ঐক্য

সভাপতি মাও সেতুং-এর উদ্ধৃতি

২৫. ঐক্য

*** রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, জনগণের ঐক্য ও দেশের ভেতরকার বিভিন্ন জাতির ঐক্য – এগুলোই হচ্ছে আমাদের কার্যের অপরিহার্য বিজয়ের মৌলিক নিশ্চয়তা। “জনগণের ভেতরকার দ্বন্দ্বের সঠিক মীমাংসার সমস্যা সম্পর্কে” (২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭)

*** শুধুমাত্র কমিউনিস্ট পার্টির ঐক্যের মাধ্যমেই সমগ্র শ্রেণি ও সমগ্র জাতির ঐক্য অর্জন করা যায়, কেবলমাত্র সমগ্র শ্রেণি ও সমগ্র জাতির ঐক্যের মাধ্যমেই শত্রুকে পরাজিত করা যায় এবং জাতীয় ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবের কর্তব্য সম্পন্ন করা যায়। “কোটি কোটি জনসাধারণকে জাপানবিরোধী জাতীয় যুক্তফ্রন্টে আনার জন্য সংগ্রাম” (৭ মে, ১৯৩৭)

*** গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার সংগঠন ও শৃঙ্খলার মূলনীতিতে আমাদের পার্টির সমস্ত শক্তিকে আমাদের দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যে কোনো কমরেডই হোন না কেন, শুধু তিনি যদি পার্টির কর্মসূচি, পার্টির নিয়মাবলী ও পার্টির সিদ্ধান্তকে মেনে চলতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলেই আমাদের তাঁর সংগে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** ১৯৪২ সালে, আমরা জনগণের ভেতরকার দ্বন্দ্বের মীমাংসা করার এই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে নির্দিষ্ট রূপদান করার  জন্য একটি সূত্র দিয়েছিলাম, তার নাম “ঐক্য-সমালোচনা-ঐক্য”। বিশদভাবে বলতে গেলে, এর অর্থ হয় যে, ঐক্যের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু করা, সমালোচনা অথবা সংগ্রামের মাধ্যমে দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা, যাতে একটা নতুন ভিত্তিতে নতুন ঐক্যে উপনীত হওয়া যায়। আমাদের অভিজ্ঞতা অনুসারে এটাই জনগণের ভেতরকার দ্বন্দ্বের মীমাংসা করার সঠিক পদ্ধতি। “জনগণের ভেতরকার দ্বন্দ্বের সঠিক মীমাংসার সমস্যা সম্পর্কে” (২৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৭)

*** এই সৈন্যবাহিনীর ভেতরে ও বাইরে একটা চমৎকার ঐক্য রয়েছে। এর ভেতরের ঐক্য রয়েছে – অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে, উপরিস্থ ও অধীনস্থদের মধ্যে এবং সামরিক কাজ, রাজনৈতিক কাজ ও পশ্চাৎবর্তী পরিচর্যা কাজের মধ্যে; আর বাইরের ঐক্য রয়েছে-সৈন্যবাহিনী ও মিত্র সৈন্যবাহিনীর মধ্যে। যা কিছু ঐক্যের ক্ষতি করে, সে সবকিছুকে অবশ্যই দূর করতে হবে। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

আরো পড়ুন:  সাম্রাজ্যবাদ ও সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীলরা কাগুজে বাঘ

Leave a Comment

error: Content is protected !!