সৈন্যবাহিনী ও জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক

সভাপতি মাও সে-তুঙের উদ্ধৃতি

১৪. সৈন্যবাহিনী ও জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক

*** সৈন্যবাহিনীকে অবশ্যই জনসাধারণের সঙ্গে এক হয়ে মিশে যেতে হবে, যাতে করে জনসাধারণ সৈন্যবাহিনীকে তাঁদের নিজেদের সৈন্যবাহিনী বলে মনে করেন। এই ধরনের সৈন্যবাহিনী পৃথিবীতে হবে অপরাজেয়… “দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ সম্পর্কে” (মে, ১৯৩৮)

*** প্রত্যেকটি কমরেডকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, যদি আমরা জনগণের উপর নির্ভর করি, জনসাধারণের অফুরন্ত সৃজনী শক্তিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখি আর এ কারণে জনগণের উপর আস্থা রেখে তাদের সঙ্গে এক হয়ে মিশে যাই, তাহলে যে কোনো বাধা-বিপত্তিকেই আমরা অতিক্রম করতে পারি এবং কোনো শত্রুই আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না, পরন্তু আমরাই তাদের দাবিয়ে রাখবো। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** আমাদের কমরেডরা যে কোনো স্থানেই যান না কেন, তাদের অবশ্যই জনসাধারণের যত্ন নিতে হবে এবং বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করার জন্য জনসাধারণকে সাহায্য করতে হবে। ব্যাপক জনগণের সঙ্গে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যত বেশি জনগণের সঙ্গে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই ততই ভাল। “ছুংছিং আলাপ-আলোচনা সম্পর্কে” (১৭ অক্টোবর, ১৯৪৫)

*** মুক্ত এলাকায়, একদিকে সৈন্যবাহিনীকে অবশ্যই সরকারকে সমর্থন করতে হবে ও জনগণকে ভালবাসতে হবে, অপর দিকে সৈন্যবাহিনীকে সমর্থন করার ও জাপানবিরোধী যুদ্ধরত সৈন্যদের পরিবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেবার জন্য গণতান্ত্রিক সরকারকে অবশ্যই জনগণের নেতৃত্ব করতে হবে, এইভাবে সৈন্যবাহিনী ও জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বেশি ভাল হয়ে উঠবে। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** সৈন্যবাহিনীতে প্রত্যেক কমান্ডার ও যোদ্ধাদের অবশ্যই মতাদর্শের ক্ষেত্রে নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে হবে, যাতে করে তারা সরকারকে সমর্থন করার ও জনগণকে ভালবাসার গুরুত্বটা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারেন। যদি সৈন্যবাহিনী নিজেদের দিক থেকে এই কাজ ভালভাবে করে, তাহলে সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় পার্টি সংগঠন, স্থানীয় সরকারী সংস্থা ও জনগণ তাদের সম্পর্ক আরও উন্নত করতে পারবেন। “মুক্ত এলাকায় ১৯৪৬ সালের জন্য কাজের নীতি” (১৫ ডিসেম্বর, ১৯৪৫)

আরো পড়ুন:  সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজম

*** সরকারকে সমর্থন করার ও জনগণকে ভালবাসার এবং সৈন্যবাহিনীকে সমর্থন করার ও জাপানবিরোধী যুদ্ধরত সৈন্যদের পরিবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেবার আন্দোলনে সৈন্যবাহিনীকে নিজেদের পক্ষ থেকে এবং পার্টি ও সরকারকেও তাদের পক্ষ থেকে ১৯৪৩ সালের ভুল-ত্রুটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করা উচিত এবং ১৯৪৪ সালে দৃঢ়ভাবে সেগুলো শুদ্ধ করা উচিত। এখন থেকে প্রতি চন্দ্র বছরের প্রথম মাসে এ ধরনের আন্দোলন সর্বত্র ব্যাপকভাবে চালু করতে হবে এবং সরকারকে সমর্থন করার ও জনগণকে ভালবাসার প্রতিজ্ঞাপত্র এবং সৈন্যবাহিনীকে সমর্থন করার ও জাপানবিরোধী যুদ্ধরত সৈন্যদের পরিবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেবার প্রতিজ্ঞাপত্র বারবার ঘোষণা করতে হবে। ঘাঁটি এলাকায় পার্টি, সরকার ও জনগণের প্রতি সৈন্যবাহিনী উদ্ধত ব্যবহার করেছিল এবং পার্টি, সরকার ও জনগণের মধ্যে সৈন্যবাহিনীর প্রতি যত্নের অভাব ঘটেছিল, এইসব ভুল-ত্রুটির জন্য ব্যাপক এবং খোলাখুলিভাবে বারবার আত্মসমালোচনা করতে হবে (প্রত্যেক পক্ষ শুধু নিজেদের সমালোচনাই করবেন, অপর পক্ষের সমালোচনা নয়) এবং ভুল-ত্রুটিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে শুদ্ধ করতে হবে। “ঘাঁটি এলাকায় খাজনা কমিয়ে দেবার, উৎপাদন বৃদ্ধি করার এবং সরকারকে সমর্থন করার ও জনগণকে ভালবাসার আন্দোলন প্রসারিত করুন” (১ অক্টোবর, ১৯৪৩)

Leave a Comment

error: Content is protected !!