নাস্তিত্ববাদ কাকে বলে?

হাঁ বাচক বা অস্তিবাচক সবকিছুকে অস্বীকার করা হচ্ছে নাস্তিত্ববাদের (ইংরেজি:Nihilism) বৈশিষ্ট্য। নিহিলিজম বা নাস্তিত্ববাদ শব্দের ব্যবহার দেখা যায় রুশ সাহিত্যিক তুর্গেনিভের উপন্যাসে। ঊনবিংশ শতকে রাশিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিকাশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের নাস্তিত্ববাদী বলে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিপ্লবী কর্মীগণ নৈরাজ্যবাদী বা নাস্তিত্ববাদী ছিল না।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী আদর্শ রুশ ভূমিদাস প্রথা ও পুঁজিবাদ ব্যবস্থার যেমন উচ্ছেদ কামনা করেছে, তেমনি তার পরিবর্তে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। লেনিন নাস্তিত্ববাদের মধ্যে দুটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর মতে প্রতিক্রিয়াশীল সমাজব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি যদি নাস্তিত্ববাদে দেখা যায় তবে তার প্রগতিশীল চরিত্র স্বীকার্য। কিন্তু যে নাস্তিত্ববাদ মানুষের বুদ্ধি, ক্ষমতা সবকিছুকে অস্বীকার করে তার বৈশিষ্ট্য অবশ্যই প্রতিক্রিয়াশীল।

তথ্যসূত্র:
১. সরদার ফজলুল করিম; দর্শনকোষ; প্যাপিরাস, ঢাকা; জুলাই, ২০০৬; পৃষ্ঠা ২৯৫।

আরো পড়ুন:  ইলিয়া দর্শন হলো প্রাচীন গ্রিসে ভাববাদী ধারার সূচনা করে

Leave a Comment

error: Content is protected !!