দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বা সমাজতন্ত্রী আন্তর্জাতিক-এর কার্যক্রম ও ভূমিকা
শ্রমিক আন্দোলনে মার্কসবাদের বিজয়ের পক্ষে একান্ত ফলপ্রসূ ছিল প্রথম আন্তর্জাতিকের ক্রিয়াকলাপ, বিভিন্ন দেশে ব্যাপক প্রলেতারিয় পার্টি গড়ার জন্য যা জমিন তৈরি করেছিল।আরো পড়ুন
সমাজতন্ত্রের ইংরেজি ‘socialism’ শব্দটি ল্যাটিন শব্দ sociare থেকে এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ সংযুক্ত করা বা অংশীদার করা। ফরাসি বিপ্লবের বহু পূর্ব থেকে তথা মানব ইতিহাসে শ্রেণি ও শোষণ উদ্ভবের কাল থেকেই সমাজকে কেন্দ্র করে সাম্যবিষয়ক চিন্তা মানুষ করে এসেছে। সমাজতন্ত্র শব্দটির সংজ্ঞা ও ব্যবহার পাকাপোক্ত হয় ১৮৬০ সালে; সেই সময়ের আগে ব্যবহৃত সমবায়ী, পারস্পরিকপন্থী এবং সংঘপন্থী শব্দগুলোর পরিবর্তে।
শ্রমিক আন্দোলনে মার্কসবাদের বিজয়ের পক্ষে একান্ত ফলপ্রসূ ছিল প্রথম আন্তর্জাতিকের ক্রিয়াকলাপ, বিভিন্ন দেশে ব্যাপক প্রলেতারিয় পার্টি গড়ার জন্য যা জমিন তৈরি করেছিল।আরো পড়ুন
বিশ শতকে সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ ও শ্রেণি সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু ইউরোপে থাকলো না। সমাজতন্ত্রের ময়দান দখল করলো এশিয়া, লাতিন আমেরিকা আর আফ্রিকার মানুষ। সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ নিয়ে কিন্তু আলোচনার টেবিল, গবেষণা, বাকোয়াজি কম করেনি ইউরোপ।আরো পড়ুন
ইতিহাসের শিক্ষা থেকেই আমরা জানতে পারি যে সমাজে যে শ্রেণি বা গোষ্ঠী উৎপাদনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে, এবং উৎপাদনের প্রধান কাজগুলো করে থাকে, কালে কালে তাদেরই যে উৎপাদন ব্যবস্থার উপর আধিপত্য স্থাপিত হবে সে কথা অবশ্যম্ভাবী। মাতৃপ্রধান সমাজে এমন একটা সময় ছিলো যখন উৎপাদন ব্যবস্থার উপর নারীদেরই প্রাধান্য মেনে নেয়া হতো। তার কারণ কি? আরো পড়ুন
বিশ শতকের প্রথমার্ধে জনগণকে সুশিক্ষিত করার কথা বলা হতো; পাকিস্তানকালিন সময়েও জনগণকে সুশিক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশ হবার পরে সুশিক্ষা বা শিক্ষার পরিবর্তে স্বাক্ষরতা শব্দটি চালু করা হয়। একবিংশ শতাব্দীর শূন্য দশকের বাংলাদেশে শিক্ষা সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা, লেখালেখি, চিন্তার প্রকাশ নেই বললেই চলে। আরো পড়ুন
সমাজতন্ত্র জনশিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার হিসেবে বিবেচনা করে। একটি প্রগতিশীল ও সমাজতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক সমাজের বিনির্মাণে সহায়ক। সমাজতন্ত্রে জনসাধারণ অবাধে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ লাভ করে। এটি ব্যক্তিমানুষের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টি করে। আরও পড়ুন
শ্রেণিসংগ্রাম (Class struggle) হচ্ছে শ্রেণি বিভক্ত সমাজে পরস্পরবিরোধী স্বার্থসংশ্লিষ্ট মুখ্য দুটি শ্রেণির মধ্যে প্রকট আকারের দ্বন্দ্ব-সংঘাত বা সংঘর্ষ যা বৈরি উৎপাদন সম্পর্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শ্রেণি বিভক্ত সমাজব্যবস্থা শুরুর পরে দাসপ্রথা থেকে শুরু করে যত সমাজ দেখা দিয়েছে তাদের ইতিহাস হলো শ্রেণিগুলোর মধ্যে সংগ্রাম, শোষিত ও শোষক, নিপীড়িত ও নিপীড়ক শ্রেণিগুলোর মধ্যে সংগ্রামের ইতিহাস।আরো পড়ুন
পুঁজিবাদের উদ্ভব হয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে, এটাকে সচেতনভাবে পরিকল্পনা অনুসারে গড়ে তোলা হয় না। পুঁজিবাদের আগের দুটি শোষণমূলক ব্যবস্থা দাস সমাজ এবং সামন্তবাদও দেখা দিয়েছিলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে।আরো পড়ুন
প্রলেতারিয়েত শ্রেণির রাজনৈতিক ক্ষমতা হচ্ছে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব (ইংরেজি: Proletarian Dictatorship) যা তারা সমাজতন্ত্র বিনির্মাণ ও দৃঢ়করণের জন্য ব্যবহার করে। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ফলে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্ষমতা থেকে অপসারিত শোষকদের বিরুদ্ধে শ্রেণিসংগ্রামের স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে এটি ক্রিয়া করে। আরো পড়ুন
এক দেশে সমাজতন্ত্রের (ইংরেজি: Socialism in one country) তত্ত্বটি মূলত ভ্লাদিমির লেনিনের উদ্ভাবিত। ১৯২৪ সালে জোসেফ স্তালিন এটিকে সামনে নিয়ে আসেন, ১৯২৫ সালে নিকোলাই বুখারিন এটিকে বিস্তৃত করেন এবং অবশেষে সোভিয়েত ইউনিয়ন এটিকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করে। আরো পড়ুন
প্যারিস কমিউন (ইংরেজি: Paris Commune) হচ্ছে ১৮৭১ সালে ফ্রান্সের প্যারিতে প্রলেতারিয় বিপ্লবীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রলেতারিয়েত শ্রেণির বিপ্লবী সরকার। সেটি ছিলো ইতিহাসে প্রথম প্রলেতারিয় একনায়কত্বের সরকার, তবে প্যারিসের বীর শ্রমিক শ্রেণি সেটিকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয় ৭২ দিন; ১৮৭১ সালের ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মে। আরো পড়ুন