শৃংখলা

সভাপতি মাও সেতুঙের উদ্ধৃতি

২৬. শৃংখলা

*** জনগণের ভেতরে, গণতন্ত্র কেন্দ্রীকতার সংগে সম্পর্কিত এবং স্বাধীনতা শৃংখলার সংগে সম্পর্কিত। এ সবই হচ্ছে একটি একক বস্তুর দুটি বিপরীত দিক, তারা পরস্পর বিরোধী, আবার ঐক্যবদ্ধও; আমাদের একটার উপর একতরফাভাবে জোর দিয়ে অন্যটাকে অস্বীকার করা উচিত নয়। জনগণের ভেতরে, স্বাধীনতা ছাড়া চলে না, শৃংখলা ছাড়াও চলে না; গণতন্ত্র ছাড়া চলে না, কেন্দ্রীকতা ছাড়াও চলে না। এই ধরনের গণতন্ত্র ও কেন্দ্রীকতার একত্ব এবং স্বাধীনতা ও শৃংখলার একত্বের অর্থ হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতা। এই ব্যবস্থায় জনগণ ব্যাপক গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা ভোগ করেন; একই সময়ে আবার সমাজতান্ত্রিক শৃংখলার মধ্যে অবশ্যই তাঁদের নিজদেরকে আবদ্ধ রাখতে হয়। “জনগণের ভেতরকার দ্বন্দ্বের সঠিক মীমাংসার সমস্যা সম্পর্কে” (২৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৭)

*** অবশ্যই পার্টির শৃংখলাকে পুনরায় উল্লেখ করতে হবে:

১। ব্যক্তি সংগঠনের অধীন;

২। সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর অধীন;

৩। নিম্নতর স্তর উচ্চতর স্তরের অধীন;

৪। সমগ্র পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির অধীন।

যে কেউ এ শৃংখলাকে লংঘন করে, সেই পার্টির ঐক্যকে বিনষ্ট করে। “জাতীয় যুদ্ধে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির স্থান” (অক্টোবর , ১৯৩৮)

*** পার্টির অন্যতম শৃংখলা হলো সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর অধীন, সংখ্যালঘুর মতামত যদি বাতিল করা হয়, তাহলে সংখ্যাগুরুর গৃহীত সিদ্ধান্তকে তাঁদের অবশ্যই সমর্থন করতে হবে। প্রয়োজন হলে পরবর্তী সভায় তা আলোচনার জন্য পুনরায় পেশ করা যেতে পারে, এছাড়া কার্যকলাপে কোনো রকম আপত্তিই প্রকাশ করা উচিত নয়। “পার্টির ভেতরকার ভুল চিন্তাধারা সংশোধন করা সম্পর্কে” (ডিসেম্বর, ১৯২৯)

*** তিনটি বৃহৎ শৃংখলা নিম্নরূপ:

১। সকল কার্যক্রিয়ায় আদেশ মেনে চলুন;

২। জনসাধারণের কাছ থেকে একটি সূচ কিংবা সূতোও নেবেন না;

৩। দখলকৃত সমস্ত জিনিস জমা দেবেন।

মনোযোগ দেবার আটটি ধারা নিম্নরূপ:

১। ভদ্রভাবে কথা বলুন ;

২। ন্যায্য মূল্যে কেনা-বেচা করুন;

আরো পড়ুন:  তিনটা ব্যাপকতর গণতন্ত্র

৩। ধার করা প্রতিটি জিনিস ফেরত্‍ দিন;

৪। কোনো জিনিস নষ্ট করলে তার ক্ষতিপূরণ করুন;

৫। লোকজনকে মারবেন না, গালি দেবেন না;

৬। ফসল নষ্ট করবেন না;

৭। নারীদের সংগে অশোভন ব্যবহার করবেন না;

৮। বন্দী সৈন্যদের সংগে দুর্ব্যবহার করবেন না। “তিনটি বৃহত্ শৃংখলা ও মনোযোগ দেবার আটটি ধারা পুনর্ঘোষণা সম্পর্কে চীনা গণ-মুক্তি ফৌজের সদর দপ্তরের নির্দেশ” (১০ অক্টোবর , ১৯৪৭)

*** শৃংখলাবোধকে অবশ্যই উন্নত করতে হবে, দৃঢ়তার সংগে আদেশ পালন করতে হবে, নীতি পালন করতে হবে, তিনটি বৃহত্ শৃংখলা ও মনোযোগ দেবার আটটি ধারা পালন করতে হবে, সৈন্যবাহিনী ও জনগণের এক হতে হবে, সৈন্যবাহিনী ও সরকারের এক হতে হবে, অফিসার ও সৈনিকদের এক হতে হবে এবং সমগ্র সৈন্যবাহিনীর এক হতে হবে; কোনো রকমের শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অনুমতি দেওয়া হবে না। “চিনা গণ-মুক্তি ফৌজের ঘোষণা” (অক্টোবর, ১৯৪৭) 

Leave a Comment

error: Content is protected !!