খিলাফত আন্দোলন ছিলো ভারতে ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন

খিলাফত আন্দোলন (ইংরেজি: Khilafat Movement) বা ভারতীয় মুসলিম আন্দোলন ছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের পরাজয়ের ফলে ভারতীয় মুসলিমদের ভীতি থেকে উদ্ভূত ইসলামি জাগরণপন্থী আন্দোলন। খিলাফত শব্দটি খলিফা শব্দ থেকে উৎপন্ন। শব্দটির অর্থ উত্তরাধিকারী; হজরত মহম্মদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার যে-সংস্থার প্রতিভূর উপর বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে বর্তিয়েছিল সেই সংস্থার নাম খিলাফত। আরো পড়ুন

খাকসার ছিলো জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ ও প্রাণীর সেবাকারী আন্দোলন

অমৃতসরের অধিবাসী ইনায়াতুল্লাহ খাঁ (১৮৮৮-১৯৬৩) ইসলাম ধর্ম ও তার আদি ঐতিহ্যের আদর্শে ১৯৩১ সালে খাকসার দল (ইংরেজি: Khaksar Movement) গঠন করেন। খাকসার কথাটি পারসি ভাষা থেকে গৃহীত। শব্দটির অর্থ (খাক + সার) মাটির ধূলা । খাক’-এর অর্থ ধূলা এবং ‘সার’ মানে জীবন। যিনি খাকসার হবেন তাঁকে মাটির ধুলার মতাে বিনয়ন হতে হবে। আরো পড়ুন

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাস হচ্ছে ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের পর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক থেকে লেনিন তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে তৃতীয় আন্তর্জাতিক বা সাম্যবাদী আন্তর্জাতিক সংক্ষেপে কমিন্টার্ন গঠন করেন। কমিন্টার্নের পরিচালনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন সম্প্রসারণের কর্মসূচি গৃহীত হয়। এর কিছুকাল আগে মেক্সিকোয় ভারতীয় জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী মানবেন্দ্রনাথ রায় মার্কসবাদী দর্শনে দীক্ষিত হয়ে রুশ দেশের বাইরে প্রথম একটি কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টিসমূহ-এর ইতিহাস

উনিশ শতকের ত্রিশের দশকে কার্ল মার্কসফ্রিডরিখ এঙ্গেলস কমিউনিজম শব্দটি ব্যবহার করেন। একটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন হিসেবে কমিউনিস্ট লিগ গঠনসুত্রে তাঁরা কমিউনিস্ট ইশতেহার (১৮৪৮) গ্রন্থে একটি দল অর্থে কমিউনিস্ট শব্দটির সূত্রপাত করেন। কার্যত কমিউনিস্ট শব্দটি ব্যাপক প্রচলন লাভ করে ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের পর। আরো পড়ুন

আইন অমান্য আন্দোলন প্রসঙ্গে

আইন অমান্য আন্দোলন (Civil disobedience movement) হচ্ছে আন্দোলনের একটি প্রতিক্রিয়াশীল সুবিধাবাদী ধারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতিবাদী দার্শনিক হেনরি ডেভিড থােরাে (১৮১৭-৬২) তাঁর ‘অন দ্য ডিউটি অব সিভিল ডিসওবিডিয়েন্স’ (১৮৪৯) নামে একটি প্রবন্ধে গণপ্রতিবাদ ও আন্দোলনের এই পদ্ধতিটি তুলে ধরেন।আরো পড়ুন

ভারতে শাসন সংস্কার ও আঠারো শতকের ষাটের দশকগুলো

১৮৫৭-১৮৫৯ খ্রীস্টাব্দের গণ-অভ্যুত্থান ভারতের ইতিহাসে একটি অতি গুরত্বপূর্ণ ঘটনা। এতে ব্রিটিশ শাসনের সামাজিক ভিত্তির আপেক্ষিক দুর্বলতা প্রকটিত হয়েছিল এবং শোষকদের বিরুদ্ধে জনগণের গভীর ঘৃণাও আত্মপ্রকাশ করেছিল। আরো পড়ুন

ভারতীয় সংস্কৃতি ও ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকের অর্থনৈতিক ইতিহাস

ভারতীয় সংস্কৃতি ক্ষেত্রে আকবরের রাজত্বকালে বেশ প্রাধান্য লাভ করেছিল মুসলমান ও হিন্দু, এই দুটি প্রধান সংস্কৃতি থেকে আহৃত উপাদানসমূহের এক সংশ্লেষণী প্রক্রিয়া। হিন্দু সংস্কৃতির উপাদানগুলি স্পষ্টতই প্রাধান্য পেয়েছিল ফতেপুর সিক্রির অট্টালিকাগুলির আরো পড়ুন

মোগল বিরোধী গণ-অভ্যুত্থান ও সপ্তদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে রাজনীতি

মোগল বিরোধী গণ-অভ্যুত্থান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সপ্তদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমাগত ফুসে উঠেছিল নানাভাবে। যদিও এইসব অভ্যুত্থানের প্রকৃতি ছিলো ভিন্ন-ভিন্ন এবং এগুলির মধ্যে সংযোগ কিংবা সময় ছিলো সামান্যই। আরো পড়ুন

আওরঙজেব রাজত্ব আমলের ষড়যন্ত্র ও সামন্ত-ভূস্বামীদের মধ্যে বিবাদ

মোগল আমলের সমস্ত গণ-আন্দোলনের ফলে মোগল-রাজকোষে রাজস্বের পরিমাণ হ্রাস পায়। ওদিকে গোলকোণ্ডা-রাজ্য ১৬৩৬ খ্রীস্টাব্দে মোগলদের যেবার্ষিক সেলামি দেবে বলে চুক্তি করেছিল তা দেয় বন্ধ করে। আরো পড়ুন

মোগল আমল ও দাক্ষিণাত্য দখল নানা অভিযান

মোগল আমলের শুরু সপ্তদশ শতক থেকে; সেই সময় মোগল-সম্রাটরা সমগ্র দক্ষিণ-ভারত নিজেদের পদানত করার আশা ত্যাগ করেন নি। ওই সময়ে মোগল-সেনাবাহিনীর দাক্ষিণাত্য-অভিযান শুরু করার পক্ষে প্রধান অগ্রসর ঘাঁটি ছিল গুজরাট। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!