আলংকারিক উদ্ভিদ বা শোভাময় উদ্ভিদ (ইংরেজি: Ornamental plant) হচ্ছে সেসব গাছপালা যেগুলো বাগান এবং ভূদৃশ্যের নকশার পরিকল্পনা সাজানোর উদ্দেশ্যে জন্মানো হয়। আলংকারিক উদ্ভিদ সাধারণত টবের উদ্ভিদ, কাটা ফুল এবং নমুনা প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এসব উদ্ভিদের চাষকে বলা হয় পুষ্পবিদ্যা যা উদ্যানবিদ্যা বা উদ্যানতত্ত্বের (ইংরেজি: Horticulture) একটি প্রধান শাখা।
আলংকারিক উদ্ভিদ শব্দটি এখন একই অর্থে ব্যবহৃত হয় যেটি সাধারণত উদ্যানবিদ্যার বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনায় ব্যবহৃত হয়। শব্দটি মূলত ‘বাগান উদ্ভিদের’ এর সাথে সম্পর্কিত, যদিও বাগান উদ্ভিদ কথাটি খুব কম সুনির্দিষ্ট, যেহেতু যে কোনো উদ্ভিদ একটি বাগানের মধ্যে জন্মাতে হতে পারে, অন্যদিকে আলংকারিক উদ্ভিদ শুধু প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে জন্মানো হয়। যদিও কিছু উদ্ভিদ অলঙ্করণ এবং আনুষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকরী, তবু মানুষ সাধারণত “আলংকারিক উদ্ভিদ” শব্দটি ব্যবহার করে এমনসব উদ্ভিদের উল্লেখ করার জন্য যেগুলোর আসলে আকর্ষণীয় হওয়ার বাইরে অন্য কোনো মূল্য নেই, যদিও অনেকে মনে করেন যে আকর্ষণ করবার মূল্যও যথেষ্ট মূল্যবান। আলংকারিক উদ্ভিদ হচ্ছে আলংকারিক বাগানের মূল উপাদান এই এসব উদ্ভিদ বাগানের আকার, পরিসীমা, উদ্দেশ্য, ভূবৈচিত্র্য, জলবায়ু ইত্যাদি বিবেচনা করে জন্মানো হয়।
কৃষি বিজ্ঞানের উদ্যানতত্ত্ব শাখা ফুল, ফল, সবজি, মসলা, পাম (palm) ও ওষুধ উৎপাদক উদ্ভিদের লেখাপড়া ও গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট। ফুল বলতে এখন আর কেবল সপুষ্পক উদ্ভিদকে বুঝায় না। পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধন এবং চিত্ত বিনোদনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত যে কোনো উদ্ভিদই ব্যাপক অর্থে ফুল। এজন্য আজকাল ফুলগাছ বুঝাতে ‘আলংকারিক উদ্ভিদ’ শব্দদ্বয় (ornamental plant) ব্যবহার করা হয়। উদ্যানতত্ত্বের যে শাখায় আলংকারিক উদ্ভিদের চর্চা করা হয় তার নাম ফুল বিজ্ঞান বা পুষ্পবিদ্যা (Floriculture or Ornamental Horticulture)। গাছপালা দিয়ে একটি এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির বিষয়ও ফুল বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে, এর নাম Landscape Horticulture or Landscape Architecture.
কিছু আলংকারিক গাছপালা কেবল প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বাহারী করে জন্মানো হয়। তাদের পাতা পতনশীল, অথবা চিরহরিৎ হতে পারে, যা হয়ত পতনের আগে উজ্জ্বল কমলা, লাল এবং হলুদ হয়, দৃষ্টিনন্দন রূপ ধারণ করে। কিছু শোভাময় গাছপালা পাতাবাহারী, কোনোটি দীঘল সূচালো আকর্ষণীয় চেহারা নেয়, অন্য অনেক আলংকারিক উদ্ভিদ স্বতন্ত্র রংযুক্ত পাতা জন্মায়, কোনোটি রূপালী-ধূসর আচ্ছাদন দেয়, কোনোটি উজ্জ্বল লাল ঘাস হিসেবে জন্মায়।
অন্যান্য আলংকারিক বা শোভাময় গাছপালা তাদের দৃষ্টিনন্দন ফুলের জন্য চাষ করা হয়। আলংকারিক ফুল অনেক বাগানের একটি প্রধান দিক। অনেক বাগানের মালিক বিভিন্ন ফুলের উদ্ভিদকে পছন্দ করে, যাতে বসন্ত ও গ্রীষ্মের বা সারা বছরে বাগান ক্রমাগতভাবে ফুলের মধ্যে থাকে। উদ্ভিদের প্রকারের উপর নির্ভর করে, ফুলগুলি সূক্ষ্ম, ছোট বা বড় এবং শোভনীয় হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন শোভাময় উদ্ভিদ শোভার সাথে ঘ্রাণও প্রদান করে যা বাড়তি আনন্দ দান করে।
ফুল মানুষের অতি আদরের বস্তু। সর্বকালে এবং পৃথিবীর সব এলাকায় ফুল মানুষকে আনন্দ দান করে আসছে। ফুলের সুগন্ধ সবার কাছেই উপভোগ্য। কোথাও এমন একটি লোক পাওয়া যাবে না যে ফুল ভালবাসে না। পৃথিবীর মাঝে প্রথম কখন ও কোথায় ফুল চাষের সূচনা হয়েছিল তা জানার উপায় নেই। তবে পশ্চিম এশিয়ায় এটি ঘটেছিল এমন একটা ধারণা প্রচলিত আছে। মানুষ যখন যাযাবর জীবন যাপন করত, তখন বন-জঙ্গল থেকে তারা যে ফুল কুড়িয়ে এনে ব্যবহার করত একথা আন্দাজ করতে অসুবিধে হয় না। স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করার বহু পরে ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। সময়ের সাথে ফুলের ব্যবহার যেমন বেড়েছে, ব্যবহৃত আলংকারিক উদ্ভিদের সংখ্যাও তেমন বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৪৯২ সালে উপনিবেশবাদী ক্রিস্টোফার কলাম্বাস কর্তৃক ইউরোপ থেকে উত্তর আমেরিকা এবং ১৪৯৭ সালে আরেক উপনিবেশলোভী ভাস্কো দা গামা কর্তৃক এশিয়া আসার সমুদ্রপথ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টি হলে উদ্ভিদের আদান প্রদান শুরু হয়। স্বভাবতই, অন্যান্য উদ্ভিদের সাথে আলংকারিক উদ্ভিদও একদেশ থেকে অন্যান্য দেশে যেতে থাকে। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে কয়েকজন ইউরোপীয় বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে উদ্ভিদ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়। ঐ সময় থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ভিদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য অভিযান (exploration) পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানের ফলশ্রুতিতে সব দেশের প্রধান প্রধান আলংকারিক উদ্ভিদ আবিষ্কৃত, সংগৃহীত এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিকভাবে সেসবকে গবেষণা করা হয়েছে। লিখিত বিবরণ থেকে জানা যায়, বর্তমানে বিভিন্ন দেশে যেসব আলংকারিক উদ্ভিদ ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো পৃথিবীর সব এলাকা থেকে কোনো না কোনো সময় সংগৃহীত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি উদ্ভিদের উৎপত্তিস্থান এখন লিপিবদ্ধ হয়েছে।
এমন এক সময় ছিল যখন বিভিন্ন দেশে কিছু সংখ্যক সৌখিন লোক বাসগৃহের আশে পাশে সীমিত আকারে ফুলের চাষ করত। তখন ফুলচাষ ছিলো বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির জন্য একটি শখ বা হবি (hobby)। সাধারণত বিত্তশালী ব্যক্তিরা তখন ফুলের চর্চা করত। তাদের বাসগৃহের পাশে জমি এবং বাগানের পরিচর্যার জন্য থাকত মালি। ক্রমে ফুলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঘরে ফুলদানী সাজানো এবং পরিচিত জনকে ফুল উপহার দেয়া অনেক দেশের সাধারণ মানুষেরও সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে দাড়ায়। ফলে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অনেকেই ফুল উৎপাদনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, এক সময় যা ছিল তাদের নেশা। ফুল বা আলংকারিক উদ্ভিদের বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়েই চলেছে। এটা এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এক উল্লেখযোগ্য পণ্য যার মূল্য হাজার হাজার কোটি ডলার। প্রতিটি দেশেই এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল উৎপাদিত হয়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফুলের উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ক্রমে শিল্পপণ্য উৎপাদনের বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে যাকে এখন পুষ্পশিল্প (floriculture industry) বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এ শিল্পের সর্বাধিক বিকাশ ঘটেছে হল্যাণ্ডে। হল্যাণ্ড প্রতি বছর ফুল ও সংশ্লিষ্ট দ্রব্য রপ্তানী করে বাংলাদেশী টাকায় পনর হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে যা বিশ্বের মোট রপ্তানীর এক পঞ্চমাংশ। হল্যাণ্ড নিজেদের উৎপাদিত এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানীকৃত আলংকারিক উদ্ভিদ অন্যান্য দেশে রপ্তানী করে। ফুলের মত দ্রুত পচনশীল দ্রব্যের এমন বৃহৎ একটি আন্তর্জাতিক বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে হল্যাণ্ডের আয়োজকরা অসাধারণ উদ্যোগনৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে।
যেহেতু আলংকারিক উদ্ভিদকে কেন্দ্র করে বৃহৎ আকারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, বিভিন্ন দেশ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পুষ্পশিল্পের উন্নয়নের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। পুষ্পশিল্পের সর্বাধিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে গত পঞ্চাশ বছরে এবং এতে কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, থাইল্যাণ্ড প্রতি বছর বিশ্বের ৫০টি দেশে কমপক্ষে সাড়ে তিন কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় দুশো কোটি টাকা) মূল্যের অর্কিড রপ্তানী করে। ভারত ফুল রপ্তানীতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ফুলচর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও কিছু কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। দেশের সব এলাকায় বহু সংখ্যক নার্সারী গড়ে উঠেছে। এসব নার্সারী থেকে প্রাপ্য আলংকারিক উদ্ভিদের প্রজাতির সংখ্যা এখন অনেক এবং এ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে রপ্তানীমুখী পুষ্পশিল্প গড়ে তুলতে হলে যে যে কাজ করা প্রয়োজন তা বাংলাদেশে বলতে গেলে শুরুই হয়নি। অর্কিড, গ্লাডিওলাস্ ইত্যাদি কয়েক প্রকার ফুল বিদেশ থেকে আমদানী হয়।
আলংকারিক উদ্ভিদের ব্যবহার বৈচিত্র্য
কালের প্রবাহে আলংকারিক উদ্ভিদের ব্যবহার একদিকে যেমন ব্যাপকতা লাভ করেছে, অপরদিকে তেমনই তাতে বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়েছে। এসব উদ্ভিদের চাষ এখন বাগান থেকে বাসগৃহ এবং অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানার ভবনে বিস্তার লাভ করেছে। শহরাঞ্চলে বাগান করার মত জমি অনেকেরই নেই, কিন্তু ইচ্ছা করলে যে কেউ বাসগৃহের ছাদে, বারান্দায়, এমন কি কামরার ভিতরে সুদৃশ্য আলংকারিক উদ্ভিদ টবে লাগাতে পারেন। জাপানীরা টবে অতি ক্ষুদ্রাকৃতির বৃক্ষ জন্মাবার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে যা বনসাই (ইংরেজি: Bonsai) নামে পরিচিত। ফুলদানীতে ফুল সাজাবার প্রক্রিয়া এখন একটি শিল্পের রূপ পরিগ্রহ করেছে। জাপানী ভাষায় এটাকে বলা হয় Ikebana. ইকেবানা এখন প্রশিক্ষণের একটি বিষয় যা বাংলাদেশেও শেখানোর ব্যবস্থা আছে। ফুলের নির্যাস থেকে সুগন্ধি (perfume) তৈরির প্রক্রিয়া পূর্বের তুলনায় বেশি প্রসার লাভ করেছে। ফ্রান্স ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে এটা একটি বৃহৎ আকারের শিল্প। কোনো কোনো ফুল থেকে কাপড় রঙিন করার প্রাকৃতিক রঙ (dye) তৈরি হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের জন্য ফুল অতীতে যেমন পূজার উপকরণ ছিল এখনও তাই আছে। আমাদের দেশে আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে বেড়াতে গেলে আগে মানুষ খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যেতো, বর্তমানে ফুল নেয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ফুল উপহার দেয়া একটি নিয়মিত ব্যাপার, পালা-পার্বনে এটা অপরিহার্য। ফুল দিয়ে মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের রীতি সব দেশেই প্রচলিত আছে।
আলংকারিক উদ্ভিদের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশে অনেক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড গড়ে উঠেছে। এসব উদ্ভিদ উৎপাদন এবং এদের চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ তৈরি ও বিপণন এখন কোনো কোনো দেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য একটি খাত যাতে অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। যেসব দেশে পুষ্পশিল্প উন্নতি লাভ করেছে সেখানে অসংখ্য কোম্পানী আলংকারিক উদ্ভিদের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, এদের চারা ও বীজ উৎপাদন এবং অন্যান্য উৎপাদন উপকরণ যথা টব, চাষ মাধ্যম (potting mixture), সার, ঔষধ ইত্যাদি সরবরাহে নিয়োজিত। বড় বড় কোম্পানীর ক্যাটালগ দেখলে বুঝা যায় ফুল চর্চার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কতদূর প্রসারিত হয়েছে। নতুন নতুন ধারণা ও উদ্ভাবিত বস্তু পুষ্পশিল্পকে বিকশিত করে চলেছে। এ কাজে সরকারি-বেসরকারি গবেষণা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সৌখিন ব্যক্তি ও পেশাদারী সমিতিসমূহের অবদান উল্লেখযোগ্য। সব দেশেই ফুল চর্চার জন্য অনেক সমিতি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশেও গোলাপ সমিতি, অর্কিড সমিতি ইত্যাদি রয়েছে, তবে এগুলোর সদস্যরা তেমন তৎপর নয়।
তথ্যসূত্র:
১. ড. মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, ফুলের চাষ, দিব্যপ্রকাশ ঢাকা, দিব্যপ্রকাশ সংস্করণ বইমেলা ২০০৩, পৃষ্ঠা ৯-১২।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।