কমিউনিস্ট পার্টি কি এবং কেন?

কমিউনিস্ট পার্টি (ইংরেজি: Communist Party) বা সাম্যবাদী দল মূলত সাম্যবাদী মতাদর্শের রাজনৈতিক দল। এটি রাষ্ট্রীয় নীতিতে সাম্যবাদ ও সমাজতন্ত্রের সামাজিক অর্থনৈতিক নীতিমালা বাস্তবায়নের কথা বলে। কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদ লেনিনবাদের ভিত্তিতে বিপ্লবী তত্ত্বের সংগে বিপ্লবী আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য যোগাযোগের কর্মনীতির ধারক ও বাহক। কমিউনিস্ট পার্টিকে বলা হয় প্রলেতারিয়েত ও শ্রমিক শ্রেণির অগ্রবাহিনী, তাঁদের সংগঠক ও পরিচালক। শ্রমিক আন্দোলন কেবল সেক্ষেত্রেই জয়লাভ করে যখন তা সমাজতন্ত্রের তত্ত্বের সংগে, মার্কসবাদ, লেনিনবাদ ও মাওবাদের সংগে মিলিত হয়। এই মিলন ঘটায় কমিউনিস্ট পার্টি।

মার্কস ও এঙ্গেলস বৈজ্ঞানিক কমিউনিজম সৃষ্টি করেছিলেন বুর্জোয়ার বিরুদ্ধে শ্রেণিসংগ্রামে প্রলেতারিয়েতের অবস্থানের তাত্ত্বিক প্রকাশ রূপে। পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় শ্রমিক শ্রেণির নৈর্বক্তিক অবস্থার ফলে সে রূপান্তরিত হয় পুঁজিবাদের সমাধিখনকে এবং নিজেকে রূপান্তরিত করে সমাজতন্ত্রের স্রষ্টায়।

১৮৪৮ সালে কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশিত হলে কমিউনিস্ট পার্টি শব্দটির ভিত্তি তৈরি হয়। পরবর্তীতে ভ্লাদিমির লেনিন কমিউনিস্ট পার্টিকে, যা ক্ষমতায় থাকুক বা নাই থাকুক, প্রলেতারিয়েতের অগ্রগামি পার্টি (vanguard party) হিসেবে উল্লেখ করেন এবং মার্কসবাদের ভিত্তিতে এই মত সংহত করেন যে একটি সমাজতন্ত্র অভিমুখী রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি হবে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বের নীতিতে পরিচালিত সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব

কমিউনিস্ট পার্টির জন্ম হয় সংগ্রামের মধ্যে এবং তার বৃদ্ধি ও প্রসার ঘটে অবিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের ভেতর। একটি কমিউনিস্ট পার্টিকে নিশ্চিতরূপেই গঠিত হতে হবে কমিউনিস্টদের দ্বারা এবং পার্টিটিকে হতে হবে প্রলেতারিয় শ্রেণির পার্টি। কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহারে মার্কস ও এঙ্গেলস উল্লেখ করেছেন যে, পার্টির কাজ হচ্ছে প্রলেতারিয়েতকে শ্রেণি হিসেবে সংগঠিত করা, বুর্জোয়া আধিপত্যের উচ্ছেদ এবং প্রলেতারিয়েত কর্তৃক রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকার অর্জন করা।   

কমিউনিস্ট পার্টির কাজ সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে পুঁজিবাদী ও সামন্তবাদী সমাজ উৎখাত করে সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ করা। আর সমাজ পরিবর্তন অর্থ হচ্ছে সমাজের ঐতিহাসিক অবস্থার পরিবর্তনের সংগে সংগে তার মালিকানারও পরিবর্তন। অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায় যে আদিম গোষ্টীবদ্ধ সমাজ বা আদিম সাম্যবাদী সমাজ, দাস সমাজ, সামন্তবাদী সমাজ বা আধাসামন্তবাদী সমাজ, পুঁজিবাদী সমাজ, সমাজতান্ত্রিক সমাজ, কমিউনিস্ট সমাজ সবখানেই মালিকানার বদল ঘটেছে। মার্কস ও এঙ্গেলস অতীতের সমাজতন্ত্রের কল্পলৌকিক ধারনাকে বিজ্ঞানে পরিণত করেছেন যার মূল কথা হচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজ পরিবর্তিত হয়ে ব্যাক্তিগত মালিকানাহীন ও শোষণহীন সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণ ঘটাবে। পুঁজিবাদী ও সামন্তবাদী ব্যক্তিগত মালিকানার বদল ঘটে সেটা রূপান্তরিত হবে সামাজিক মালিকানায়। পুঁজিবাদী সমাজ থেকে সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণ প্রক্রিয়া একটি ঐতিহাসিক পরিণতি কিন্তু সমাজতন্ত্র পুঁজিবাদের গর্ভে দেখা দেয় না। পুঁজিবাদ কেবল সমাজতন্ত্রে উত্তরণের বৈষয়িক পূর্বশর্ত তৈরি করে তোলে। অতীতকাল থেকে চলে আসা সমাজের যত ধরনের অনাচার অবিচার শোষণ, নিপীড়ন চলছে তার বিবদমান দ্বন্দ্বের পরিণতিই শেষ পর্যন্ত সাম্যবাদী সমাজে গিয়ে দাঁড়াবে। এটি হচ্ছে ঐতিহাসিক পরিণতির কথা কিন্তু এইখানেই শেষ কথা নয়!

আরো পড়ুন:  কমিউনিস্ট পার্টি

এই যে অবিরাম দ্বন্দ্ব, দ্বন্দ্বের অবসানের জন্য প্রয়োজন প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব বা প্রলেতারিয়েতের রাজনৈতিক ক্ষমতা জয় করা আর তার জন্য দরকার কমিউনিস্ট পার্টি। ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাদী সমাজ উদ্ভবের পরে প্রলেতারিয়েত হচ্ছে সেই অগ্রগামি শ্রেণি যারা সাম্যবাদী সমাজ নির্মাণ করবে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে প্রলেতারিয়েতকে কেন অগ্রগামী শ্রেণি ধরা হয়? ইতিহাসের গতিপথে যে হারে প্রলেতারিয়েতের বিকাশ হয় বা সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাতে তাঁর টিকে থাকার প্রয়োজনেই তাঁকে লড়তে হয় এবং এই সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়তে হয়। এক্ষেত্রে কমিউনিস্ট পার্টির ও কমিউনিস্টদের কাজ হচ্ছে প্রলেতারিয়েতকে শ্রেণি হিসেবে গঠন করা, বুর্জোয়া আধিপত্যের উচ্ছেদ, প্রলেতারিয়েত দ্বারা রাজনৈতিক ক্ষমতা অধিকার করা। আর প্রলেতারিয়েতের মুক্তি আপনা থেকেই ঘটবে না বা কোনো অতিপ্রাকৃত শক্তি, বা দেবতা বা মহানায়ক তাদের মুক্ত করে দেবে না। প্রলেতারিয়েত শ্রেণিকেই তা অর্জন করতে হবে। মার্কস ও এঙ্গেলস লিখেছেন,

“শ্রমিক শ্রেণির মুক্তিসাধন হওয়া চাই শ্রমিক শ্রেণির নিজের কাজ। অতএব, যারা খোলাখুলিই বলেন, নিজেদের মুক্ত করার মতো শিক্ষাদীক্ষা শ্রমিকদের নেই, উপর থেকে, মানবদরদী বড় বুর্জোয়া ও পেটি বুর্জোয়াদের সাহায্যে তাদের মুক্ত করতে হবে, তাদের সংগে আমরা সহযোগিতা করতে পারি না।”[১]  

প্রথম আন্তর্জাতিকের কর্মসূচিতেও বলা হয়েছিল যে

“শ্রমিক শ্রেণির মুক্তি শ্রমিক শ্রেণিকেই জয় করে নিতে হবে; শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির জন্য যে সংগ্রাম, তার অর্থ শ্রেণিগত সুবিধা ও একচেটিয়া অধিকারের জন্য সংগ্রাম নয়, সমান অধিকার ও কর্তব্যের জন্য এবং সমস্ত শ্রেণি আধিপত্যের উচ্ছেদের জন্য সংগ্রাম।”

যে দীর্ঘ ও জটিল শ্রেণিসংগ্রামের ভেতর দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি সমস্ত শ্রেণি উচ্ছেদ করবে তা বিশ্লেষণ করেছেন মার্কস এঙ্গেলস লেনিন স্তালিন ও অন্যান্য সাম্যবাদী দার্শনিকগণ। শুরুর দিকে বুর্জোয়া, মানবতাবাদী, ক্ষুদে বুর্জোয়া, সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে মার্কসবাদী পার্টি সংক্রান্ত চিন্তা এগিয়ে যায়। লেনিন সুবিধাবাদী, নৈরাজ্যবাদী, অর্থনৈতিক রোম্যান্টিকতাবাদী, সংশোধনবাদী, সিন্ডিক্যালবাদী,  সংস্কারবাদীদের বিরুদ্ধে মতাদর্শিক সংগ্রাম পরিচালনা করে মার্কসবাদী পার্টিকে এগিয়ে নেন।

প্রথম আন্তর্জাতিকের সময়ে বাকুনিনপন্থী ও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাতে গিয়ে শ্রমিক শ্রেণির পার্টিতে কী পরিমাণে শ্রমিক থাকবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৮৭২ সালের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিকের সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিধির ৯ নং বিধিকে সম্প্রসারণ করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়,

“কোনো নতুন অন্তুর্ভুক্ত শাখার সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের কম মজুরি শ্রমিকরা হবে না।” [২]

সমাজজীবনে পার্টির ভূমিকা ও পার্টির তাৎপর্য, প্রলেতারিয়েতের শ্রেণিসংগ্রামে তার স্থান সংক্রান্ত মতবাদে ভ্লাদিমির লেনিনের অবদান বিপুল। তিনি তার বৈপ্লবিক ক্রিয়াকলাপের শুরুতেই পরিচালিত হয়েছিলেন মার্কসবাদের এই বুনিয়াদী ধারনা দ্বারা যে, প্রলেতারিয়েত নিজের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারে শুধু নিজেদের পার্টির নেতৃত্বে। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রলেতারিয়েতের পার্টি যাতে কোনোভাবেই বুর্জোয়া বা ক্ষুদে বুর্জোয়ার পার্টিতে পরিণত হতে না পারে সেজন্য আগাগোড়াই সচেতন ছিলেন। জার শাসিত রাশিয়ায় পার্টি গড়ার প্রাথমিক অবস্থায় পার্টি সংগঠনে প্রলেতারিয়েতের সংখ্যা ষাট ভাগের কথা উল্লেখ করলেও, পরে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে ১৯০৫ সালের ২০ এপ্রিল লেনিন লিখলেন,

“আমি অবশ্য জোরালোভাবে এর পক্ষপাতি যে পার্টি কমিটিতে যদি বুদ্ধিজীবি থাকে ২ জন, তাহলে শ্রমিক থাকবে ৮ জন”। [৩]

এরপর রাশিয়ায় রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের সংগে সংগতি রেখে সম্মেলন, ট্রেড ইউনিয়ন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অর্জনের পরে ১৯০৫ সালের নভেম্বরে লেনিন ‘পার্টির পুনর্গঠন’ (The Reorgasaination of the Party) প্রসঙ্গে বললেন,

“তৃতীয় কংগ্রেসে আমি এই ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম যে পার্টি কমিটিতে বুদ্ধিজীবী যদি থাকে দুজন তো শ্রমিক থাকবে আটজন। আজকের অবস্থায় এই ইচ্ছা একেবারেই বাতিলের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এখন আমাদের ইচ্ছা হবে অবশ্যই এই যে নতুন পার্টি সংগঠনে … বুদ্ধিজীবি যদি থাকে একজন তো … শ্রমিক থাকবে কয়েকশত।”[৪]

মার্কসবাদী লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ভিত্তি হচ্ছে প্রলেতারিয়েত। শ্রমিকদের প্রাধান্যে রেখেই কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। লেনিন “এক কদম আগে দু’কদম পিছে” গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে,

“সাধারণভাবে সংগঠনের স্তর এবং বিশেষ করে সংগঠনের গোপনীয়তার স্তরের ওপর নির্ভর করে (পার্টিকে) মোটামুটি নিম্নোক্ত কয়েকটিভাগে ভাগ করা যায়: (১) বিপ্লবীদের সংগঠন; (২) শ্রমিকদের সংগঠন, যথাসম্ভব ব্যাপক ও যথাসম্ভব বিচিত্র ধরনে গড়ে তোলা (আমি শুধু শ্রমিক শ্রেণীর কথা বলেছি বটে, কিন্তু এটা স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে যে, কতকগুলি পরিস্থিতিতে অন্যান্য শ্রেণী থেকে আসা কিছু কিছু লোককেও এর অন্তর্ভূক্ত করা যাবে)। পার্টি গঠিত হবে এই দু’টি বিভাগ মিলে। তাছাড়াও থাকবে, (৩) পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে এমন ধরনের শ্রমিক সংগঠন; (৪) শ্রমিকদের এমন সব সংগঠন যা পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বটে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পার্টির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা মেনে চলে; (৫) শ্রমিক শ্রেণীর এমন সব অসংগঠিত অংশ, যারাও আংশিকভাবে, অন্তত শ্রেণীসংগ্রামের বৃহৎ বৃহৎ বিস্ফোরণে সোশ্যাল-ডেমোক্রাটিক পার্টির পরিচালনাধীনে এসে যাবে।”[৫]

এই গ্রন্থে তিনি আরো দেখিয়েছেন যে,

“যিনি পার্টির কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং অর্থ দিয়ে ও পার্টির কোনো না কোনো সংগঠনের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিয়ে উভয় ভাবেই পার্টিকে সমর্থন করেন, তিনিই পার্টির সদস্য হবেন।”[৬]

মার্কসবাদী লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সমস্ত ভাবনা কেবল শ্রমিক শ্রেণির মুক্তি ও সমাজতন্ত্রের জয়। তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে সকল শ্রেণির বিলোপ সাধন। শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থ ছাড়া তার আলাদা কোনো পার্টি স্বার্থ নেই। পার্টিতে প্রবেশ করে যারা নিজেদের হীন, ব্যক্তিগত স্বার্থ অনুসরণ করে, তাদের দূর করে পার্টি বিকশিত হয়। প্রলেতারিয়েতের পার্টি গড়ে ওঠে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদের নীতি, নেতৃত্বের যৌথতা, সমস্ত সদস্যের উদ্যোগ ও তৎপরতা, সমালোচনা ও আত্মসমালোচনা, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার ভিত্তিতে। তবুও একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে ‘কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর জন্য সম্পূর্ণ নির্ভুল ও অপরিবর্তনীয় কোনো সাংগঠনিক রূপ থাকতে পারে না’।[৭] পরিবর্তনের নিরন্তর প্রক্রিয়ায় কমিউনিস্টদেরকে ‘পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সাংগঠনিক রূপের সন্ধান করতে হবে। বিভিন্ন দেশের পার্টিগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে সংগঠনের কোন রূপ গ্রহণ করবে, তা প্রতিটি দেশের বিশেষ অবস্থার দ্বারাই নির্ধারিত’[৭] হবে।[৮]  

আরো পড়ুন:  সিপিআইএম মার্কসবাদ-লেনিনবাদ, সাম্য ও স্বাধীনতাবিরোধী গণশত্রুদের পার্টি

তথ্যসূত্র:

১. মার্কস ও এঙ্গেলস, সার্কুলার, ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৯

২. Frederick Engels: A Biography, Progress Publishers, Moscow, P 266;

৩. Vladimir Lenin, Collected Works, 1965, Volume 8, Progress Publishers, Moscow, P. 408

৪. Vladimir Lenin, Collected works, Vol-10, Progress Publishers, Moscow, 1965, P-36

৫. Vladimir Lenin, Collected works, Vol-7, Progress Publishers, Moscow, 1965, P-266:

৬. পূর্বোক্ত, P-244.

৭. Theses Resolutions and Manifestos of the First Four Congress of the Third International, translated by Alix Holt and Barbara Holland. Ink Links 1980; ২ নং নীতি, ১২ জুলাই ১৯২১, 

৮. প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] রচিত ভাষাপ্রকাশ ঢাকা থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত সমাজতন্ত্র গ্রন্থের ৬৯-৭৫ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরেতে প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ১৩ জুলাই, ২০১৪।

Leave a Comment

error: Content is protected !!