরীত অর্থে শব্দটি ব্যবহৃত হয়—একটি হলো জবরদস্তিমূলক আধিপত্য। আরো পড়ুন

আকস্মিক বিদ্রোহ প্রসঙ্গে

আকস্মিক বিদ্রোহ (ফরাসি: Coup d’Etat) হচ্ছে ফরাসি শব্দ। সামরিক বা সরকারি শক্তিশালী ব্যক্তি বা গােষ্ঠী যাঁদের হাতে ক্ষমতা আছে তাঁদের উদ্যোগে হঠাৎ বলপ্রয়ােগ করে সরকার দখল। বিপ্লবের সঙ্গে তার পার্থক্য হলো যে ক্যু উপর থেকে আরােপিত হয়ে চেপে বসে আর বিপ্লবের পিছনে থাকে জনগণ।আরো পড়ুন

গোষ্ঠীতন্ত্র কী এবং কেন প্রতিরোধ করতে হবে

গোষ্ঠীতন্ত্র (ইংরেজি: Oligarchy) হচ্ছে স্বল্প সংখ্যক লোকের ক্ষমতা বা মুষ্টিমেয় ব্যক্তির দ্বারা শাসন।[১] গোষ্ঠীতন্ত্র হচ্ছে শোষণমূলক রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম রূপ। গোষ্ঠিতন্ত্রে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে মুষ্টিমেয় ধনিদের হাতে কেন্দ্রিভুত থাকে। ধনকুবের গোষ্ঠীতন্ত্র সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থায় রাষ্ট্র যন্ত্রকে বশ করে, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বৈদেশিক নীতি নিয়ন্ত্রন করে, দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করে। আরো পড়ুন

অভিজাততন্ত্র মুষ্টিমেয় সংখ্যক ব্যক্তিদের দ্বারা চালিত গণবিরোধী শাসন

অভিজাততন্ত্র (ইংরেজি: Aristocracy) হচ্ছে গ্রিক আরিস্তোক্রাতিয়ার বাংলা প্রতিশব্দ। অভিজাততন্ত্রের অর্থ হলো সর্বোত্তমের দ্বারা শাসন। আরিস্তোতলের দৃষ্টিতে পুণ্যবানদের নিয়ে অভিজাততন্ত্র রচিত হয় এবং গােষ্ঠীতন্ত্রের (ইংরেজি: oligarchy) মূলাধারা হলো বিত্ত। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!