গণফৌজ

সভাপতি মাও সে-তুঙের উদ্ধৃতি

৯. গণফৌজ

*** গণফৌজ না থাকলে জনগণের কিছুই থাকবে না। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** এই ফৌজ শক্তিশালী, কারণ এর সব সদস্যেরই একটা সচেতন শৃঙ্খলা আছে; তারা অল্পসংখ্যক লোকের বা কোনো একটা সংকীর্ণ চক্রের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়, বরং ব্যাপক জনসাধারণের এবং সমগ্র জাতির স্বার্থের খাতিরে একত্রিত হয়েছেন ও লড়াই করছেন। চীনা জনগণের সঙ্গে একত্রে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়ানো এবং মনেপ্রাণে তাঁদের সেবা করা হচ্ছে এই ফৌজের একমাত্র উদ্দেশ্য।

*** চীনা লাল ফৌজ হচ্ছে বিপ্লবের রাজনৈতিক কর্তব্য পালনের জন্য একটা সশস্ত্র দল। বিশেষ করে বর্তমানে, লাল ফৌজ যে কেবলমাত্র যুদ্ধই করে, তা অবশ্যই নয়, শত্রুর সামরিক শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করা ছাড়াও জনসাধারণের মধ্যে প্রচার চালানো, জনসাধারণকে সংগঠিত করা, তাদেরকে সশস্ত্র করা, বিপ্লবী রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার ও পার্টি সংগঠন স্থাপনের কাজে তাদের সাহায্য করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যকেও এর কাঁধে তুলে নিতে হবে। নিছক লড়াই করার জন্যই লাল ফৌজ লড়াই করে না, পরন্তু লড়াই করে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার চালানোর জন্য, জনসাধারণকে সংগঠিত করার জন্য, তাদেরকে সশস্ত্র করার জন্য এবং বিপ্লবী রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে তাদের সাহায্য করার জন্য; এই সব উদ্দেশ্য ছাড়া লড়াই হয়ে উঠে অর্থহীন, আর লাল ফৌজের অস্তিত্বেরও কোনো তাৎপর্য থাকে না। “পার্টির ভেতরকার ভুল চিন্তাধারা সংশোধন করা সম্পর্কে” (ডিসেম্বর, ১৯২৯)

*** গণমুক্তি ফৌজ সর্বদাই একটা সংগ্রামী বাহিনী। এমনকি দেশব্যাপী বিজয় লাভের পরেও, যখন দেশের ভেতরে শ্রেণি বিলুপ্ত হবে না এবং দুনিয়ার সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থাও থেকে যাবে সে ঐতিহাসিক সময়ে, আমাদের ফৌজ সংগ্রামী বাহিনীই থাকবে। এই বিষয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা দ্বিধা থাকতে পারে না। “চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তম কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রদত্ত রিপোর্ট” (৫ মার্চ, ১৯৪৯)

আরো পড়ুন:  আগ্রাসন হচ্ছে কোনো সম্প্রদায়কে উৎখাতের উদ্দেশ্যে গােষ্ঠী বা দেশের আক্রমণাত্মক ব্যবহার

*** আমাদের যুদ্ধ করার জন্য একটা ফৌজ এবং পরিশ্রমের জন্যও একটা ফৌজ আছে। যুদ্ধ করার ফৌজ হিসেবে আমাদের আছে অষ্টম রুট বাহিনী ও নতুন চতুর্থ বাহিনী; তারাও দুই ধরনের কাজ করে—যুদ্ধ এবং উৎপাদন। কারণ আমাদের দুটি ফৌজ আছে—যুদ্ধ করার ফৌজ ও উৎপাদনের ফৌজ, এ ছাড়া আমাদের যুদ্ধ করার ফৌজ এই দুই ধরনের কাজ করতে সক্ষম এবং জনসারণের মধ্যে কাজ করতে সুনিপুণ, তাই আমরা বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে পারি এবং জাপানী সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করতে পারি। “সংগঠিত হোন” (২৯ নভেম্বর, ১৯৪৩)

*** আমাদের দেশরক্ষা ব্যবস্থাকে সুসংবদ্ধ করা হবে, কোনো সাম্রাজ্যবাদীকে আমাদের দেশ পুনর্বার আক্রমণ করতে দেওয়া হবে না। নির্ভীক ও সুপরিক্ষিত গণমুক্তি ফৌজের ভিত্তিতে, আমাদের জনগণের সশস্ত্র শক্তিকে সংরক্ষণ করা ও প্রসারিত করা অবশ্যই প্রয়োজন। আমাদের কেবলমাত্র একটা শক্তিশালী স্থলবাহিনীই থাকবে না, বরং একটা শক্তিশালী বিমানবাহিনী এবং শক্তিশালী নৌবাহিনীও থাকবে। “চীনা জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ পরিষদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রদত্ত উদ্বোধনী ভাষণ” (২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯)

*** আমাদের নীতি হচ্ছে— পার্টি বন্দুককে কমান্ড করে, বন্দুককে কোনো মতেই পার্টির উপর কমান্ড করতে দেওয়া হবে না। “যুদ্ধ ও রণনীতি সমস্যা” (৬ নভেম্বর, ১৯৩৮)

*** আমাদের সমগ্র ফৌজের কমান্ডার ও যোদ্ধাদের অবশ্যই সব সময় মনে রাখতে হবে যে, আমরা হচ্ছি মহান গণমুক্তি ফৌজ, আমরা মহান চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনী। পার্টির নির্দেশ নিয়ত মেনে চললে আমরা অবশ্যই জয়ী হবো। “চীনা গণমুক্তি ফৌজের ঘোষণা” (অক্টোবর, ১৯৪৭)।

1 thought on “গণফৌজ”

  1. বিপ্লবী বাহিনী বুর্জোয়াদের সামরিক বাহিনীর মতো নিছক একটি যোদ্ধা বাহিনী নয়, কিন্তু সংশোধনবাদ এই বাহিনীকে একটি নিছক সামরিক বাহিনী হিসাবে দেখাতে চায় আর তাদের প্রথম ভন্ডটি হল হোক্সা।

    Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!