বিপ্লবী বীরত্ব

সভাপতি মাও সে-তুঙের উদ্ধৃতি

১৯. বিপ্লবী বীরত্ব

*** এই সৈন্যবাহিনীর আছে অদম্য মনোবল, সমস্ত শত্রুকে পদানত রাখতে এই বাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এই বাহিনী কোনোক্রমেই শত্রুর কাছে নতি স্বীকার করবে না। বাধা-বিপত্তি, দুঃখ-কষ্ট যাই হোক না কেন, একজন মাত্র লোক অবশিষ্ট থাকলেও সে লড়াই করে যাবে। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** বীরত্বপূর্ণভাবে যুদ্ধ করা, আত্মবলিদানের ভয় না করা, ক্লান্তির ভয় না করা ও ক্রমাগত লড়াই করার (অর্থাৎ অল্প সময়ের মধ্যে কোনো রকম বিশ্রাম না নিয়ে একটানা কয়েকটা যুদ্ধ চালিয়ে যাবার) রীতি সম্প্রসারিত করা। “বর্তমান পরিস্থিতি ও আমাদের কর্তব্য” (২৫ ডিসেম্বর, ১৯৪৭)

*** আমাদের সামনে হাজার হাজার শহীদ বীরত্বের সঙ্গে জনগণের স্বার্থে প্রাণ বলি দিয়েছেন। তাঁদের সে পতাকা উর্ধ্বে তুলে আসুন, আমরা এগিয়ে চলি তাদের রক্ত চিহ্ন বেয়ে। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন, আত্মবলিদানে নির্ভয় হোন, সমস্ত বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করুন, বিজয় অর্জন করুন। “বোকা বুড়ো পাহাড় সরিয়েছিলেন” (১১ জুন, ১৯৪৫)

*** ….উত্তর অভিযানের অগ্রগতির জরুরী মুহূর্তে, কুওমিনতাং কর্তৃপক্ষের বিশ্বাসঘাতী, গণবিরোধী ‘পার্টি সাফাই’ নীতি এবং গণহত্যার নীতিই কুওমিনতাং, কমিউনিস্ট পার্টি ও বিভিন্ন স্তরের জনগণের জাতীয় যুক্তফ্রন্ট— যে যুক্তফ্রন্ট চীনা জনগণের মুক্তি কার্যের প্রতিনিধিত্ব করছিল, তার ও তার সকল বিপ্লবী নীতির সর্বনাশ করলো।… এর পরে ঐক্যের জায়গায় এলো গৃহযুদ্ধ, গণতন্ত্রের আসনে এলো স্বৈরাচারী একনায়কত্ব আর সুউজ্জল চীনকে গ্রাস করলো অন্ধকার চীন। কিন্তু এটা চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও চীনা জনগণকে সন্ত্রস্ত করতে পারেনি, বশে আনতে পারেনি, নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। তারা ভূপতিত অবস্থা থেকে উঠে শরীরের রক্ত চিহ্ন মুছে ফেলে, নিহত কমরেডদের সমাধিস্থ করে, আবার ঝাঁপিয়ে পড়লেন সংগ্রামে। বিপ্লবের মহান পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে সশস্ত্র প্রতিরোধে জেগে উঠলেন তাঁরা, আর চীনের সুবিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রতিষ্ঠা করলেন জনগণের সরকার, ভূমি ব্যবস্থার করলেন সংস্কার, গড়ে তুললেন একটা গণফৌজ— চীনা লাল ফৌজ, আর সংরক্ষিত ও প্রসারিত করলেন চীনা জনগণের বিপ্লবী শক্তিকে। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

আরো পড়ুন:  কেডার

*** আপনাদের বহু সদগুণ আছে এবং বিরাট অবদান আছে, কিন্তু অহঙ্কার করবেন না— এ কথাটা অবশ্যই মনে রাখবেন। সবাই আপনাদের সম্মান করেন— এটা ঠিক, কিন্তু এটা আপনাদেরকে সহজেই অহঙ্কারী করে তোলে। আপনারা যদি অহঙ্কারী হয়ে উঠেন, যদি বিনয়ী না হোন, আর সচেষ্ট না হোন এবং অন্যদের সম্মান না করেন, কেডারদের ও জনসাধারণকে সম্মান না করেন, তাহলে আপনারা বীর ও আদর্শ হতে পারবেন না। অতীতে কিছু লোক এরকম ছিল, আশা করি আপনারা তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবেন না। “অর্থনৈতিক কার্য চালনা শিখে নিতে হবে” (১০ জানুয়ারি, ১৯৪৫)

*** শত্রুকে ধ্বংস করার এবং শিল্প ও কৃষি উৎপাদনের পুনরুদ্ধার ও বিকাশ সাধনের সংগ্রামে আপনারা বহু বাধা-বিপত্তি, দুঃখ-কষ্টকে অতিক্রম করেছেন, প্রভূত সাহস, বুদ্ধি ও সক্রিয়তার পরিচয় দিয়েছেন। গোটা চীনা জাতির সামনে আপনারা হলেন আদর্শ, সর্বক্ষেত্রে জনগণের কার্যকে বিজয়ী অগ্রগতিতে ঠেলে দেবার আপনারাই হলেন মেরুদণ্ড, গণসরকারের আপনারাই হলেন নির্ভরযোগ্য সমর্থনস্তম্ভ আর গণসরকার ও ব্যাপক জনসাধারণের মধ্যে আপনারাই হলেন সংযোগকারী সেতু। “নিখিল চীনের রণবীর ও আদর্শ শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি সভায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন বাণী” (২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০)

*** শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে নিজেদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়বার মনোবল, আত্মনির্ভরতার ভিত্তিতে হারানো ভূমি ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দৃঢ় সংকল্প এবং বিশ্বজাতির অরণ্যে নিজেদের পায়ে ভর করে দাঁড়াবার ক্ষমতা আমাদের চীনা জাতির আছে। “জাপানী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী নীতি সম্পর্কে” (২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫)

Leave a Comment

error: Content is protected !!