চারণ ভূমি

নির্জনতাকে জড়িয়ে আঁধার ডুবে থাকে মহাকালের বুকে,
রাত ভেদ করে যারা সূর্য আনে ভোরের জানালা খুলে,
পেট ফোলা ব্যাঙের মতো আলো আসে তাদের পিছুপিছু,
মহাকাল তাদের ইতিহাস রচনা করবে সেই আলোতেই।

যে কণ্ঠ কাঁপানো শক্তিরা বসতো ইট পাথরের গোলায়,
অপেক্ষায় আছে সুরের হ্যামিলন আসবে এ শহরে
ডাকবে তাদের পথের পথিক করে এক সাথে চলতে,
এ যুগ ছেড়ে শতাব্দী গড়তে নিয়ে যাবে সেই ভূমিতে।

গ্রামের শস্যখেত উপচে বাতাস যায় বদ্ধ সীমানা পেরিয়ে
হাস্যোজ্জ্বল অরণ্যে, যেখানে তৃণভোজিরা ভোজন করছে,
রক্তদ্রোণ জমিন লাল করেঅদৃশ্য কণ্ঠে সুর তুলেছে,
ভাঙনের গান ছুটাছুটি করছে চারণ ভূমি জুড়ে।

সুরের স্রোত বয়ে যায় শহরের সংকীর্ণ পথ চিরে,
কণ্ঠ কাঁপানো শক্তিকে ভাসাতে চায় এ লড়াইয়ের মঞ্চে,
অক্ষর হবে তারা, তাদের দিয়েই খোদাই হবে ইতিহাসের
লাল নীল ভালো কালো টগবগে মালা।

২০১৩
ময়মনসিংহ

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি ভিনসেন্ট ভ্যান গগ (৩০ মার্চ ১৮৫৩ – ২৯ জুলাই ১৮৯০) আঁকা চিত্র উইলো গাছের সংগে ভূদৃশ্য (Landscape with Pollard Willows)। শিল্পী চিত্রটি আঁকেন মার্চ ১৮৮১ সালে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি আমার [দোলন প্রভা] রচিত মনন পাবলিকেশন ঢাকা থেকে ২০১৭ সালে প্রকাশিত স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে  কবিতাগ্রন্থের ১৪ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরেতে প্রকাশ করা হলো।

Leave a Comment

error: Content is protected !!