রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী এবং বিশেষ করে আইনসভার সদস্যদের উপর কোনও কাজের অনুকূলে প্রভাব বিস্তার কিংবা চাপ সৃষ্টির পদ্ধতিকে তদবির বা ইংরেজিতে ‘লবিং’ (ইংরেজি: Lobbying) করা বলা হয়। এই পদ্ধতিতে আইনসভা কিংবা সচিবালয়ের সংলগ্ন উপশালায় (অলিন্দে) প্রভাব বিস্তারী বা চাপসৃষ্টিকারী বিশেষ গােষ্ঠীর পক্ষে এক বা একাধিক ব্যক্তি কোনও সাংসদ বা বিধায়ক কিংবা কোনও মন্ত্রী অথবা পদস্থ সরকারি আধিকারিককে সেই গােষ্ঠীর স্বার্থানুকূলে কোনও সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা গ্রহণে প্রবৃত্ত করেন। প্রভাব বিস্তার বা চাপ সৃষ্টি সমানে সমানেও হয়ে থাকে। আইন সভার সদস্যরা ভিন্ন দলের সদস্যদের সমর্থন লাভের জন্যও উপশালায় এই তদবির পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং তাঁর কার্যনির্বাহি সহকারীদের বিবেচ্য কোনও বিষয়ে কংগ্রেসের সদস্যদের ভােট সংগ্রহের জন্য নিয়ােগ করেন। সেখানকার উপশালায় প্রভাব বিস্তার বা চাপ সৃষ্টির জন্য তালিকাভুক্ত কিছু পেশাদার লােক থাকেন, যাঁরা তাঁদের মক্কেলদের স্বার্থে সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করেন। ব্রিটেনে সংবাদ সংস্থাগুলি তদবিরের ও উপশালার কাজ করে। তাদের মাধ্যমে সুকৌশলে গােপনীয় খবর বেরিয়ে যায় জনমত যাচাই অথবা লােকের সেইসব সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানার উদ্দেশ্যে।
তথ্যসূত্র:
১. গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরেন্দ্রমোহন. রাজনীতির অভিধান, আনন্দ পাবলিশার্স প্রা. লি. কলকাতা, তৃতীয় মুদ্রণ, জুলাই ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫২।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।