শঙ্খমতির পাড়ের নগ্ন পায়ে হাঁটার গল্প

জিডাই

আজ রাত, আরো গভীর হোকপিপীলিকা চাল দানা নিয়ে ঘরে ফিরুকমাতালের মগ্নতা চোখগুলোকে নির্লিপ্ত করে রাখুকআর চাঁদটা আমার মতোই জেগে থাকুক,কাগজের দুই ডানাতে ভর করে একটু জ্যোৎস্না আসুকআমাদের বাহু নেশায় ভরিয়ে তুলুকসেই মাতলামিতে তোমাকে একটি কবিতা শোনাবযদি তুমি জেগে থাকও?তোমাকে কল্পনার সিঁড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যাবশঙ্খমতির পাড়ের রূপসী ঘাসের কাছে,এক পরিচিত জগতেযেখানে ভালোবাসার কোনো আলুথালু স্পন্দন … Read more

মেশিনগানের সামনে হাঁটুগেড়ে ধ্যান

রাতগুলো যেনো বিবর্ণ ত্যানার মতোচোখগুলোকে বেঁধে রেখেছে,মগজে চিন্তা সাজানো বারণ;কেবলই তোমার বন্দনা করেই কাটাতে হয়নইলে মেশিনগানের সামনে নিজেকে দেখি,মৃত্যুর মুখোমুখি। হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে থাকতেআমাদের নোনা ঘাম চুয়ে বিস্বাদ হয়ে যায়;তবুও কিছু বলা বারণ। এ এক যুদ্ধ নগরী, শব্দ-পাখিরা এখানে মুমূর্ষু,আজকাল আর মনের লেনদেন হয় না তাদের সাথে,পথের ভবঘুরের রুক্ষ জীবনের ক্ষোভগুলো যদিপাকা করলার বীজের … Read more

ফুলকির জন্য অপেক্ষা

কোনো ছাঁচ, ধাঁচ বা গণ্ডিতে নয়মুক্ত পাখির ডানার পালক হয়ে আমরা উড়েছিআপেল শ্রমিকের সুপ্ত স্বপ্নের সাথে মিলেছিআদিম কোনো ভূমিতে বীজ হয়ে ছড়িয়েছিসংগ্রামে এক হয়েছি রক্তজবা বুকে নিয়েতাই তুমি আমি আমরা পাপড়িময় সুবাস হয়েছি। তবুও আমি চাইএকটা অজানা শক্তির ফুলকি ছুঁয়ে যাক আমাদের শরীরনিজেদের আবার শোধন করি সূর্যস্নান করেযদিও জানি আমাদের স্বাদ ভিন্নপছন্দ বিচিত্র, চাওয়া পাওয়া … Read more

রুপালী সভ্যতার সুর

শুকনো পাতা ঝরা দিন চলে যায় হাওয়ার মতোবেঁচে থাকার যত মায়া উবে যায়হাওয়ার মতো,কোনো খাপছাড়া ক্ষোভ, অভিমান, ক্রোধঘণ্টার হয়ে টুং টুং বাজতে থাকেতোমার অপ্রকাশিত মনে।একবার অরণ্যে পা দিয়ে দেখোজীবনের স্বাদ এখানেই,ছোট ছোট আদরকে মুক্ত করে দেখোভালোবাসার তৃপ্তি এখানেই। খড় কুটো ছেড়ে মেঘ হয়ে ভাসব বলেসীমান্ত পেড়িয়ে তোমার কাছে আসা,পাহাড় ঘেসে যে বাড়ি তোমার-সেখানে বাগান করব … Read more

পরখ করে দেখো আমিও ইতিহাসের অংশ

বনসাই

তোমার শরীর পুরোপুরি আঁধারে ডুবে যাবার আগেইআসো অতীতের ক্ষতগুলো পরীক্ষা করে দেখি,যেখানে আছে পৌরানিক এক রঙ্গশালা,যার দেয়াল খচিত আছে ওড়িশি শিল্পীর তাল,নূপুরে ঝংকার, আর আছে লাল নীল দাগে,সব মিলে সত্যি অসাধারন কিছু পান্ডুলিপির খেলা ছড়িয়ে আছেসেখানে আত্মার ছড়াছড়ি, শরীরকে খুজে পাওয়া যায় না,আদর করতে চায় মন কিন্তু আঙুলে ছুঁয়ে দেখা যায় না,ভালোবাসার হাতগুলোকে এখন আধুনিক … Read more

ক্লান্তি মুছতে স্মৃতিরা তোমার দ্বারে

কবিতা হতে পারে মেঘলা দিনের হাওয়ার মতোপ্রিয় স্মৃতি নিয়ে তোমার আশেপাশে বেহালার সুর হয়ে ঘুরবেমধ্যদুপুরে ভাতঘুমের মতো চোখে নেশা হয়ে থাকবেবা ফিসফিস করে কানে এসে মোহিত কথা শুনাবে। প্রকৃতি থেকে ঘুম যখন বুনোফুলের গা ঝেড়ে তোমার ঘরে আসেতখন দেখবে জীবন কত সুন্দর, দিনের ক্লান্তি মুছে দিতে সে এসেছে তোমার নীড়েযখন দেখবে বসন্ত বোমার মতো ফেটে … Read more

এক অনাত্মীয় নগরবাসী গান

হেমন্তের রাত আজকাল বড্ড নিষ্ঠুর আর একাকিত্তে চলে যায়অনাত্মীয় দিন যেমন ভবঘুরে হয়ে ছুটে,আমরাও ঝাউয়ের শাখার মতো কুটিল নাগরিক জীবন থেকেকিছু পেতে চাই। ছাদে টবের মরিচ গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে শিরশির হাওয়াআবর্জনা মঞ্চের পাশ দিয়ে লাউ পটলের হকারের হাঁকমন্থর ঘণ্টা বাজানো বালকের খেলার মাঠআমাদের মনে করায় সাঁওতাল পাড়ার উদ্দাম। হঠাৎ মহুয়ামাখা বাতাস এলো আমাদের শহরেতোর … Read more

অলিখিত পঞ্জিকার গপ্পো

কোন সাল এটা? জানার দরকার নাই!তোমরা শুধু দেখে যাও ধ্বংসস্তূপ নির্মাণকারীর কাজওরা সুশৃঙ্খলভাবে অন্ধকারময় ধৈর্যশীল জীবন রচনা করে,তারা গীত গায় তোমাদের একাকীত্ব বাড়ানোর জন্যওরা কাছে আসে, মধুর প্রলাপ গায় এবং আবর্জনাস্তূপে নিয়ে যায়আর মগজহীন দেহ বানিয়ে কুঠরিতে সাজায়।এই সবকিছুই একদিন অভ্যাস হয়ে যায় আধুনিক সভ্যদেরসিসাময় জীবনকে স্বাগত জানায়উজ্জ্বল কংক্রিটকে স্বাগত জানায়পরাজিত যৌবনকে স্বাগত জানায়। ধরে … Read more

নাগরিক এ্যালবামে একটি প্রেমীদিনের প্রতিচ্ছবি

আমাদের কোনো অভিমানে ভরা চোখ ছিলো না সেদিন/ নিলাম্বর নাম ধরে ডাকতে চেয়েছিলো এশহর/ বাঁক ঘুরানো রাস্তাগুলোতে প্রেমময়রেখা এঁকে দিয়ে/ কোমল মুখ জোড়া উজ্জ্বল হয়েছিলো।আরো পড়ুন

কুমোরপাড়ার চাঁদ ও বাঁশিওয়ালা

কুমোরপাড়ায় চাঁদ ছিলো সেদিন/ মাটির পটগুলোতে নকশার আঁকিবুঁকি চলছিলো,/ আবহাওয়া মোহনীয় ছিলো
আঁধার ছিলো না কোনো গলিতে।/ ময়ূরাক্ষীর মতো কিশোর-কিশোরীদের চোখজোড়া/ খড়কুটো নিয়ে খেলছিলো,আরো পড়ুন

error: Content is protected !!