মুখের অভ্যন্তরে নানাবিধ সমস্যার আটটি ঘরোয়া উপায়

মুখের অভ্যন্তরে ঘা, ক্ষতসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন অযত্নের কারণে অসুখ বেড়ে যায়। সেই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে অসুস্থতা সারাতে নিচের উপাদানের ব্যবহার করা যেতে পারে।

১. থানকুনি: অনেক কারণেই হয়, তবে অম্লপিত্ত রোগে বেশিদিন ভুগতে থাকলে এটা প্রায়ই দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে রোগের চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, তার সঙ্গে এই পাতাসিদ্ধ গারগোল (Gargle) করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।

২. কদম গাছ: এই গাছের পাতার ক্বাথ ক্ষতে ও মুখের ঘায়ে দিলে সেরে যায়।

৩.মুথা: পায়োরিয়ার হলে  মুথার রস করে অল্প জল মিশিয়ে খানিকক্ষণ করে মুখে রেখে দিলে ওটা সেরে যায়।

৪. তেঁতুল: মুখের ঘা হলে তেঁতুল পাতা-সিদ্ধ জল মুখে খানিকক্ষণ রেখে ফেলে দিতে হয়। এইভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট করে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করলে উপশম হয়; অনেক ক্ষেত্রে সেরেও যায়, তবে আভ্যন্তরিক কোনো কারণে ক্ষত হলে সেখানে চিকিৎসার প্রয়োজন। মুখে ঘা ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে।

৫. নিসিন্দা:  জিভে বা মুখে ঘা (ক্ষত) কিছুতেই সারে না, এই পাতার রস দিয়ে পাক করা ঘি দিনে ও রাতে দুইবার লাগালে উপকার হয়। এমনকি যেকোনো দুষিত ক্ষতে বিশেষ উপকারী।

৬. মায়াফল: মুখের ক্ষতে মায়াফলের মিহিচূর্ণ ২৫০ মিলিগ্রাম মাত্রায় দু’বেলা মধুসহ খেতে হবে এবং মায়াফলের ক্বাথ হালকা গরম অবস্থায় নিয়ে প্রত্যহ দু’বার গার্গল করতে হবে।

৭. সুপারি গাছ: যাঁরা পায়োরিয়ায় রোগে ভুগছেন তাঁরা মাজনের মতো গুড়া দিয়ে দাঁত মাজবেন। এটাতে উপকার হবে।

৮. তালীশ গাছ: মুখের অভ্যন্তরে রোগ বলতে গলা, দাঁতের যন্ত্রণা, মাড়ি ফোলা, তালুতে ঘা, দাঁতের মাড়িতে ঘা ইত্যাদি বোঝায়। এ সকল ক্ষেত্রে ১ গ্রাম পরিমাণ তালীশপাতা চূর্ণ মধুর সঙ্গে খেতে হয়। এ সঙ্গে ৩ থেকে ৪ গ্রাম পাতা ভালভাবে পরিষ্কার করে ৩-৪ কাপ পানিতে ভালোভাবে সেদ্ধ করে সে পানি ঈষদুষ্ণ অবস্থায় মুখে নিয়ে ৫-৭ মিনিট ধারণ করে ফেলে দিয়ে আবার মুখে রাখতে হবে। আয়ুর্বেদের ভাষায় এটাকে কবল ধারণ করা বলা হয়। এ প্রক্রিয়া দিনরাতে ২-৩ বার করলে দ্রুত উপশম হবে। আযুর্বেদে স্বীকৃত উপরোক্ত ব্যবহার ছাড়াও স্থানীয় উপজাতি বা অন্যান্য লোকজন স্থানীয়ভাবে তালীশ পাতা বা এর অন্য অংশ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে উপকার পান।

আরো পড়ুন:  চুল-এর নানা সমস্যা ও যত্ন নিতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্রঃ

১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি , আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!