বুকের না নেভা তাপ

(গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের প্রতি)

আঁধারে ভয়ংকর মুখেরা যতবার আসে এ পল্লীর দ্বারে
প্রদীপগুলো ততবার জ্বলে ওঠে আগুনের শিখা নিয়ে,
কালো মুখগুলো স্পষ্ট হয় নয়া আগুনের কাছে,
আমরাও জ্বলতে প্রস্তুত ফুলকির গভীর থেকে।

কতবার গিয়েছি ওই আঁধার প্রান্তে,
পৃথিবীর সমস্ত কাঁটাতার ছিলো উদ্যান বিলাস হয়ে,
এই আঁধারে মৃত্যু পিছু নিয়েছিলো,
ভেঙে পড়া নগরীর পথে ঘুরে দেখেছি
ক্ষয়প্রাপ্ত প্রাসাদের ফটকের সামনে এখনও পেয়াদা।

এই আঁধার শিখিয়েছে প্রদীপ জ্বালিয়ে লড়াই,
দেখেছি নিপীড়িতের ঐক্যে নতুন ভাবে বাঁচতে
এর মাঝে ভয় নেই, করুণা নেই, পিছুটান নেই,
আছে শুধু স্ফুলিঙ্গ থেকে বিরাটকায় আগুন।

১৫ নভেম্বর, ২০১৬
হুগলীপাড়া, পার্বতীপুর

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত চিত্রটি Georg Morgenstierne (১৮৯২-১৯৭৮) তোলা। চিত্র ১৯২৪ সালে সাঁওতাল পরগনার একটি গ্রাম (Santal Parganas, West-Bengal, India Village street in Benagaria. Between the huts missionary M.A. Pederson and his wife)। শিল্পী চিত্রটি তুলেছেন ২০ জানুয়ারি ১৯২৪ সালে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি আমার [দোলন প্রভা] রচিত মনন পাবলিকেশন ঢাকা থেকে ২০১৭ সালে প্রকাশিত স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে  কবিতাগ্রন্থের ৫৬ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরেতে প্রকাশ করা হলো।

আরো পড়ুন:  নোনা শ্রমিক

Leave a Comment

error: Content is protected !!