নায্যতার রাজ্য স্থাপনের দিকে যেতে যেতে

নায্যতার রাজ্য স্থাপনের দিকে যেতে যেতে আমাদের হাতগুলো মেহনতে পুষ্ট হয়। মৃত্যুকে মাথায় নিয়ে পথ চলতে গিয়ে দেখা হয় স্বাধীন ও সাহসী ঘাসেদের সাথে; শিশিরেরা খেলা করে, শিশুরাও যুদ্ধে যুদ্ধে ধান ভানে, জীবনের তর্ককে বুঝে নিতে আবেগের আতিশয্যে যে গেরিলা হেঁটে যায় কমিউনের সিঁড়ি বেয়ে, তার সাথে কথা হয় জয়-পরাজয়ের।

আমাদের গ্রামগুলো পটভূমিকায় আঁকে প্রকৃতিকে, এইখানে ওড়াতে আসে কেউ পাখিদের মেজাজ, ঘুরতে আসে কেউ সাময়িক পর্যটনে, সেখানেই শান্তি আর যুদ্ধ আর শান্তি ভালোবেসে লড়াকুরা লড়ে যায় পথ খুলে দিতে, বের করে আনে তারা ঝড় থেকে বর্শার ফলা, আমাদের নির্দেশক মুক্ত করে নারী আর দাসেদের, শ্রমযুগে এনে দেবে কাস্তে-কুঠার।

আগামিকাল আবার মাছেদের শোভাযাত্রা, আজ তবে প্রত্যাশার ঘুড়িতে ওড়াও সেইসব শহীদের নাম যারা হেঁটেছিলো সমুদ্রের লাল তরঙ্গের চারপাশে।

জুন, ২০১৫, ময়মনসিংহ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি এহসান হাবিব সম্পাদিত স্মৃতিগদ্যে শামীম পারভেজ স্মরণিকা ২০১৫-তে প্রকাশিত হয়েছিল।

আরো পড়ুন:  দশ আঙ্গুলের স্পর্শে একটি প্রত্যাশিত দিন

Leave a Comment

error: Content is protected !!